আন্দোলনের কর্মসূচিতে পুলিশি হামলা, আহত শিক্ষার্থী সিদ্দিকুরের চিকিৎসার ভার রাষ্ট্রীয়ভাবে বহন, আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের নামে পুলিশের দায়ের করা মামলা প্রত্যাহার ও অধিভুক্ত কলেজগুলোর চলমান সংকট নিরসনে ৭২ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত সাত সরকারি কলেজের শিক্ষার্থীরা৷
শনিবার (২২ জুলাই) বিকাল ৪টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে অনুষ্ঠিত এক প্রতিবাদ সমাবেশে তারা এ আল্টিমেটাম দেন৷ ৭২ ঘণ্টার মধ্যে তাদের দাবি না মানা হলে তারা আরও কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি দেন৷ কর্মসূচি ঘোষণা করেন সরকারি তিতুমীর কলেজের ২০১১-১২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী রিয়াজ মাহমুদ৷
তিনি বলেন, ‘অধিভুক্ত কলেজের শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক আন্দোলনে পুলিশি হামলা সভ্যতা ও শিক্ষাব্যবস্থার ওপর হামলা৷ আগামী তিন দিন অধিভুক্ত কলেজগুলোতে টানা বিক্ষোভ কর্মসূচি চলবে৷ এর মধ্যে দাবি না মানা হলে আগামী ২৬ জুলাই জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করবে শিক্ষার্থীরা৷ ওই দিন আরও কঠোর কর্মসূচি ষোষণা করা হবে৷'
বিভিন্ন কলেজের প্রতিনিধিরা বলেন,'আমরা রাজপথে থাকতে চাই না৷ আমরা ছাত্র৷ আমাদের থাকার কথা পড়ার টেবিলে, ক্যাম্পাসে৷ আমাদের দাবি না মানা হলে ঢাকা শহর অচল করে দেওয়া হবে৷'
তারা বলেন, ‘পুলিশের ওপর আমরা ইট-পাটকেল ছুড়েছি বলে অভিযোগ করা হচ্ছে৷ আমরা বলব,আপনারা সেদিনের মিডিয়া ও সিসিটিভি ফুটেজ চেক করুন৷ এ অভিযোগ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন৷
গুরুতর আহত সরকারি তিতুমীর কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী সিদ্দিকুর রহমানের প্রসঙ্গ টেনে তারা বলেন, ‘সিদ্দিকুর দরিদ্র ঘরের সন্তান৷ তার বাবা নেই৷ পুলিশের হামলায় তার চোখের আলো নিভতে চলেছে৷ তার চিকিৎসার দায়ভার রাষ্ট্রকে নিতে হবে, প্রয়োজনে ভালো চিকিৎসার জন্য তাকে দেশের বাইরে পাঠানোর ব্যবস্থা করতে হবে৷ তার জন্য চাকরির ব্যবস্থা করতে হবে৷ সিদ্দিকুরের চোখের আলো ফিরিয়ে দাও, হে রাষ্ট্র৷'
আজকের মধ্যে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে পুলিশের অজ্ঞাতনামা মামলা প্রত্যাহারের দাবিও জানানো হয় সমাবেশে৷ এ সময় চোখে কালো কাপড় বেঁধে আন্দোলনে পুলিশি হামলার প্রতিবাদ জানান শিক্ষার্থীরা৷
ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী শাহিন হোসেন বলেন,'শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশি হামলার দুই দিন পেরিয়ে গেলেও ঢাবি কর্তৃপক্ষ এমনকি কলেজ প্রশাসন আহতদের খোঁজখবর পর্যন্ত নেয়নি৷পুলিশি হামলায় শুধু সিদ্দিকুরের চোখ অন্ধ হয়নি,অন্ধ হয়ে গেছে দেশের শিক্ষাব্যবস্থা৷'