শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪ ।। ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬


প্রাণীর ছবি এঁকে আমি হয়তো কাইয়ুম চৌধুরী হতাম না, কিন্তু কুরআনের হরফ এঁকে আরিফুর রহমান হয়েছি

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম: বাংলাদশের র্শীষ ক্যালিগ্রাফি শিল্পী আরিফুর রহমান। দেশ-বিদেশে যিনি বাংলাদেশের ক্যালিগ্রাফি শিল্পের সগৌরব প্রতিনিধিত্ব করছেন বহুকাল যাবত। সম্প্রতি তিনি প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে তুরস্কের একটি প্রদর্শনীতে সরাসরি আমন্ত্রণ পান এবং সবচেয়ে সুন্দর স্টল হিসেবে প্রশংসা অর্জন করেন। এর আগে প্রথম বাংলাদেশি ক্যালিগ্রাফি শিল্পী হিসেবে ইরানে আমন্ত্রিত হন তিনি।

আরিফুর রহমান ‘বাংলাদেশ ক্যালিগ্রাফি একাডেমি’র অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা এবং র্বতমান চেয়ারম্যান। দেশে এবং দেশের বাইরে ৬টা একক প্রর্দশনীর আয়োজন করেন এবং ২১টা যৌথপ্রর্দশনীতে তার একাধিক শিল্পকর্ম স্থান পেয়েছে। সহস্রাধিক ক্যালিগ্রাফি শিল্পকর্মের স্রষ্টা তিনি।

শিল্পী আরিফুর রহমান ১৯৫৯ সালে বরিশালে জন্ম গ্রহণ করনে। স্কুলেই নেন প্রাথমিক শিক্ষা।এরপর লালবাগ জামিয়ায় হিফজ সম্পন্ন করনে। ইতিমধ্যে শুরু হয় ৭১ সালের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধ। যুদ্ধে জামিয়া বন্ধ হয়ে যাওয়ায় নিজ গ্রামে চলে যান। সেখানে আবার পটুয়াখালীর বাউফলরে একটি স্কুলে ৮ম শ্রেণির ভর্তি হন।

ইন্টারমডিয়িটে শেষ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাজ বিজ্ঞান বিভাগে ভর্তি হন। এ বিভাগ থেকে ১৯৮৪ সালে মার্স্টাস সম্পন্ন করেন। প্রাতিষ্ঠানিক লেখাপড়া সমাজ বিজ্ঞানে হলেও তিনি হয়ে উঠেছেন দেশের অন্যতম সেরা ক্যালিগ্রাফি শিল্পী। তার এই শিল্পী ওয়ে ওঠার গল্প, বাংলাদেশের ক্যালিওগ্রাফি শিল্পের বর্তমান-ভবিষ্যত ও তার সাম্প্রতিক ইস্তাম্বুল সফরের বিবরণ তুলে এনেছেন আওয়ার ইসলাম টোয়েন্টিফোর ডটকমের বার্তা সম্পাদক রকিব মুহামম্দ

[caption id="attachment_43696" align="aligncenter" width="500"] শিল্পীর সঙ্গে কথা বলছেন রকিব মুহাম্মদ[/caption]

আওয়ার ইসলাম : ক্যালিগ্রাফির সাথে কিভাবে জড়িয়ে পড়লেন?

আরিফুর রহমান : ছোটবেলা থেকেই লেখালেথি ও আঁকাআঁকির অভ্যাসটা ছিল আমার মধ্যে। একসময় দৈনিক পূর্বদেশ, ইত্তেফাক, বাংলাদেশ টাইমস, অবজারবার আরো অনেক পত্রিকায় নিয়মিত ছড়া-কবিতা, গল্প লিখেছি। সাথে সাথে আঁকাআঁকিও করতাম। আমরা প্রাকৃতিক দৃশ্যের ছবিই বেশি আঁকতাম। কারণ, আব্বা ছোটবেলা থেকেই্ একটা জিনিস আমাদের মনে গেঁথে দিয়েছিলেন যে প্রাণীর ছবি আঁকতে ইসলামের বারণ আছে। আমি বিভিন্ন সময় আমি দৈনিক মিল্লাত, দিনকাল, জনতা এই ৩টা পত্রিকাতে স্টাফ আর্টিস্ট হিসেবে ৯ বছর কাজ করেছি।

আওয়ার ইসলাম : ক্যালিগ্রাফিতে হাতেখড়ি কীভাবে হয়?

