আওয়ার ইসলাম : পৃথিবী ধ্বংসের কিছু পূর্ব লক্ষণ রয়েছে এবং রয়েছে কিছু বৈজ্ঞানিক থিওরি। তার সাথে যুক্ত হয়েছে একটি নতুন থিওরি। যে থিওরিতে দাবি করা হয়েছে, অনুযায়ী কেয়ামতের একটি গুরুত্বপূর্ণ নিদর্শন পূর্ণ হয়েছে। ফলে আগামী অক্টোবরে কেয়ামত সংগঠিত হবে।
মেইল অনলাইনের রিপোর্ট অনুযায়ী নতুন তত্ত্বের জনক ডেভিট মিডি।তিনি একটি বই লিখেছেন। বইয়ের নাম Planet X - The 2017 Arrival (প্লানেট এক্স দ্য দু থাউজেন সেভেনটিন এরাইভ্যাল)।
ডেভিড তার গ্রন্থে লিখেছেন, প্লানেট এক্স নামে একটি তারকা নিজের কক্ষপথ থেকে বিচ্যূত হয়ে আমাদের পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসছে। আগামী অক্টোবরে পৃথিবীর সঙ্গে তার সংঘর্ষ হবে।
প্লানেট এক্স শুধু একা ধেয়ে আসছে না; বরং সাথে তার ৭ উপগ্রহ নিয়ে আসছে। ৭ উপগ্রহের মধ্যে রয়েছে নিবিরু। উপগ্রহ নিবিরুর ব্যাপারে ২০১৩ সালেই ভবিষ্যত বাণী করা হয় যে, নক্ষত্রটি পৃথিবীতে আছড়ে পড়লে পৃথিবীর জীবের অস্তিত্ব বিলীন হয়ে যাবে। নিবিরু একটি বৃহৎ আকারের নীলাভ নক্ষত্র। অন্যান্য থিওরিতে নিবিরুকেই বলা হয়েছে প্লানেট এক্স। যা আমাদের পৃথিবীর প্রান্তে রয়েছে।
ধর্মভিত্তিক রাজনীতি বন্ধ না হলে সামনের নির্বাচনে কেয়ামত: শাহরিয়ার কবির
ডেভিড মিডি দাবি করেছেন, তিনি বৈজ্ঞানিক গবেষণা, জ্যোতির্বিদ্যা ও বাইবেলে বর্ণিত কেয়ামতের নিদর্শনের উপর ভিত্তি করে তার থিওরি প্রণয়ন করেছেন। তার কথা ঠিক থাকলে কেয়ামতের বাকি আছে মাত্র কয়েক সপ্তাহ।
তবে এ ধরনের থিওরির গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে সংশয় থেকেই যায়। কেননা ইতিপূর্বে এমন দাবি আরও অনেকে করেছেন। এমনকি তারা বিভিন্ন সময় কেয়ামতের তারিখও ঘোষণা করেছেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তাদের দাবি সত্য বলে প্রমাণিত হয় নি।
এছাড়াও ইসলামি ধর্মবিশ্বাস অনুযায়ী এখনো কেয়ামতের বড় বড় বেশ কিছু নিদর্শন প্রকাশ পায় নি। সুতরাং অক্টোবরে কেয়ামতের সম্ভাবনা খুবই সামান্য।
ডেভিডের সূত্রে আরও দাবি করা হয়েছে কয়েক শত বছর পূর্বে নিবিরু এক বিস্ফোরণের ফলে নিজ কক্ষপথ থেকে বিচ্যূত হয়। এরপর তা পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসছে। এ বছর অক্টোবরে তা পৃথিবীতে আছড়ে পড়বে। তবে অধিকাংশ বিজ্ঞানী তার এ থিওরি অস্বীকার করেছে। তারা বলেছে, পৃথিবীর নিকটতম নক্ষত্রগুলো তারা পর্যবেক্ষণ করছেন। নিবিরু নামক ধাবমান নক্ষত্র তাদের দৃষ্টিতে পড়ছে না।
সূ্ত্র : ডেইলি পাকিস্তান