ওয়ালি খান রাজু
ঢাবি প্রতিবেদক
মিয়ানমারের রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর উপর বর্বরোচিত নির্যাতন এবং তাদের ফিরিয়ে নেয়ার দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের ব্যানারে মানববন্ধন করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের স্মৃতি চিরন্তন থেকে শুরু হওয়া এই মানববন্ধন কলা ভবনের গেইট পর্যন্ত ছাড়িয়ে যায়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হল, বিভাগের শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী স্বতস্ফূুর্তভাবে এই মানববন্ধনে অংশগ্রহণ করে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ড.আখতারুজ্জামানের নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত এই মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি মাকসুদ কামাল সহ বিভিন্ন শিক্ষক নেতৃবৃন্দ।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি আবিদ আল হাসান, সাধারণ সম্পাদক মোতাহের হোসেন প্রিন্সসহ বিভিন্ন ছাত্রনেতারাও মানববন্ধনে অংশ নেয়।
মানব বন্ধনে বক্তারা রোহিঙ্গাদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভূয়সী প্রশংসা করেন এবং মিয়ানমারের সামরিক নীতির কঠোর সমালোচনা করেন, মিয়ানমার সরকারকে গণহত্যা বন্ধে চাপ দিতে বক্তারা বিশ্বনেতাদের প্রতি আহবান জানান। একই সঙ্গে প্রতিবেশী ভারত পাকিস্তানসহ সউদি আরব, চীন, রাশিয়া, আমেরিকার চুপ থাকার নীতির বিরোধিতা করে বক্তারা অবিলম্বে গণহত্যা বন্ধে এসব দেশকে মিয়ানমার সরকাররের উপর কঠোর চাপ দিতে আহবান জানান।
মানববন্ধনে প্রধান বক্তার বক্তব্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ড.আখতারুজ্জামান বলেন রোহিঙ্গারা প্রাচীনকাল থেকেই আরাকানে বসবাস করে আসছে, তাদের থেকে পার্লামেন্ট মেম্বার হওয়া সহ রাষ্ট্রের বিভিন্ন পর্যায়ে তাদের উপস্থিতি ছিল কিন্ত তা স্বত্তেও মিয়ানমার সামরিক বাহিনীর মদদে বর্তমান সরকার মিয়ানমারে যেভাবে এথনিক ক্লিনিজিং চালাচ্ছে তা অমানবিক এবং বর্বরতা ও চরম অন্যায়।
তিনি বসনিয়া হারজেগোভিনিয়ায় সংঘটিত মুসলিম গণহত্যার উদাহরণ টেনে বলেন, বসনিয়া গণহত্যার বিচার যেভাবে বিশ্ব আদালতে হয়েছে সেভাবে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর উপর সংঘটিত গণহত্যার বিচারও হতে হবে।
তিনি আরাকান রাজ্যে শান্তি রক্ষী বাহিনী স্থাপন সহ সেইফ জোন গড়ে তোলার প্রস্তাব জানান।
মানববন্ধনে উপস্থিত বিশ্ববিদ্যালয় কর্মকর্তা, কর্মচারীবৃন্দ প্ল্যাকার্ড হাতে উপস্থিত থেকে আরাকানে অব্যাহত গনহত্যার বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ ও নিন্দা জানিয়েছেন।
বার্মার বর্বরতার চূড়ান্ত বাড়াবাড়ি