আরিফুর রহমান : হাতেখড়ি বলতে যা বোঝায়, তা হয় আমার বড় ভাই মুসতাফিজুর রহমানের কাছে। তিনিও একজন আর্টিস্ট ছিলেন। মূলত তার হাত ধরেই আমার এ পথে আসা। আঁকাআঁকির সবকটা তিনিই আমাকে দেন। তবে সেটা ছিল, সাধারণ আর্ট, শিশু বয়সে যেটা হয়। আর সেই সময় থেকে হাতের লেখা সুন্দর করার বিষয়টাও কাজ করত।

অক্ষরকে কিভাবে সুন্দর করা যায়? হাতের লেখা কিভাবে সুন্দর করা যায়? এ ঝোঁক ও শখগুলো আমার মধ্যে ছিল। পরবর্তীতে যখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আসলাম , তখন আমরা ১৯৯০-১৯৯১ সালে চৌকস নামে একটি ডিজাইন হাউজ গড়ে তুলি। আমরা এই প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ইরান কালচারাল সেন্টারের নিউজলেটার নামে একটি পত্রিকায় কাজ করি।

আমার এই কথা বলার উদ্দেশ্য, এই ইরান কালচারাল সেন্টারের দেশি বিদেশি ক্যালিগ্রাফির বিভিন্ন বইপত্র, ম্যাগাজিন, পত্রপত্রিকা থেকেই মূলত ক্যালিগ্রাফির প্রেরণা পাই। তখন আমার কোন ‍উস্তাদ ছিল না, এই বইপত্রই আমার উস্তাদ।

১৯৯৬ সালে প্রথম ইরানে ফাস্ট ইসলামিক ক্যালিগ্রাফি ফেসটিভাল নামে আন্তর্জাতিক একটি ক্যালিগ্রাফি প্রদর্শনীতে আমন্ত্রণ পাই । ২৭টা দেশের ক্যালিগ্রাফি শিল্পীরা এই ফেস্টিভালে অংশগ্রহণ করেন। বাংলাদেশের ইতিহাসে সম্ভবত আমিই সর্বপ্রথম ক্যালিগ্যাফি নিয়ে বিদেশ সফর করি।

আওয়ার ইসলাম : তাহলে আমরা কি বলবো আপনার হাত ধরেই এ দেশে ক্যালিগ্রাফির আগমন….

আরিফুর রহমান : না, বাংলাদেশের ক্যালিগ্রাফির ইতিহাস বলতে গেলে, আমার আগেও ২ জন ক্যালিগ্রাফি নিয়ে কাজ করেছেন। একজন হলেন চট্টগ্রাম আর্ট কলেজের প্রতিষ্ঠাতা প্রিন্সিপাল, ছোটদের পত্রিকা টইটুম্বরের উপদেষ্টা শিল্পী সবিহ্-উল আলম। তিনি পাকিস্তান আমলে ক্যালিগ্রাফি করতেন। তখন তো আর প্রদর্শনী হতো না, তিনি কাঠের ওপর ক্যালিগ্রাফির কাজ করতেন।

আরেকজন হলেন সাইফুল ইসলাম ভাই। বাংলাদেশে প্রথম সাইফুল ইসলাম ভাইয়ের-ই ক্যালিগ্রাফি প্রদর্শনী হয় ইসলামিক ফাউন্ডেশন মিলনায়তনে। তারপর থেকে ১৯৯২-১৯৯৩ সাল থেকে আমি, সাইফুল ইসলাম ভাই, আর্ট কলেজের ইব্রাহিম মণ্ডল, আবু তাহের, শামছুল ইসলাম নিজামী, আমরা এই ৫জন মিলে যাদুঘরে প্রদর্শনী শুরু করি। আমরা ১৭-১৮টা যৌথপ্রদর্শনী করি। এগুলো বাংলাদেশের ক্যালিগ্রাফির ইতিহাস। এগুলো নবীনদের জানা দরকার।

এছাড়াও যাইনুল গ্যালারিতে বন্যার্থদের সাহায্যের জন্য একটি প্রদর্শনীতে আমার ২টা ক্যালিগ্রাফি স্থান করে নেয়।  দেশে-বিদেশে আমার ৬টা একক প্রদর্শনী হয়।

এখানে কিছু কথা বলা দরকার, ক্যালিগ্রাফির ২টা ধারা। একটি ট্র্যাডিশনাল ধারা যেটা হলো অক্ষর সুন্দর করা, নিবের কাজ করা, যেটা একরঙা কাগজে কলম দিয়ে করা হয়ে থাকে। অন্যটি হলো পেইন্টিং ক্যালিগ্রাফি। যেটা রঙতুলি বা ক্যানভাসে করা হয়। রঙতুলি বা ক্যানভাসে যে কাজ করা হয়, বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে আমরা এটাকে বেছে নিয়েছি।

[caption id="attachment_43698" align="aligncenter" width="500"] সদা হাস্যোজ্জ্বল শিল্পী আরিফুর রহমান[/caption]

