এ এস এম মাহমুদ হাসান
রহস্যজনকভাবে ফেনীর ইনস্টিটিউট অব কম্পিউটার সাইন্স এন্ড টেকনোলজির (আইসিএসটি) শিক্ষক পেয়ার আহমদ মজুমদার নিহতের ঘটনায় বিক্ষোভের মিছিলের আয়োজন করেছে জেলা ইসলামী যুব আন্দোলন।
সোমবার আসর নামাজের পর জেলা শহরে সংগঠনটি এ বিক্ষোভ পালন করবে। ধারণা করা হচ্ছে পেয়ার আহমদ মজুমদারকে খুন করা হয়েছে।
বিক্ষোভ মিছিল থেকে ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচারের দাবি জানাবেন তারা।
একই ইস্যুতে আগামীকাল মঙ্গলবার সকাল ১১ টায় ফেনী শহীদ মিনারে প্রতিবাদে মানববন্ধন করবে কলেজের গণিত বিভাগের শিক্ষার্থীরা।
জানা যায়, ফেনী ইনস্টিটিউট অব কম্পিউটার সাইন্স এন্ড টেকনোলজি (আইসিএসটি)র বৌদ্ধ শিক্ষক সুকান্ত বড়ুয়ার সঙ্গে রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে পেয়ার আহমদ মজুমদারের সঙ্গে তার তর্কাতর্কি হয়। পরিবারের অভিযোগ সে কারণেই তিনি খুন হয়েছেন। আর তার নিহতের পর থেকেই রহস্যজনকভাবে পলাতক রয়েছেন অভিযুক্ত সুকান্ত বড়ুয়া।
গত ২৭ সেপ্টেম্বর এ ঘটনা ঘটে। এলাকাবাসী সূত্র জানায়, ইন্সটিটিউটের গনিত বিভাগের শিক্ষক পেয়ার আহমদ মজুমদার (৩০) সহকর্মী খাগড়াছড়ি জেলার সুকান্ত বড়ুয়াসহ আইসিএসটি ভবনের তৃতীয় তলায় হোস্টেলে থাকতেন। সুকান্ত বড়ুয়া, অপর শিক্ষক বাপ্পি ও কয়েকজন শিক্ষার্থী বুধবার সকালে পেয়ার বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়েছে বলে তাকে ফেনী আধুনিক সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়।
খবর পেয়ে পেয়ারের বাবা জাফর আহমদ, ভাই জহির আহমদ মজুমদার, জাকির হোসেন, ভগ্নিপতি আবু ইছহাক হাসপাতালে ছুটে আসেন। পরবর্তীতে লাশের শরীরে আঘাতের চিহ্ণ দেখে পেয়ারকে পরিকল্পিতভাবে খুন করা হয়েছে বলে দাবি করেন তারা।
এ বিষয়ে জহির আহমদ মজুমদার আওয়ার ইসলামকে বলেন, আমরা প্রথমে খবর পাই বিদ্যুস্পৃষ্টে তিনি নিহত হয়েছেন। কিন্তু তার শরীরে অনেক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে যা ভিন্ন কিছুর ইঙ্গিত করে।
তিনি বলেন, আমরা থানায় হত্যা মামলার জন্য গিয়েছিলাম। কিন্তু পুলিশ অপমৃত্যুর মামলা নিয়েছেন। এবং বলেছেন, পোস্টমর্টেম রিপোর্ট এলে তদন্ত করা হবে।
তবে তিনি বলেন, হাসপাতাল থেকে এখনো পোস্টমর্ডেম দেয়া হচ্ছে না।
বিক্ষোভ মিছিলের আয়োজক ইসলামী যুব আন্দোলনের সভাপতি আবদুল কাইয়ুব সুহাইলের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি আওয়ার ইসলামকে বলেন, পেয়ার আহমদ মজুমদারের মৃত্যু রহস্যজনক। তাই সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচারের দাবিতে আমরা বিক্ষোভ মিছিল করবো।