সাজিদ নূর সুমন : ত্যাগেই সুখ’-আর সেই ‘সুখ’ টয়লেটে ত্যাগ করার সময় হাত-পা গুটিয়ে বসে থাকলে কি চলে! পকেট থেকে তখনই বেরিয়ে আসে বর্তমান যুগের সবচাইতে প্রিয় যন্ত্র ‘স্মার্টফোন’। একজন ভালো বন্ধুর মতোই সুখের সময়টাকে ক্রমেই দীর্ঘায়িত করতে থাকে। আর ইন্টারনেট সংযোগ থাকলে তো কথাই নেই।
অনেকের সঙ্গেই উপরের বিষয়গুলো মিলে যাবে। তবে তুচ্ছ এই বদোভ্যাস কতটা ক্ষতিকর হতে পারে তা তুলে ধরেছে স্বাস্থ্যবিষয়ক এক ওয়েবসাইট।
শৌচাগারে মোবাইল নিলে বিভিন্ন ধরনের জীবাণুর সংস্পর্শে আসে। কারণ ‘কাজ’ শেষে পরিষ্কার হওয়ার সময় ফোন শৌচাগারেই কোথাও রাখতে হয় কিংবা হাতে থাকে। ফলে টয়লেটে থাকা বিভিন্ন জীবাণু যন্ত্রের গায়ে লেগে যায়। পরে ফোন ব্যবহারের সময় আবার হাতে বা গালে লাগে। তাই হাত পরিষ্কার করার কোনো মানেই রইল না।
অফিস, রেস্তোরাঁ, আবাসিক হোটেলের টয়লেট বা গণ-শৌচাগার অনেক মানুষ ব্যবহার করে। সেগুলোতে রোগ জীবাণুর মাত্রা আরও বেশি। তাই এসব স্থানে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দেওয়ার সময় ফোনটা পকেটে থাকাই নিরাপদ।
যন্ত্রাংশ বা কোনো ‘অ্যাপ’ চলতে থাকা বা শরীরের সংস্পর্শে থাকার কারণে মোবাইল বেশিরভাগ সময় একটি উষ্ণ তাপমাত্রায় থাকে। যা জীবাণুর বংশবিস্তারের জন্য আদর্শ পরিবেশ। খাওয়ার সময় মোবাইল টেবিলের পাশে থাকলে বা ব্যবহার করলে খাবারের উচ্ছিষ্ট ফোনে লাগার সম্ভাবনা থাকে।
খাবার থেকে হাতে লেগে থাকা তেল ফোনে লাগলে সেটা ব্যাক্টেরিয়া বৃদ্ধির সহায়ক হিসেবে কাজ করে। ফলে টয়লেট থেকে ফোনে আসা জীবাণুর বংশবিস্তার করতে সুবিধা হয়।
তাই ফোন বা ট্যাবলেট নয়, প্রাচীন পদ্ধতিতে শৌচাগারে সময় কাটাতে কোনো ‘ট্যাবলয়েড’ বা খবরের কাগজ পড়ার অভ্যাস করুন। এগুলো অনেক নিরাপদ। তবে সবচেয়ে ভালো হয়, শৌচাগারের কাজ সেরে দ্রুত ওই স্থান ত্যাগ করা। দীর্ঘসময় শৌচাগারের বসে থাকা মূল্যবান সময় ও স্বাস্থ্য দুটোই নষ্টের কারণ।
-এজেড