আওয়ার ইসলাম : রাজশাহী মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড থেকে অনুষ্ঠিত এবারের এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিলেন ১৯ জন শারীরিক প্রতিবন্ধী। এঁদের মধ্যে পাস করেছেন ১৬ জন। তাঁদের মধ্যে ১২ জনই দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী।
তাঁদের মধ্যে সর্বোচ্চ জিপিএ ৪ দশমিক ৬৭ পেয়ে পাস করেছেন শারীরিক প্রতিবন্ধী রাজু আহমেদ। রাজু রাজশাহীর মোহনপুর উপজেলার শ্যামপুর কলেজের শিক্ষার্থী। আরেক শারীরিক প্রতিবন্ধী নওগাঁর আত্রাইয়ের মোল্লা আজাদ স্মারক কলেজের শিক্ষার্থী আসিফা মেহেজাবিন পেয়েছেন জিপিএ ৪ দশমিক ০৮। একই ফল নিয়ে উত্তীর্ণ হয়েছেন বগুড়ার শাহ সুলতান ডিগ্রি কলেজের শিক্ষার্থী স্নিগ্ধা খাতুন। এ ছাড়া জিপিএ ২ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছেন নাটোরের আজম আলী কলেজের শিক্ষার্থী মিলন আহমেদ। বিধি অনুযায়ী, এঁরা প্রত্যেকেই নির্ধারিত সময়ের চেয়ে ২০ মিনিট অতিরিক্ত সময় পেয়েছিলেন।
এদিকে, পাবনার শহীদ বুলবুল সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী রবিউল ইসলাম ও মনসুর আলী পাস করেছেন জিপিএ ৪ দশমিক ৫০ পেয়ে। ওই কলেজেরই শিক্ষার্থী রবিউল ইসলাম জিপিএ ৪ দশমিক ৩৩, সুমন আহমেদ চৌধুরী জিপিএ ৪ দশমিক ২৫ এবং জামিল হোসেন জিপিএ ৪ দশমিক ১৭ পেয়ে পাস করেছেন। বগুড়ার আজিজুল হক সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী আবি রাফি মো. সায়েম পেয়েছেন জিপিএ ৪ দশমিক ৩৩।
পাবনা কলেজের মাহবুব আলম জিপিএ ৪, জয়পুরহাট সরকারি কলেজের ফরিদ হোসেন জিপিএ ৩ দশমিক ৮৩, বগুড়ার সরকারি এমআর মহিলা কলেজের জান্নাতুল মাওয়া জিপিএ ৩ দশমিক ৪২, পাবনার দাশুড়িয়া কলেজের জোবাইদুল ইসলাম জিপিএ ২ দশমিক ৯৪ এবং নাজির আকতার সরকারি কলেজের কফিল উদ্দীন জিপিএ ২ দশমিক ৭৫ পেয়ে পাস করেছেন।
তবে অকৃতকার্য হয়েছেন পাবনার সামশুল হুদা কলেজের মো. আব্দুল্লাহ, রাজশাহী মহানগরীর বঙ্গবন্ধু ডিগ্রি কলেজের আল আমীন ও মহানগর কলেজের শম্পা খাতুন। বিধি অনুযায়ী শ্রুতিলেখক নিয়ে পরীক্ষায় বসেছিলেন তাঁরা।
ফল ঘোষণার সময় তাঁদের অভিনন্দন জানান শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক তরুণ কুমার সরকার। তাঁদের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ কামনা করেন তিনি।
-এজেড