ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ভবনের একটি কক্ষে বসে কাজ করছিলেন সাইকোলজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আকিব উল হক এবং ক্লিনিক্যাল সাইকোলজি বিভাগের এক শিক্ষিকা। দরজা খোলা থাকলেও রুমটিতে ছিল পর্দা টানানো।
এ সময় হঠাৎ হাজির হলেন আকিবের স্ত্রী। ওই শিক্ষিকার সঙ্গে ‘অনৈতিক সম্পর্ক’ আছে আকিবের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ তুলে হট্টগোল শুরু করেন তিনি। ছুড়ে ফেলেন দুই শিক্ষকের সামনে থাকা ফাইলপত্র।
শনিবার রাত ৮টায় এ ঘটনা ঘটে। চিৎকার চেঁচামেচির এক পর্যায়ে ঘটনাস্থলে হাজির হন সাইকোলজি বিভাগের আরেক শিক্ষক। ঘটনার বিষয়ে জানান বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর অধ্যাপক এ এম আমজাদকে। প্রক্টর আমজাদ ঘটনাস্থল থেকে আকিব উল হক এবং তার স্ত্রীকে প্রক্টর অফিসে ডেকে আনেন। বাসায় পাঠিয়ে দেন সঙ্গে থাকা ওই শিক্ষিকাকে।
প্রক্টর অফিসে দীর্ঘ দেড় ঘণ্টা ধরে বিষয়টি মিমাংসার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন প্রক্টর। এক পর্যায়ে বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. নাসরিন ওয়াদুদের কাছে তাদের পাঠানো হয়।
ড. আমজাদ বলেন, “সহকর্মীর সঙ্গে স্বামীর প্রেমের সম্পর্ক আছে বলে দীর্ঘদিন দিন ধরে সন্দেহ করছিলেন ওই নারী। সন্দেহের কারণেই আজ রাতে তিনি হঠাৎ হানা দেন বিভাগে শিক্ষকদের অফিসে। সেখানে দুজনকে একসঙ্গে দেখতে পান। আটক শিক্ষিকার স্বামী গবেষণার কাজে দেশের বাইরে রয়েছেন।”
তিনি বলেন, “যেহেতু বিষয়টা পারিবারিক, তাই বিষয়টি মীমাংসার দায়িত্ব বিভাগের চেয়ারপারসনকে দেয়া হয়েছে। তিনি বিষয়টি সমাধান করবেন।”