এ ব্যাপারে বাংলাদেশের ২ জন বিশিষ্ট মানুষকে আমি নিয়ে আসতে পেরেছি। একজন বশির মেছবাহ ভাই , অপরজন ড. মাওলানা শহীদুল্লাহ ফজলুল বারী রহ. যিনি মারা গেছেন।তারা আগে শুধুমাত্র কাগজে কলমে কাজ করতেন। পরবর্তীতে তারা ক্যানভাসেও অনেক কাজ করেছেন। বশির মেছবাহ ভাই এখনো কাজ করছেন।

ড. শহীদুল্লাহ ফজলুল বারী আমার বন্ধু মানুষ ছিলেন। আমি উনার কাছ থেকে ট্র‌্যাডিশনাল ক্যালিগ্রাফির অনেক কিছু শিখেছি। তিনিও আমার কাছ  থেকে রঙতুলির কাজ করা শিখেছেন।

আমার এটা বলার উদ্দেশ্য হলো, আমরা যে এই রঙতুলির ক্যালিগ্রাফিকে বেছে নিলাম তার কারণ, আমরা চেয়েছিলাম একটা নারীর ছবি যেমন ড্রয়িংরুমে শোভা পায়, আমাদের ক্যালিগ্রাফিও যেন সেই স্থান করে নেয়। এই কারণেই আমরা পেইন্টিং ক্যালিগ্রাফিকে বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে বেছে নিয়েছি। এ জায়গাতে আমরা যথেেষ্ট সফল। এখন কয়েকশো ক্যালেন্ডার হচ্ছে ক্যালিগ্রাফির আর্ট দিয়ে। ঘরে ঘরে শোভা পাচ্ছে আমাদের ক্যালিগ্রাফি।

আওয়ার ইসলাম : শিল্পের পরস্পরের প্রতি মুগ্ধতা ও প্রভাব নতুন কিছু নয়। আপনার শিল্পকর্মে কারো প্রভাব আছে বলে মনে করেন?

আরিফুর রহমান : পাকিস্তানের বিখ্যাত ক্যালিগ্রাফার সাদিকাইন, ইরানের জালিল রাসুলি, তুরস্কের হাসান চেলেবি ইনারা আমার ভাবগুরু। আমি যখন ইরান যাই, তখন আমার সাথে হাসান জেলেবির দেখা হয়, এইবার তুরস্কেও তাঁর সাথে দেখা হয়েছে।

[caption id="attachment_43700" align="aligncenter" width="500"] শিল্পীর দুটি কাজ[/caption]

আওয়ার ইসলাম : দেশের সাধারণ শিল্পধারা যতোটা গতিশীল সে তুলনায় ইসলামি ধারার শিল্প অনেকটাই মন্থর। কারণ কি মনে করেন?

আরিফুর রহমান : আমি কিছু কথা বলি তাহলে আপনি সহজেই বুঝবেন। উসমানি খেলাফত বা অটোমান সম্রাজ্যকে ক্যালিগ্রাফির স্বর্ণযুগ ধরা হয়।তার কারণ কী? একমাত্র কারণ হলো, সেই সময় রাষ্ট্রীয় অনুমোদন, পৃষ্ঠপোষকতা ছিল।আর ভালবাসা তো ছিলই। যার ফলে তাদের করা কাজ বিশ্বজুড়ে সমাদৃত হয়েছে। কিন্ত আমাদের দেশে না আছে সহযোগিতা, না আছে ভালবাসা।

আমি বরাবরই বলে আসছি, আমরা অর্থ চাই না। আমার কথা হল, ক্যালিগ্রাফিকে বাংলাদেশের আর্ট কলেজের একটি সাবজেক্ট করা হোক। মৃৎশিল্প যদি একটা সাবজেক্ট হতে পারে, কোলাজ(কাগজ কেটে ), ক্যাপেস্ট্রি (সুতা), যদি একটা সাবজেক্ট হতে পারে, তবে ক্যালিগ্রাফি কেন সাবজেক্ট হবে না?

আওয়ার ইসলাম : এই যে আপনি বললেন ক্যালিগ্রাফি সাবজেক্ট হচ্ছে না , এর কারণ কি?

