আবু আবদুল্লাহ: ২৪ আগস্ট দারুল উলুম হাটহাজারীর মিশকাত শরীফের দরসে রাসুল সা. কেমন ছিলেন তা বর্ণনা করতে গিয়ে রাসুলের মুহাব্বতে নিজে কাদঁলেন ও ছাত্রদের কাঁদালেন আল্লামা হাফেজ জুনাইদ বাবুনগরী৷
মিশকাত শরীফের কিতাবুল ঈমানে বর্ণিত ‘লা—উ'মিনু আহাদুকুম হাত্তা আকুনা আহাব্বা ইলাইহি মিও ওলিদিহি ও ওলাদিহি ওয়ান্নাছি আজমাঈন’ হাদীসের তাকরীরে রাসুল সা. কেমন ছিলেন তা বর্ণনা করতে গিয়ে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন আল্লামা বাবুনগরী৷
হাদীসের আলোকে হুজুর সা এর অবয়ব, গঠন ইত্যাদি বর্ণনা করছিলেন তিনি। হুজুর সাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের শানে ‘লামিয়াতুল মু'জিজাত’ নামের কিতাবের একটি শে'র পড়তে গিয়ে আবেগাপ্লুত হয়ে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন তিনি। কান্নায় হুজুরের আওয়াজ বন্ধ হয়ে যায়৷ রাসুলের মুহাব্বতে ব্যাকুল হয়ে পড়েন প্রকৃত আশেকে রাসুল বাবুনগরী৷হুজুরের কান্না দেখে মুহূর্তের মধ্যে দরসের অবস্থা পরিবর্তন হয়ে যায়৷ নীরব নিস্তব্দ হয়ে যায় পুরো দরসগাহ (ক্লাস রুম)৷
নিজেকে ঠিক রাখতে না পেরে তখন কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন দরসের ছাত্ররা৷ অনেকেই অঝরে কেঁদেছে৷ এ যেন হুব্বে রাসুলের ঐতিহাসিক নজির স্থাপন করলেন আল্লামা বাবুনগরী৷
২০১৩ সালের হেফাজত আন্দোলনেও বাবুনগরী হুব্বে রাসুলের জলন্ত প্রমাণ রেখছেন৷ রাসুলের অবমাননাকারী নাস্তিকদের সর্বোচ্চ শাস্তি ফাঁসির দাবিতে শাপলার ঐতিহাসিক শহীদ চত্বরে বীর সেনানীর ভূমিকায় ছিলেন আল্লামা বাবুনগরী৷ অগ্নিঝরা ভাষণে কাপিয়ে তুলেছিলেন বাংলার রাজপথ৷ নাস্তিকদের বিরুদ্ধে গড়ে তুলেছিলেন দূর্বার আন্দোলন৷ তাঁর জ্বালাময়ী ভাষণে উজ্জিবিত হয়েছিল তাওহীদি জনতার মৃত হৃদয়৷
রাসুলের ইজ্জত রক্ষার্থে সহ্য করেছিলেন জালিম সরকারের নির্যাতন। সয়ে ছিলেন কারাপ্রকোস্টে উনিশ দিন রিমান্ডের অমানবিক নির্যাতন৷ জালিমের নির্যাতনে পতিত হয়েছিলেন জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে৷ কিন্তু এতদসত্বেও চুল পরিমাণ পিছপা হননি এই আশেকে রাসুল৷ আল্লাহ তা'য়ালা হুজুরকে নেক হায়াত দান করুন, এবং হুজুরের ইলম ও আমাল থেকে আমাদেরকে মুস্তাফিদ হওয়ার তাওফীক দান করুন, আমীন।
কুড়িগ্রামে ২৪’শ পরিবারে ত্রাণ দিলেন অনন্ত জলিল