জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) রোহিঙ্গাদের সাহায্যে সংগৃহীত অর্থ ভাগাভাগিকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। ছাত্রলীগের গোপালগঞ্জ ও ময়মনসিংহ গ্রুপের মধ্যে হওয়া এ সংঘর্ষে কমপক্ষে দশ জন শিক্ষার্থী আহত হয়।
সোমবার দুপুর একটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকের সামনে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর ক্যাম্পাস শান্ত রাখতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়ন করা হয়েছে।
জানা যায়, জবির ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার সময় ছাত্রলীগের ভার্টেক্স নামধারী গোপালগঞ্জ গ্রুপ ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের থেকে রোহিঙ্গাদের সাহায্যের কথা বলে টাকা উঠায়। ওই টাকা রোহিঙ্গাদের সাহায্যে না পাঠিয়ে নিজেদের মধ্যেই ভাগাভাগি করে নেওয়ার পরিকল্পনা করছে এমন মন্তব্য করেন মার্কেটিং বিভাগের শিক্ষার্থী শাকিল। শাকিল মার্শাল গ্রুপ নামধারী ময়মনসিংহ গ্রুপের ছাত্রলীগ কর্মী। এ নিয়ে গত রবিবার তাকে ভার্টেক্স গ্রুপের ছেলেরা মারধর করে। তারই সূত্র ধরে সোমবার দুপুর একটায় দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়।
সংঘর্ষে ১২তম ব্যাচের নাঈম, আশিক, শুভ, শাকিল, সিফাত, মাহফুজসহ দশ শিক্ষার্থী আহত হয়েছে। গোপালগঞ্জ গ্রুপের নেতৃত্ব দেন তরিকুল ইসলাম। আর ময়মনসিংহ গ্রুপের নেতৃত্বে রয়েছেন হারুনুর রশীদ।
এ বিষয়ে জবি প্রক্টর নূর মোহাম্মদ বলেন, ক্যাম্পাসে ১২তম ব্যাচের শিক্ষার্থীরা নিজেদের মধ্যে হাতাহাতি করেছে। গুরুতর কোনো সংঘর্ষ হওয়ার আগেই প্রশাসন তাদের থামিয়ে দিয়েছে। ঘটনার সূত্রপাত কিভাবে হয়েছে সে বিষয়ে আমরা এখনো কোনো তথ্য পাইনি। আগামীকাল ঘটনার সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
উল্লেখ্য, ভার্টেক্স হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তরিকুল ইসলামের নেতৃত্বাধীন গোপালঞ্জ গ্রুপের ১২তম ব্যাচের শিক্ষার্থীদের নিয়ে গঠিত একটি গ্রুপ। অন্যদিকে মার্শাল গ্রুপ হল বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হারুন-অর-রশিদের নেতৃত্বাধীন ময়মনসিংহ গ্রুপের ১২তম ব্যাচের শিক্ষার্থীদের নিয়ে গঠিত গ্রুপ।
সূত্র: বাংলাদেশ প্রতিদিন