হাওলাদার জহিরুল ইসলাম: মাওলানা হাসান মুহাম্মাদ জামিল৷ একজন কর্মব্যস্ত উদ্যমী আলেম৷ চিন্তক, গবেষক৷ বাংলাদেশের একজন শীর্ষস্থানীয় ওয়ায়েজ৷ যিনি রাজধানীর জামিয়া ইসলামবাগে প্রায় এক যুগ হাদিসের দরসের সাথে যুক্ত ছিলেন৷
গত ২০১১ সালে রাজধানীর সায়েন্সল্যাব এলাকায় নিজেই ‘দারুল উলুম রহমানিয়া’ নামে একটি অত্যাধুনিক মাদরাসা প্রতিষ্ঠা করেছেন৷ যেখানে সমাজের উচ্চ শ্রেণির মানুষের সন্তানরাই বেশি৷ এতে খুব সহজেই উচ্চবিত্তদের কাছে দীনের আলো পৌঁছে দেয়া সম্ভব হচ্ছে৷ এছাড়াও তিনি সায়েন্সল্যাবস্থ ‘বাইতুল মা’মুর’ মসজিদে অত্যন্ত সুনামের সাথে দীর্ঘদিন ধরে খতিবের দায়িত্ব পালন করে আসছেন৷
সম্প্রতি তিনি কাদিয়ানি সম্প্রদায়ের অপতৎপরতা রোধে বেশ কিছু বুদ্ধিবৃত্তিক উদ্যোগ নিয়েছেন৷ যুগের চাহিদা অনুযায়ী মাঠের আন্দোলনের বিপরীতে মিডিয়া ভিত্তিক আন্দোলন গড় তুলতে কাজ করে যাচ্ছেন৷ ইতোমধ্যে তিনি Al-Huda নামে একটি পেইজও খুলে সেখানে কাদিয়ানিদের ভ্রান্ত মতবাদগুলোর ধারাবাহিক জবাব দিয়ে আসছেন৷ যা অল্প সময়ে শোস্যাল মিডিয়ায় ব্যপক সাড়া ফেলেছে৷
এদিকে আগামী কাল বাদ জোহর তার মাদরাসায় অনুষ্ঠিত হবে অত্যন্ত সময়োপযোগী একটি সেমিনার৷ যেখানে মূল আলোচ্য বিষয় থাকবে, ১৷ ইরতেদাদ বা ধর্মত্যাগ প্রসঙ্গ৷ ২৷ কাদিয়ানী মতবাদ প্রসঙ্গ৷ ৩৷ বিশ্বব্যাপী মিডিয়া সন্ত্রাস: করণী কী?
আনুষ্ঠান সূচিতে রয়েছে, ১. বাদ যোহর [২.৩০] ইরতিদাদ ও ইস্তিশরাকের চ্যালেঞ্জ: আমাদের করণীয়
আলোচক: রেনেসাঁর কবি মূসা আল হাফিজ। ২. বাদ আসর: তথ্যসন্ত্রাস: আমাদের দায়িত্ব
আলোচক: মিডিয়া ব্যক্তিত্ব মাওলানা শরীফ মুহাম্মদ। ৩. বাদ মাগরিব: কুরআনের ব্যাখ্যায় কাদিয়ানীদের [আহমদীয়া মুসলিম জামাত] ভয়ঙ্কর বিকৃতি- আলোচক: প্রখ্যাত মুনাযির ও দায়ী মুফতি আব্দুল মজিদ।
হাসান মুহাম্মদ জামিল শুরু থেকেই তুলনামূলক তরুণদের নিয়ে কাজ করে আসছেন৷ এ প্রসঙ্গে তার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এরাই বেশি বিভ্রান্ত হয়৷ তরুণরাই আগামীর রাহবার, এরা শুদ্ধ হলে আগামী শুদ্ধ হবে৷’
আয়োজিত সেমিনারটি সবার জন্য উন্মুক্ত৷ যারা অংশগ্রহণ করতে চান তারা নিচের ঠিকানাটি নোট করে নিন৷
‘নিউ মার্কেট ও সাইন্সল্যাবরেটরী মোড়ের মাঝামাঝি; ৩২ মিরপুর রোড, ঢাকা টিচার্সট্রেনিং কলেজের বিপরিতে দারুল উলূম রাহমানিয়া মাদ্রাসা।’
বারিধারা জামিয়ায় রাজনীতি চর্চা, সময়ানুপাতে প্রশংসনীয় উদ্যোগ