আওয়ার ইসলাম: ২০ দেশের কূটনীতিক ঘুরে দেখলেন মিয়ানমারের রাখাইনে। মঙ্গলবার তারা এক যৌথ বিবৃতিতে বলেছেন, রাখাইনে সহিংসতা অবশ্যই বন্ধ করতে হবে।
মিয়ানমার সরকারের আমন্ত্রণে সোমবার ওই কূটনীতিকরা রাখাইনের উত্তরাঞ্চল সফরে যান। সেখানে মংডু ও রাথেডাং এলাকা সফর করেন তারা।
এরপর তারা যৌথ বিবৃতিতে বলেন, আমরা সেখানে গ্রামের পর গ্রাম দেখেছি পুড়ে মাটির সঙ্গে মিশে আছে। সেখানে কোনো মানুষজন নেই। কোনো বৈষম্য না রেখে সব মানুষকে রক্ষা করতে বাধ্যবাধকতা রয়েছে মিয়ানমারের নিরাপত্তারক্ষীদের। সব রকম অগ্নিসংযোগ প্রতিরোধেও তারা পদক্ষেপ নিতে বাধ্য।
একই বিবৃতিতে তারা ২৫ আগস্ট পুলিশ ও সেনাবাহিনীর ওপর আরাকান রোহিঙ্গা সালভেশন আর্মির (আরসা) হামলার নিন্দা জানান। স
হিংসতা ও তারপর থেকে বিপুল সংখ্যক মানুষের বাস্তুচ্যুত হওয়ায় এতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন তারা।
ওই বিবৃতিতে বলা হয়, কূটনীতিকদের ওই সফর কোনো অনুসন্ধানী মিশন ছিল না। মানবাধিকার লঙ্ঘনের যে অভিযোগ করা হয়েছে তা নির্ধারণ করবেন বিশেষজ্ঞরা।
এতে বলা হয়, মিয়ানমারের স্টেট কাউন্সেলর অং সান সুচির মানবাধিকারি লঙ্ঘনের বিষয়টি কঠোর ন্যায় বিচারের আদর্শ অনুসরণ করে দেখার যে প্রতিশ্রুতি তাকে স্বাগত জানাই আমরা।
পাশাপাশি ভয়াবহ মানবাধিকার লঙ্ঘনের যেসব অভিযোগ করা হয়েছে তার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করে অপরাধীদের বিচার করার জন্য আমরা মিয়ানমার সরকারের প্রতি আহ্বান জানাই। একই সঙ্গে জাতিসংঘের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মিশনকে রাখাইন সফর করার অনুমতি দেয়ার জন্য আহ্বান জানাই আমরা।