তাওহীদ মাদানী
দেওবন্দ থেকে
ভারতের উত্তর প্রদেশের সাবেক মন্ত্রী নাসিম উদ্দিন সিদ্দিকী তার মন্ত্রিত্বের মেয়াদ ফুরানোর পর আজ সকালে সাক্ষাত করলেন দারুল উলুম দেওবন্দের মুহতামিম মুফতী আবুল কাসেম নোমানীর সঙ্গে৷ ইতোমধ্যেই বিষয়টি নিয়ে নানা গুঞ্জন শুরু হয়েছে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে৷
কেউ কেউ বলছেন, রাজনৈতিক চাল হিসেবে তিনি দেওবন্দ গেছেন। আবার কেউ কেউ বলছেন, এর বিপরীত কিছু৷ তবে সাবেক এ মন্ত্রী স্পষ্ট জানিয়েছেন দেওবন্দে আসার অনেক শখ ছিল, সে কারণেই আসা।
দারুল উলুম দেওবন্দের মুহতামিমের সঙ্গে সাক্ষাতকালে কুশল বিনিনয়ের পরই তিনি জানান, ছোটবেলা থেকেই বড়দের মুখে শুনে আসছি দেওবন্দের কথা৷ যার ফলে মনের একটি চাহিদা ছিলো মৃত্যুর পূর্বে একবার হলেও দেওবন্দ দেখতে আসা৷ এতদিন কাজের ব্যস্ততায় সে সুজোগই পাইনি৷ এখন কর্মব্যস্ততা আগের চেয়ে কম৷ তাই সময় করে দেখতে ছুটেই এলাম স্বপ্নের দারুল উলুম দেওবন্দ৷ এখানে আসার মূল উদ্দেশ্যই হল অন্তরের প্রশান্তি৷ আমি নিদ অন্তরের প্রশান্তির জন্যই ছুটে এসেছি দেওবন্দে৷ ভিন্ন কোনো মাকসাদ নেই আমার৷
দেওবন্দের মুহতামিম মুফতী আবুল কাসেম নোমানী জানান, দেওবন্দ কোনো রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান নয়৷ তাই দল মত নির্বিশেষে সবার জন্য খোলা দেওবন্দের দরজা৷ নির্বাচনের প্রাক্কালে আমরা সর্বদিক থেকে সতর্ক থাকি যেনো কোনো রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের সাথে আমাদের প্রতিষ্ঠানের কারো যোগাযোগ না থাকে! তবে ওই সময়ও দেওবন্দের দরজা উন্মুক্ত থাকে সবার জন্য৷
তিনি আরো জানান, দারুল উলুম দেওবন্দর সম্পর্ক কেবল পড়ালেখা ও শিক্ষা-দীক্ষার সাথে৷ কোনো রাজনৈতিক মত লালন করে না দারুল উলুম দেওবন্দ৷ আর এই কারনেই পুরো বিশ্বে উম্মুল মাদারিস হিসেবে একক অবস্থানে রয়েছে দারুল উলুম দেওবন্দ৷ উপরন্তু দারুল উলুম সকল ইসলামপন্থীদের জন্য কল্যান ও সফলতার কামনা করে৷
উল্লেখ্য, নাসিম উদ্দিন সিদ্দিকী ছিলেন উত্তর প্রদেশের বর্তমান প্রধান বিরোধী দল বিএসপি’র জেনারেল সেক্রেটারী এবং ২০১২-২০১৬ সেশনের উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী৷ গত মার্চ ২০১৭ তে উত্তর প্রদেশে নির্বাচন হলে বিজেপি ক্ষমতায় আসে এবং বিএসপি হয় প্রধান বিরোধী দল৷ নির্বাচন প্রাক্কালে দলীয় কোন্দলে দল থেকে ইস্তেফা দেন নাসিম উদ্দিন সিদ্দিকী৷
দেওবন্দের দ্বিতীয় মুহতামিম মাওলানা রফি উদ্দিন রহ.
গাজীপুর-২ আসনে নির্বাচন করবেন গাজী আতাউর রহমান