আওয়ার ইসলাম : সন্ত্রাসীদের আক্রমণে দারুল উলুম মঈনুল ইসলাম হাটহাজারী মাদরাসার ৫ ছাত্র আহত হয়েছেন। আজ ঈদুল আযহার পর কুরবানির পশুর চামড়া সংগ্রহ করতে গিয়ে তারা এ আক্রমণের শিকার হন।
প্রত্যক্ষদর্শী অন্তত ৩ জন শিক্ষার্থী আওয়ার ইসলামকে এ খবর নিশ্চিত করেছেন। কাফেলার (ছাত্র) দায়িত্বশীল মুহাম্মদ রাশেদুল ইসলাম আওয়ার ইসলামকে বলেন, ‘আমি নিজেও একজন ভিকটিম। সন্ত্রাসীদের আক্রমণে বেশ কয়েকজন ছাত্র আহত হয়েছেন। একজনের অবস্থা গুরুতর। সে কানে প্রচণ্ড রকম আঘাত পেয়েছে।
অনুসন্ধানে জানা যায়, আজ ঈদের জামাত শেষে হাটহাজারী মাদরাসার ১৭ জনের একটি ছাত্রদল চট্টগ্রাম শহরের নাসিরাবাদ শান্তিধারা আবাসিক এলাকায় কুরবানির পশুর চামড়া সংগ্রহ করতে যায়। ছাত্রদের সংগ্রহ কার্যক্রম স্বাভাবিক ভাবেই চলছিল। বেলা ১১টার দিকে এলাকার জি ই সি মোড় রোডে মাদরাসায় দান করা কয়েকটি চামড়া আনতে গেলে স্থানীয় কিছু সন্ত্রাস হুমকি ধমকি দিয়ে ছাত্রদের তাড়িয়ে দেয়।
এ সময় ছাত্ররা অন্য এলাকায় সরে যায়। কিন্তু এক পর্যায়ে বিনা উস্কানিকে ছাত্রদের উপর অতর্কিত হামলা করে ৫ জন ছাত্রকে আহত করে।
এ সময় তারা কওমি মাদরাসা ও কওমি শীর্ষ আলেমসহ আল্লামা আহমদ শফীকে অশালীন ভাষায় গালিগালাজ করে।
সন্ত্রাসীরা ছাত্রদের থেকে মাদ্রাসার পাঁচটি চামড়াও ছিনিয়ে নেয় বলে জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শী এক শিক্ষার্থী।
চামড়া সংগ্রহকারী দলের সদস্য হাটহাজারী মাদরাসার মেশকাত জামাতের ছাত্র হাবিবুর রহমান বলেন, ঈদের দিন মা-বাবাকে ছেড়ে ছাত্ররা মাদরাসার খেদমতের জন্য চামড়া কেন সংগ্রহ করি এটাই আমাদের দোষ। আমরা মাদরাসার কাজ করছি তারপরও সন্ত্রাসীরা আমাদের উপর হামলা করে।
সন্ত্রাসীরা মাদরাসা শিক্ষার্থীদের প্রায় এক ঘণ্টা আটক করে রাখে। এক পর্যায়ে এলাকাবাসী ছাত্রদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়।
প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, সন্ত্রাসীরা স্থানীয় ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত।