আওয়ার ইসলাম: ভারতের উত্তর প্রদেশের মাদরাসা গুলির বিরুদ্ধে যোগী সরকার বড় সিদ্ধান্ত নিয়েছে। রাজ্যের প্রায় ২৬৩২টি মাদরাসার বিরুদ্ধে জোর তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। খবর টিডিএন বাংলার
জানা যায়, এর আগে সব মাদরাসাকে ১৫ অক্টোবরের মধ্যে নিজেদের তথ্য রাজ্য সরকারের ওয়েবসাইটে আপলোড করার কথা বলা হয়েছিল। নির্ধারিত তারিখের মধ্যে ওয়েবসাইটে তথ্য আপলোড না করা হলে মাদরাসাগুলির সরকারি স্বীকৃতি বাতিল করা হবে বলে ঘোষণা করা হয়।
এর আগে গত সেপ্টেম্বর মাসে রাজ্যের ৪৬টি মাদরাসায় সরকারি অনুদান বন্ধ করে দেওয়ার ঘোষণা করেছিল যোগী সরকার। এই অনুদান বন্ধের কারণ হিসেবে সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, মাদরাসার মান অত্যন্ত দুর্বল হওয়ার কারণেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
রাজ্যে বর্তমানে ১৯ হাজার ১৪৩টি মাদরাসা রয়েছে। রাজ্য সরকার জানিয়েছে সব মাদরাসাগুলিকে নিজেদের তথ্য ওয়েবসাইটে আপলোড করতে হবে। ওয়েবসাইটে শিক্ষক, কর্মচারী ও ছাত্রদের তথ্যের পাশাপাশি ক্লাসরুমের আয়তন ও বিল্ডিংয়ের মাপের তথ্যও দেওয়ার কথা জানিয়েছে রাজ্য সরকার।
এর আগে ওয়েবপোর্টালে সমস্যা থাকায় তথ্য জমা দেওয়ার নির্ধারিত তারিখ বাড়িয়ে দিয়েছিল রাজ্য সরকার। পুরোনো তারিখ ৩০ সেপ্টেম্বরের বদলে তা ১৫ অক্টোবর করে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু ২৬৩২টি মাদরাসা কোনো কারণবশত তা করতে পারেনি।
নতুন নিয়ম অনুযায়ী, মাদরাসার শিক্ষক ও কর্মচারীদের অনলাইনে বেতন দেওয়ার কথা। আর তাই স্টাফদের বেতনের বিবরণও ওয়েবসাইটে আপলোড করার কথা বলা হয়েছে।
সে হিসেবে ২৬৩২টি মাদরাসা সরকারি সুবিধা থেকে বঞ্চিত হওয়ার মুখে। কেননা এই মাদরাসাগুলি এখনও পর্যন্ত অনলাইন বেতন দেওয়ার সিস্টেম চালু করতে পারেনি।
উল্লেখ্য, ক্ষমতায় আসার পর থেকেই রাজ্যের মাদরাসাগুলিকে নিয়ে নানা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। স্বাধীনতা দিবসের সময় রাজ্যের সব মাদরাসাগুলিকে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের সময় ভিডিও এবং ছবি তুলে তা রাজ্য সরকারের দফতরে পাঠানোর নির্দেশও দেওয়া হয়েছিল।
রাজ্য সরকারের একের পর এক সিদ্ধান্তে দুর্বল পরিকাঠামো বিশিষ্ট মদরাসাগুলি বন্ধ হয়ে যাবে বলেই মনে করছেন অনেকে। এ ছাড়াও অনেকের অভিযোগ, রাজ্যের মাদ্রাসাগুলিকে চাপে ফেলে মুসলিমদের শিক্ষার দিক দিয়ে পিছিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে বিজেপি সরকার ।
আলিয়া ও কওমি মাদরাসার আধুনিকায়নে আরবি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের অনুমতি