সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪ ।। ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬


আজ থেকে হজের কার্যক্রম শুরু

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম : মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় সম্মেলন হজের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়েছে। বুধবার (৮ জিলহজ) থেকে শুরু হয় হজের মূল আনুষ্ঠানিকতা। মঙ্গলবার (৭ জিলহজ) সন্ধ্যার পর থেকেই বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা ২৫ লাখের বেশি ধর্মপ্রাণ মুসলমান মিনার উদ্দেশ্যে রওনা হন।

রাতেই হাজিরা মিনায় তাঁবুতে গিয়ে অবস্থান নেন। লাখ লাখ মুসল্লির ‘লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক’ ধ্বনিতে মুখর হয়ে উঠেছে পবিত্র মিনা। বুধবার মিনায় অবস্থান ও বৃহস্পতিবার ফজরের নামাজ শেষে যাবেন আরাফার ময়দানে। সেখানে সূর্যাস্ত পর্যন্ত অবস্থান করবেন হাজিরা। পাঁচ দিন মিনা, আরাফা, মুজদালিফা ও মক্কায় অবস্থান করবেন হাজিরা।

তাঁবুর শহর খ্যাত মিনায় আজকের রাত অবস্থান করবেন হজযাত্রীরা। বৃহস্পতিবার ফজরসহ এখানে মোট পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় শেষে দীর্ঘপথ পাড়ি দিয়ে তারা ছুটে যাবেন আরাফার ময়দানে। সেখানে হজের খুতবা শুনবেন এবং এক আজানে জোহর ও আসরের নামাজ আদায় করবেন। সন্ধ্যায় মুজদালিফার উদ্দেশ্যে আরাফাতের ময়দান ত্যাগ করবেন। মুজদালিফায় পৌঁছে আবারো এক আজানে মাগরিব ও এশার নামাজ আদায় করবেন।

রাতে মুজদালিফায় খোলা আকাশের নিচে রাতযাপন করবেন। সেখান থেকে তারা মিনার জামারায় (প্রতীকী) শয়তানকে নিক্ষেপের জন্য পাথর সংগ্রহ করবেন। শুক্রবার সকালে ফজরের নামাজ শেষে আবার ফিরে আসবেন মিনায়। পরদিন সকালে জামারাতে পাথর নিক্ষেপ ও পশু কোরবানির পর পুরুষরা মাথা মুণ্ডনের মধ্য দিয়ে ইহরাম ত্যাগের মাধ্যমে হজের মূল কার্যক্রম শেষ করবেন। এরপর পবিত্র কাবা শরিফে বিদায়ী তাওয়াফ করে হজের পূর্ণ আনুষ্ঠানিকতা শেষ করবেন।

এদিকে, হজে আসা মুসল্লিদের নিরাপত্তায় সৌদি আরবে নিয়মিত বাহিনীর পাশাপাশি এক লাখের বেশি সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। দুই বছর আগে মিনায় পদদলিত হওয়ার যে অনাহুত ঘটনা ঘটেছিল এর যেন পুনরাবৃত্তি না ঘটে এ ব্যাপারে সতর্ক রয়েছে সৌদি কর্তৃপক্ষ। হজ ঘিরে নিরাপত্তা জোরদার করেছে সৌদি আরব। বিশ্বের নানা দেশ থেকে আসা মুসল্লিদের সহযোগিতায় কাজ করবেন নিরাপত্তা বাহিনীর এক লাখের বেশি সদস্য। পাশাপাশি নেয়া হয়েছে জরুরি চিকিৎসা সেবা দিতে সর্বাত্মক প্রস্তুতি।

ফ্রান্সের নাগরিক হামজাহ আল-মোতাওয়াকেল বলেন, প্রথমবার পবিত্র কাবা শরিফ দেখলাম। এটা চমৎকার। এতটাই চিত্তাকর্ষক যে বর্ণনা করে বোঝানো সম্ভব নয়। অসাধারণ এক অনুভূতি। আল্লাহকে ধন্যবাদ এটি এমন কিছু যা আমি সবসময় দেখতে চাইতাম।

বাংলাদেশি মোহাম্মদ নাসের বলেন, ব্যবস্থাপনা সন্তোষজনক। কখনও কখনও খুব ভিড় লেগে যায় তবে আমার মনে হয় তারা সবকিছু ঠিকমত সামাল দিচ্ছে। এখানে আসতে পেরে আমি খুবই খুশি।

কাবা শরিফের প্রেসিডেন্সি প্রকল্পের ব্যবস্থাপক আমজাদ আল-হাজিম বলেন, কাবা ঘরের চারপাশের এলাকা প্রসারিত করার একটি প্রকল্পে কাজ করছি। এর ফলে প্রতি ঘণ্টায় এক লাখ সাত হাজার মানুষ আসা যাওয়া করতে পারবে। আগে যেখানে ঘণ্টায় ৪৮ হাজার মানুষের ব্যবস্থা ছিল। হজযাত্রীদের জন্য সব কিছু সহজ ও নিরাপদ করতে সবকটি কার্যকরী পরিসেবা নিশ্চিত করা হয়েছে।

২০১৫ সালে ক্রেন দুর্ঘটনা ও পদদলিত হয়ে নিহত হন দুই হাজারেরও বেশি হাজি। তবে এ সংখ্যা সাতশো ৬৯ বলে দাবি সৌদি আরবের। এবার হজে অংশ নিচ্ছেন বিশ্বের নানা প্রান্তের ২০ লাখের বেশি মুসল্লি। হাজিদের নিরাপত্তায় সব ধরনের পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে সৌদি সরকার।

-এজেড

 


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