আওয়ার ইসলাম
ডেস্ক
আগামী বছর থেকে সৌদি আরবে নারীরা স্টেডিয়ামে বসে খেলা দেখার সুযোগ পাবে বলে জানিয়েছেন দেশটির কর্মকর্তারা। দেশটির তিনটি বড় শহর - রিয়াদ, জেদ্দা এবং দাম্মামে ২০১৮ সালের প্রথম দিক থেকে সৌদি পরিবারগুলোকে স্টেডিয়ামে বসে খেলো দেখার অনুমতি দেয়া হবে।
শিগগির ওই তিনটি স্টেডিয়ামে এ সংক্রান্ত প্রস্তুতি শুরু হবে বলে জানিয়েছে দেশটির স্পর্টস কর্তৃপক্ষ। বলেছে, “২০১৮ সালের শুরু থেকেই ওই স্টেডিয়ামগুলোতে পরিবারের সদস্যদের জন্য জায়গা প্রস্তুত করতে চাই।”
প্রস্তুতির অংশ হিসেবে স্টেডিয়ামে নারীদের জন্য আলাদা রেস্তোরাঁ, ক্যাফে এবং বড়পর্দার টেলিভিশনের ব্যবস্থা করা হবে বলেও জানান তারা।
সৌদি আরব কর্তৃপক্ষ দেশটির নারীদের যে কিছু স্বাধীনতা দেবার উদ্যোগ নিয়েছে, স্টেডিয়ামে বসে খেলা দেখা সেটির একটি ধারাবাহিকতা। যার ধারাবাহিকতায় গত মাসে সৌদি নারীদের গাড়ি চালানোর উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হয়। আগামী বছর জুন মাস থেকে দেশটির নারীরা গাড়ি চালাতে পারবেন।
সৌদি আরবের যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান ঘোষণা করেছিলেন, দেশটির নাগরিকরা যাতে দেশের ভেতরেই বিনোদন উপভোগ করতে পারে সেজন্য অর্থনীতি চাঙ্গা করা হবে। এসব পদক্ষেপ তারই ধারাবাহিকতা।
সৌদি আরবে অভিভাবকত্বের নিয়ম অনুযায়ী নারীরা যদি পড়াশুনা, ভ্রমণ কিংবা অন্যান্য কাজে যেতে চায় তাহলে পরিবারের পুরুষ সদস্যদের অনুমতি নিয়ে যেতে হয়। এসব পুরুষ সদস্যদের মধ্যে রয়েছে বাবা, স্বামী কিংবা ভাই।
সৌদি আরবের ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান গত সপ্তাহে বলেছিলেন, সৌদি আরব আগে যে রকম ছিল ঠিক সে অবস্থায় ফিরে যাবে। সৌদি আরব একটি মধ্যপন্থী উদারনীতির ইসলামিক দেশ হবে যেখানে সব ধর্মের প্রতি সহিষ্ণুতা থাকবে।
৩২ বছরের যুবরাজের ঘোষিত দীর্ঘমেয়াদী ওই পরিকল্পনা ‘ভিশন ২০৩০’ নামে পরিচিত।
তবে অতি রক্ষণশীল সৌদি আরবে সালমান যেসব সংস্কারের উদ্যোগ নিয়েছেন, সেটি খুব একটা সহজ কাজ হবে না। গতমাসে জাতীয় দিবসের অনুষ্ঠানে নারীদের স্টেডিয়ামে ঢোকার যে অনুমতি দেয়া হয়েছিল সেটি নিয়ে অনেকে সমালোচনা করেছেন।
আরএম