আওয়ার ইসলাম: বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশ (বেফাক) থেকে চাকরিচ্যুত হওয়ায় সংবাদ সম্মেলন করেছেন ১০ কর্মচারী। তারা নিজেদের তাদের অব্যহতিকে অবৈধ বলে দাবি করেছেন।
বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে যাত্রাবাড়ীতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে চাকরিচ্যুত কর্মচারীরা এমন দাবি করেন।
তারা অভিযোগ করে বলেছেন, কোনও ধরনের কারণ দর্শানো নোটিশ বা অব্যাহতিপত্র ছাড়াই বিনা অপরাধে আমাদের চাকরিচুত্য করা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন মাওলালা জোবায়ের আহমদ। তিনি অফিস সহকারী হিসেবে বেফাকে কর্মরত ছিলেন।
জোবায়ের আহমেদ বলেন, ‘আমি১২ বছর ধরে বেফাকে কাজ করছি। হঠাৎ করেই আগস্ট মাসে মৌখিক নির্দেশে আমাকে চাকরিচুত্য করা হয়েছে। আমার কী অপরাধ, কেন চাকরিচ্যুত করা হয়েছে— জানানো হয়নি।’
মাওলানা ওহিদুজ্জামানও অফিস সহকারী হিসেবে বেফাকে কর্মরত ছিলেন। তিনি বলেন, ‘আমি গত ৯ বছর ধরে কাজ করে আসছি। কোনও কারণ ছাড়া আমাকেও চাকরি থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে।’
চাকরিচ্যুত কর্মীদের দ্রুত পুনর্বহালের দাবি জানানো হয় সংবাদ সম্মেলনে। তারা সিনিয়র কর্মীদের ব্যাপারে নানারকম অভিযোগও করেন।
চাকরিচুত্যদের মধ্যে আরও আছেন— মাওলানা আব্দুল জলিল (সহকারী পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক), মাওলানা মিজানুর রহমান (অফিস সহকারী), মাওলানা ফারুক আহমদ (অফিস সহকারী), মাওলানা শাকির আহমদ (অফিস সহকারী), মো. রকিব (অফিস সহকারী), মাওলানা মনিরুজ্জামান (অফিস সহকারী), মাওলানা সাইফুল (অফিস সহকারী, উচ্চ), মো. মোজাম্মেল (পিয়ন)।
তবে এর আগে বেফাকের কর্মকর্তারা আওয়ার ইসলামকে বলেছিলেন উল্লেখিত কর্মীদের সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতেই অব্যহতি দেয়া হয়েছে।
বেফাককে ঢেলে সাজানো হচ্ছে; ময়মনসিংহে বেফাকের নেতৃবৃন্দ