আওয়ার ইসলাম : কওমি মাদরাসার শিক্ষার্থীরা দেশ ও সমাজকে আলোকিত করার চেতনা ও যোগ্যতা ধারণ করে। যুগেযুগে প্রতিটি প্রজন্ম এর সাক্ষর রেখেছে। সাধারণ শিক্ষা, আলিয়া, কারিগরি সকল ক্ষেত্রে পরীক্ষায় ভালো ফলাফল অর্জনকারীদের জন্য কৃতী শিক্ষার্থী সংবর্ধনার রেওয়াজ দীর্ঘদিনের কিন্তু কওমী শিক্ষার্থীদের জন্য আমি মনে করি এটা সারা বাংলাদেশ নতুন, প্রথম এবং ব্যতিক্রমী উদ্যোগ।
বুধবার বিকেল ৪টায় চট্টগ্রাম জেলা পরিষদ মিলনায়তনে বাংলাদেশ কওমী মাদরাসা শিক্ষাবোর্ড (আল হাইয়াতুল উলইয়া লিল জামিয়াতিল কওমিয়া) এর অধীনে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ সরকার-কর্তৃক সদ্য স্বীকৃতিপ্রাপ্ত দাওরায়ে হাদিস (মাস্টার্স)-এর ২০১৭ সালের কেন্দ্রীয় পরীক্ষায় চট্টগ্রাম বিভাগ থেকে মেধা তালিকায় উত্তীর্ণ ছাত্রদেররকে প্রদত্ত কৃতী শিক্ষার্থী সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে চট্টগ্রামের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) আলহাজ্ব মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান উপরোক্ত কথা বলেন,
তিনি আরও বলেন, অনেক প্রতিকুলতা সত্ত্বেও কওমি আলিম ও কওমি শিক্ষার্থীদের আদর্শ, নৈতিকতা, দেশপ্রেম, যোগ্যতা সম্পর্কে ওয়াকিবহাল মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দাওরায়ে হাদিসের সনদের স্বীকৃতি দিয়েছেন। এ জন্য আমরা তার কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি এবং তাকে অভিনন্দন জানাই।
তা‘লীমুল কুরআন কমপ্লেক্সের চেয়ারম্যান ও অনুষ্ঠানের উদ্যোক্তা আলহাজ্ব হাফেজ মুহাম্মদ তৈয়্যব এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন, কেন্দ্রীয় কারা পরিদর্শক ও চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলর আলহাজ্ব হাসান মুরাদ বিপ্লব ও জামিয়া ওবায়দিয়া নানুপুর এর মহাপরিচালক মাওলানা সালাহুদ্দিন নানুপুরী।
অন্যান্যের মধ্যে অতিথি উপস্থিত ছিলেন, মাওলানা হাকিম এম এ তাহের আরবী, মুফতি আবদুল ওয়াহহাব, আলহাজ্ব আল মোহাম্মদ ইকবাল, মাওলানা হাবিবুর রহমান আতিকী, মাওলানা মুসলেহ উদ্দিন প্রমুখ।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে মেধা তালিকার শীর্ষে উত্তীর্ণ কৃতী শিক্ষার্থীদের মধ্যে সম্মাননা পুরস্কার ও সনদ বিতরণ করা হয়। কৃতী শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বক্তব্য রাখেন শীর্ষ ৪০ জনের দ্বাদশ স্থানে উত্তীর্ণ মুহাম্মদ ইযাযুল হক।
-এজেড