মুফতি মনোয়ার হোসাইন
শিক্ষাবিদ ও খতীব
ঐক্যবদ্ধ মানবজাতি সৃষ্টির স্লোগান ছিল ‘কালিমা’। এ সেই কালিমা যার দ্বার খণ্ড খণ্ড বংশ ঐক্যবদ্ধ হয়েছিল ‘মুসলিম’ নামে। আওয-খাজরাজ বুকে বুক মিলিয়েছিল। রিক্ত হস্ত মুহাজিরগণ আনছারদের ‘ভাই’ হয়েছিল।
এ ঐক্যবদ্ধতার পেছনের মেহনত ছিল মাত্র ১০ বছর। যারা এ কালিমা গ্রহণ করেছিল তারা বুঝে শুনে গ্রহণ করেছিল আবার যারা প্রত্যাখ্যান করেছিল তারাও ‘কালিমা’র ঐক্যবদ্ধতার দাবীকে বুঝেই প্রত্যাখ্যান করেছিল।
কিন্তু আল্লাহ তাআলা মানবজাতিকে এক শুভ্র সকাল দিয়েছিলেন- সে সকাল এখন বিকেলে গড়িয়েছে। ধুসর হয়েছে। আস্তর পড়েছে সে ‘আহ্বানের’ উপর। এখন সে জাহিলিয়াতই বিভাজিত হয়েছে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার প্রশিক্ষণের দ্বারাই।
আজ মানবজাতি বিভাজিত ভাষা, অঞ্চল, গোত্র, মাযহাব, দল, মসজিদ, মাদরাসা, খানকা, পীরালি, পেশাসহ আরো কত কিছুর দ্বারা!
যে মসজিদ নির্মিত হয়েছিল মুসলিমদের ঐক্যবদ্ধ করার জন্য আজ অনেক মসজিদ নির্মাণ হচ্ছে বিভাজনের মারকায হিসেবে। এক মাসলাক আরেক মাসলাকের এমন প্রতিদ্বন্দ্বি যে পারলে একে অপরকে নিশ্চিহৃ করে দেবে।
এ ফিরকা এ জন্যই যে বিশ্ব নবী সা. এর আনীত শরীআর যে মাকছাদ আমরা তা হারিয়েছি। এটাকেই তিনি বলেছেন, লা-ইয়াবকাল ইসলামু ইল্লা ইসমুহু। ইসলাম শুধু নামেই থাকবে। তাই আছে।
আমরা আগামির দিকে তাকিয়ে আছি যে সে হাদীস এখন নয় সামনে-ভুল। এ সমাজ যদি না হয় তবে কোন সমাজ?
আমাদের ফিরে আসতে হবে- সলফে সালিহীনের পদচিহেৃ। রাসুলের রেখে যাওয়া ঠিক সেই দ্বীনে যেখানে রাসুল রেখে কবরস্থ হয়েছেন। আমাদের পৌঁছতে হবে সেই স্তরে যেখানে সাহাবাগণ ছিলেন।
অন্ততপক্ষে যা করেছি তা বুঝের উপর করতে হবে যে বুঝ নবী সা. সাহাবীদের দিয়ে গেছেন। আল্লাহ তাআলা আমাদের সে ফাহম দান করুন। আমীন।
ফেসবুক টাইমলাইন থেকে