শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪ ।। ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :

ভারতের স্বাধীনতা যুদ্ধে আলেমদের অবদান ভুললে চলবে না

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম : গত ১৫ ভারতের স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে দারুল উলুম দেওবন্দ আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে আওলাদে রাসুল সাইয়েদ আরশাদ মাদানি ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলন ও উলামায়ে দেওবন্দের অবদান বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভাষণ দেন।দারুল উলুম দেওবন্দের জাদিদ লাইব্রেরীর হল রুমে দেয়া তার সে ভাষণের সার-সংক্ষেপ তুলে ধরেছেন আওয়ার ইসলামের বিশেষ প্রতিবেদক হাওলাদার জহিরুল ইসলাম।

আমাদের স্বাধীনতা দিবস উদযাপনের উদ্দেশ্য হলো, আমরা আমাদের পূর্বসূরীদের স্মরণ করবো এবং তাদের ত্যাগের ইতিহাসকে পর্যালোচনা করবো৷ যাতে রাষ্ট্রের সব নাগরিক ও আজকের যুব সমাজ সে ইতিহাস সম্পর্কে সম্যক ধারণা লাভ করতে পারে।স্বাধীনতার মর্যাদা বুঝতে পারে৷

অাটশত বছর মুসলিম শাসনের পর অত্যাচারী ব্রিটিশরা এ দেশের উপর জবর দখল করে বসলে কতোটা ত্যাগ স্বীকার করে এ দেশের মুসলিম, হিন্দু ও শিখরা কীভাবে দেশ স্বাধীন করেছে তা জানা থাকা দরকার৷

আফসোস! আজ আমরা নিজেদের ইতিহাস থেকে হাত গুটিয়ে নিয়েছি! আমাদের পূর্বসূরী হজরত শাহওয়ালি উল্লাহ মুহাদ্দিসে দেহলবি থেকে নিয়ে ভারত স্বাধীন হওয়া পর্যন্ত দীর্ঘ ইতিহাস আলোচনায় আসা উচিৎ৷

আবদুল্লাহ জঙ্গি নয়, আরশাদ মাদানি’র তীব্র নিন্দা

যদিও সে লম্বা ইতিহাস এতো অল্প সময়ে বর্ণনা করা সম্ভব নয়৷ কিন্তু এতোটুকু আপনাদের (উপস্থিত তরুণ আলেমদের প্রতি) অবশ্যই জানা থাকতে হবে যে ইংরেজদের গ্রাস থেকে ভারতকে স্বাধীন করতে সর্বপ্রথম কোন ব্যক্তি স্বাধীনতার ডাক দিয়েছিলেন, দেশবাসীর অন্তরে স্বাধীনতার প্রেরণা যুগিয়েছিলেন? তিনি হলেন শাহ ওয়ালিউল্লাহ রহ. এর সুযোগ্য সন্তান হজরত শাহ আবদুল আজিজ মুহাদ্দিসে দেহলবি রহ. স্বাধীনতা যুদ্ধে তার অবদানকে অস্বীকার করার কোনো সুযোগ নেই৷

তার আহবানে সাড়া দিয়ে ভারতের আপামর জনগণ স্বাধীনতা সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়ে। এভাবে ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনে পটভূমি তৈরি হয়। পরবর্তী আন্দোলন ও সংগ্রামেও উলামায়ে দেওবন্দ সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন এবং দেশের জন্য সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করেছেন।

ভিডিও থেকে অনুবাদ করেছেন হাওলাদার জহিরুল ইসলাম

ভিডিও দেখুন : "> 


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