আওয়ার ইসলাম: বাচ্চাকে মোবাইল দিবেন না, দিলাম না। টিভি দেখাবেন না, দেখালাম না। কিন্তু এরপর কি? এরপরের সমাধান কি কেউ বলে না।
বই পড়া, আঁকাআকি, রঙ করা। এই করে ৩/৪ বছরের বাচ্চা কতটুকু সময় কাটাতে পারে? আমাদের আরো আইডিয়া বের করা দরকার, আরো অপশন দরকার।
আপাতত কিছু আইডিয়া আমি শেয়ার করছি, আর কারো কোন মতামত থাকলে কমেন্টে শেয়ার করুন প্লিজ।
১. প্লে ডো দিয়ে হাবিজাবি বানানো, ফুল লতা পাতা, বিভিন্ন শেইপ বানানো।
২. লেগো বা ব্লক দিয়ে খেলা।
৩. ক্রাফট ওয়ার্ক করা। ফেল্ট পেপার দিয়ে বাচ্চাকে আলিফ বা তা সা বানিয়ে দিয়েছিলাম অনেক আগে। আর যেকোন বর্ণমালার চেয়ে সে এইটা ইসিলি ক্যাচ করেছে আলহামদুলিল্লাহ।
৪.পশু পাখি পালা। এর মাধ্যমে বাচ্চাদের দায়িত্ববোধ বাড়ে, একটা জীবিত প্রাণীর যত্ন নিতে হচ্ছে, খেতে দিতে হচ্ছে, সেটা অসুস্থ হতে পারে এই বোধ টা বাচ্চাদের বাস্তবতার মুখোমুখি করে।
তবে এই আইডিয়ার কৃতিত্ব ছেলের মামার আর বাবার। তাদের কল্যাণে ছেলে একটি বিড়াল ও দুটি কবুতর নিয়ে সময় কাটাতে পারে আলহামদুলিল্লাহ। ভালোকথা প্রয়োজনীয় ভ্যাকসিন দেয়ার ব্যাপারে সচেতন থাকতে হবে কিন্তু।
৫. গাছপালার পরিচর্যা। বাচ্চাকে প্রকৃতির কাছাকাছি করার একটা ক্ষুদ্র প্রচেষ্টা। বড় সম্ভাবনা আছে বাচ্চা পাতা ছিড়ে খেলবে, মাটি খুঁড়বে। এটাও খারাপ না।
তবে বাচ্চারা অনেকসময় পাতা ছিঁড়ে মুখে দেয়, তাই বাসায় যে গাছগুলো লাগাবেন সেগুলো যেন বিষাক্ত না হয় খেয়াল রাখবেন। অনেক পরিচিত পাতাবাহার আছে যেগুলোর পাতা ধরলে হাত চুলকায়।
৬.পড়াশোনা করানো। খেলার ছলে ফুলের নাম, পাখির নাম, যানবাহনের নাম শিখানো। তবে প্লিজ এর মানে এইনা বাচ্চাকে ধরে বেধে কবিতা মুখস্থ করাবেন, জোর করে এ.বি.সি লেখাবেন।
জাস্ট আপনি পড়ে যাবেন, বাচ্চা যতক্ষণ আগ্রহ দেখায় ততক্ষণ পর্যন্ত।
৭. পাজল সলভ করা যায় বাচ্চাকে নিয়ে। একদম ছোট বাচ্চাদের পাজল পাওয়া যায়। প্রথমে কয়েকবার আপনি মিলাবেন ও দেখবেন, এরপর ওকে মিলাতে দিবেন আর আপনি হেল্প করবেন। না পারলে নাই। কোন জোরাজুরি বা তিরষ্কার করবেন না।
ফেসবুক আইডি ‘নূরুন আলা নূর’ এর টাইমলাইন থেকে নেয়া