মুহাম্মাদ মামুনুল হক
সম্পাদক, মাসিক রাহমানী পয়গাম
আল আকসায় আবার নতুন করে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে ৷ মুসলমানদের প্রথম কিবলায় মুসলমানদের জুমার নামাযে বাধা সৃষ্টি করে একতরফাভাবে নতুন এই উত্তেজনার জন্ম দিল জায়নবাদী ইসরাইলী হানাদার বাহিনী ৷ আর দিবেই না বা কেন? আরব নেতৃত্বের নতজানু ও ইহুদী তোষণনীতির পরিণাম এ ছাড়া আর কীই বা হতে পারে? তবে আশার কথা হল, ফিলিস্তিনের বীর তাওহিদি জনতা বরাবরের মত বুক চিতিয়েই অটল থেকেছে জালিমের বুলেটের সামনে৷
ইসরাইলের এই ঘৃণ্য হামলার বিরুদ্ধে সারা পৃথিবীর শান্তিকামী মানুষ প্রতিবাদ-বিক্ষোভে ফেটে পড়লেও বিশ্ব ফোরাম জাতিসংঘ তাদের সেই চিরাচরিত মুসলিম বিরোধী অবস্থানে নাকে তেল দিয়ে ঘুমে বিভোর ৷
জাতিসংঘের চেয়েও নির্লজ্জ ভূমিকা ওআইসি ও আরব লীগের ৷ চোখের সামনে নিরীহ মুসলমানের রক্তের স্রোত শুষ্ক মরুভূমিতে খুনের দরিয়া বইয়ে দিলেও তারা নির্বিকার! দায়সারা গোছের বিবৃতি আর নিন্দাজ্ঞাপনের মধ্যেই সীমাবদ্ধ তাদের দায়িত্বপালন ৷ ভ্রাতৃঘাতি দ্বন্দ্বে সৌদিজোট যেমন মুসলিম কাতারের বিরুদ্ধে তরিৎ খড়গহস্ত হয়ে গেল, ইহুদী ইসরাইলের বিরুদ্ধে তেমন কোনো পদক্ষেপ সৌদিজোটের কাছ থেকে দেখা যায়নি ৷
দুর্ভাগ্য মুসলিম জাতির, তাদের নেতৃত্ব ভ্রাতৃঘাতি লড়াইয়ে যতটা বীর সাহসী, শত্রুর সাথে মোকাবিলায় ঠিক ততটাই বুজদিল৷ এটাই কুদরতের ফায়সালা৷ পবিত্র কুরআনের ঘোষণাও তাই, "আর তোমরা বিবাদ করো না, করলে তোমরা ভীরু-বুজদিল হয়ে পড়বে এবং তোমাদের প্রভাব চলে যাবে" ৷
আলআকসার উদ্ভূত পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ সরকারের ভূমিকাও হতাশাজনক ৷ বরাবরের মত নীরব তারা ৷ মানবতাবাদী রাষ্ট্র হয়ে থাকলে জুলুমের বিরুদ্ধে মুখে কুলুপ এটে বসে থাকার কোনো সুযোগ নেই ৷
জানি না নেতৃত্বের এই ব্যর্থতার মাসুল উম্মতে মুসলিমার নারী-পুরুষদের আর কত রক্তের বিনিময়ে গুণতে হবে৷ শহিদী রক্তের স্রোত বেয়েই হয়ত এক সময় বেরিয়ে আসবে জাতির ত্রাণকর্তা সেই ওয়ালী আর নাসীর, যার জন্য হাহাকার চলছে নির্যাতিত প্রতিটি মুসলিম জনপদে ৷
কুরআনের ভাষায় "হে আমাদের রব, আমাদেরকে জালিমদের জনপদ থেকে উদ্ধার করুন ৷ আর আমাদের জন্য আপনার পক্ষ থেকে যিম্মাদার ঠিক করে দিন, আর আপনার পক্ষ থেকেই সাহায্যকারী প্রেরণ করে দিন "৷
অস্ট্রেলিয়ান পুরুষরা শুক্রানুশূন্য; নারীদের প্রয়োজন মুসলিম পুরুষ