আওয়ার ইসলাম : ইউরোপ জয়ের স্বপ্ন দেখছে তাতার মুসলিমগণ। তারা নিজেদের সভ্যতা, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য ছড়িয়ে দেয়ার মাধ্যমে ইউরোপের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চায়। ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিক মেলবন্ধন তৈরির জন্য তারা মসজিদকে কেন্দ্র হিসেবে গ্রহণ করেছে।
বাল্টিক অঞ্চলের মুসলিমদের একটি দল ‘লিপকা তাতার’ নামে একটি গ্রুপ এই উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। লিপকা তাতার ১৯০৭ সালে গঠিত হয়। তবে দলটি মানুষের চোখে পড়ে ১৯৩৮ সালে জার্মানি পোল্যান্ড আক্রমণ করার পর। তখন ইউরোপ থেকে তাতার মুসলিমরা নিরাপদ আবাসের খোঁজে পৃথিবীর বিভিন্ন অঞ্চলে পাড়ি দেয় এবং নিজেদেরে ঐতিহ্য সংরক্ষণে লিপকা তাতারের উপর জোর প্রদান করে।
আমেরিকায় সংঘবদ্ধ তাতারাই তাদের আদি ভূমি ইউরোপে আপন সংস্কৃতিসহ ফিরে আসতে চাইছে। তারা ইউরোপের যে অঞ্চলে তাদের বসবাস ছিলো তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করার চেষ্টা করছে।
তাদের ভাষ্য হলো, ‘আমরা পোল্যান্ড ও বেলারুশের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। আমাদের মাঝে এমন অনেক কিছু আছে যা ্আমাদের অভিন্ন জাতিসত্ত্বার অধিকারী হওয়ার প্রমাণ। আমাদের ইতিহাসের শেকড় এক ও অভিন্ন।’
একইভাবে তারা লুথিনিয়াতেও কাজ করে যাচ্ছে। লিপকা তাতারের কর্ম-কৌশল হলো তারা মসজিদকে একটি সংস্কৃতিক ঐতিহ্যের কেন্দ্র হিসেবে প্রতিষ্ঠা করছে। সেখানে একই ঐতিহ্যের অধিকারী মানুষকে আমন্ত্রণ করে। অতপর তাদের সামনে তুলে ধরে ইসলামের সৌন্দর্য।
লিপকা তাতারভূক্ত লোকেরা নৃতাত্ত্বিকভাবে তুরস্ক থেকে চতুর্দশ শতকে ইউরোপের বলকান অঞ্চলে এসে বসবাস শুরু করে। এবং তারা স্থানীয় সংস্কৃতির আদলে ইসলামচর্চা শুরু করে। যেমন তাদের মসজিদগুলো তৈরি করা হয় কাঠ দিয়ে। বলকান অঞ্চল থেকে তাদের উচ্ছেদ করে ধর্মনিরপেক্ষ (ধর্ম বিদ্বেষী) সোভিয়েত ইউনিয়ন।
লিপকা তাতাররা বেলারুশি ভাষায় কথা বলে কিন্তু তা লেখে আরবি বর্ণে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পূর্ব পর্যন্ত আরবি বর্ণেই তার চর্চা হতো।
সূত্র : রেডিও লিবার্টি