এর কারণ তো দুটো হতে পারে, এটাকে ভালো না বাসা, এখানে ধর্মীয় গন্ধ পাওয়া, মৌলবাদের গন্ধ পাওয়া। দুই তারা ক্যালিগ্রাফি পারেন না।এই যে আমি ইস্তাম্বুল গিয়েছি সম্পূ্র্ণ তাদের উদ্যোগে। আমার ২০টা ছবি নিয়ে যাওয়ার কথা, আমি দুই মন্ত্রণালয়ের দরজায় দরজায় ঘুরেছি কিন্তু আমি তাদের সহযোগিতা না পাওয়ায় সেভাবে প্রস্তুত হয়ে যেতে পারিনি।

বর্তমানে ক্যালিগ্রাফি একটি আলাদা শিল্প। বিশ্বজুড়ে সমাদৃত একটি শিল্প। সারাবিশ্বে এখন ক্যালিগ্রাফির প্রদর্শনী হচ্ছে। আমরা যারা ক্যালিগ্রাফি শিল্পী তাদের কেন সরকার পৃষ্ঠপোষকতা করেন না? আমি শুধু বিসমিল্লাহ এর উপর ২টা প্রদর্শনীতে অংশগ্রহণ করেছি। আমার বন্ধু শিল্প-সমালোচক তিনি সবসময় বলেন, ক্যালিগ্রাফিকে কেনো শিল্প হয়ে উঠতে হবে, এটাতো হাজার বছর আগে থেকেই একটি পূর্ণাঙ্গ শিল্প।

আওয়ার ইসলাম : প্রত্যেক শিল্পীর একটা স্বপ্ন থাকে, আপনার সেই স্বপ্ন কি পূরণ হয়েছে?

আরিফুর রহমান : অনেকটাই পূরণ হয়েছে বলে আমি মনে করি। আমি যদি মানুষের ছবি আঁকতাম তাহলে হয়তো কাইয়ূম চৌধুরী কিংবা যাইনুল আবিদীন হতে পারতাম না, কিন্তু আমি ক্যালিগ্রাফি করে আরিফুর রহমান হতে পেরেছি।

ব্যক্তিগতভাবে আমার স্বপ্ন ছিল, যে সমস্ত ‍দেশ ক্যালিগ্রাফি নিয়ে কাজ করে, আমি যেন আমার দেশকে তাদের সমকক্ষে নিয়ে যেতে পারি, আমি সেই জায়গাতে অনেকটাই সফল। এইবার তুরস্কেও আমার কাজগুলো অনেক প্রশংসিত হয়েছে। সেখানে ২৫ টা দেশের ৫৮ জন শিল্পী অংশগ্রহণ করেছে। আল্লাহর রহমতে বিদেশিদের মধ্যে আমিই প্রথম কাতারে ছিলাম।

[caption id="attachment_43701" align="aligncenter" width="500"] শিল্পীর দুটি কাজ[/caption]

আওয়ার ইসলাম : বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে ক্যালিগ্রাফির সম্ভাবনা কতটুকু ….?

আরিফুর রহমান : আমরা যদি ক্যালিগ্রাফিকে ভিন্ন চোখে না দেখি, অন্য যে কোন শিল্পের সমমান মনে করি, এটাতে মৌলবাদ বলে কিছু না খুঁজি তাহলে এখানে অনেক সম্ভাবনা আছে।

সমস্যা হলো, এখন মাইকেল এঞ্জেলো যীশুর ছবি(লাস্ট সাফার) আঁকে তাহলে সেটা শিল্প হয়, আর আমরা মসজিদের মিনার আঁকলে হয় মৌলবাদ।এই যে আমাদের নষ্ট মানসিকতা এটাকে বর্জন করতে হবে।

শিল্পীরা যদি আরেকটু মানসম্মত কাজ করেন। আর বাংলাদেশে একটু নকল প্রবণতা বেশি, এই নকল কে এড়িয়ে কাজের মধ্যে সৃজনশীলতা আনেন তাহলে আমি মনে করি বাংলাদেশেও ক্যালিগ্রাফির অপার সম্ভাবনা রয়েছে।

আওয়ার ইসলাম : ক্যালিগ্রাফি নিয়ে আপনার ভবিষ্যত কোন পরিকল্পনা কী?

আরিফুর রহমান : এক সময় মুফতি আমিনী রহ. এর মাদরাসায় আমি আর বশির মেসবাহ ভাই রমজানে ক্লাস নিয়েছি। আমরা তো ‘বাংলাদেশ ক্যালিগ্রাফি একাডেমি’ নামে একটা প্রতিষ্ঠান করেছি। টুকটাক কাজ করছি আমরা। ক্যালিগ্রাফি নিয়ে ৩টি বিশেষ সংখ্যাও বের করেছি। সামনে আরো কিছু করার চেষ্টা করছি। একটা ইন্সটিটিউট করার পরিকল্পনা নিয়ে সামনে এগুচ্ছি।

আওয়ার ইসলাম : দীর্ঘ সময় দেয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।

আরিফুর রহমান : আওয়ার ইসলাম পরিবার ও তার সব পাঠককেও আমার পক্ষ থেকে ধন্যবাদ।

-এআরকে


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