মুজাহিদুল ইসলাম : মানবিকতা ও ভালোবাসার অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করলো সিরিয়ান শরণার্থী শিশুরা। তারা রোহিঙ্গা শিশুদের জন্য তাদের টিফিন থেকে জমানো অর্থ দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তুরষ্কে অবস্হানকারী সিরিয়ান অনাথ শিশু শরণার্ধীরা এ অর্থ পাঠাবে রোহিঙ্গা শিশুদের জন্য।
সুলতান মুহাম্মদ ফাতাহ দাতব্য সংস্হা কিছু পিতৃহারা শিশু ও স্বামীহীনা নারীদের তুরষ্কের কিলিস রাজ্যে আশ্রয় ও তাদের ব্যয়ভার গ্রহণ করে।
যদিও নতুন জীবন তাদেরকে দীর্ঘ দিন হতে হারানো আশা ফিরিয়ে দিয়েছে, কিন্ত যুদ্ধের স্মৃতি ও ভয়াবহতা এ-শিশুদের স্মৃতিতে গেথে আছে, যা তাদেরকে বিশ্বজুড়ে মানবিক কাজে অধিকতর সচেতন করে তুলেছে।
তুরষ্কের কিলিসে অবস্হানকারী শিশুদের কাছে যখন রোহিঙ্গা-নির্যাতনের বিষয়টা পৌছায়, তারা মনে করে, এ-ভয়াবহতা তাদের দেশে চলছে, কিন্ত প্রকৃত অবস্হা মায়েদের কাছ থেকে যখন জানতে পারে,তখনই তারা তাদের জমানো টাকা দাতব্য সংস্হাকে অবহিত করা ছাড়াই রোহিঙ্গা ভাইবোনদের জন্য দান করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে।
সংস্হাটি তুর্কি রেড ক্রিসেন্টের সাথে যোগাযোগ করে শিশুদের দান পৌঁছে দেয়।
সংস্হাটি সাংবাদিক সম্মেলনে জানায়, শিশুরা প্রায় পনের ইউএস ডলার দান করেছে।
সংস্হার উপপ্রধান আব্দুল গনি জানান, বাচ্চাদের মায়েরা তাদের সাথে যোগাযোগ করে বাচ্চাদের আগ্রহের কথা জানায়।
তিনি বাচ্চাদের এ আমানাত তুর্কি রেড ক্রিসেন্ট এর সাথে সমন্বয় করে রোহিঙ্গা শিশুদের কাছে পৌছে দেয়ার প্রতিশ্রুতি দেন।
কিলিসের রেড ক্রিসেন্ট এর প্রধান বাচ্চাদের এ-দান ও প্রতিবাদে শামিল হওয়াকে উপদেশ-হিসেবে আখ্যায়িত করেন।
তিনি আরো জানান, এটা সংস্হার কর্মীদের মাঝে বড় ধরনের প্রভাব ফেলেছে এবং তারা দ্রুততম সময়ে তা পৌছে দেয়ার প্রতিশ্রুতি দেন।
অন্যদিক সিরীয় এক মা জানায়, বাচ্চারা টেলিভিশনে নির্যাতনের ছবি দেখে দান করার সিদ্ধান্ত নেয়।
তিনি আরো বলেন, তুরষ্ক সিরিয়ানদের জন্য সাহার্য্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে, তাদের সীমান্ত খুলে দিয়েছে, আমরা আরাকানের মুসলিমদের সাহায্য করতে চাই।
সূত্র: তুর্কি পোস্ট