রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪ ।। ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬


হত্যা মামলার আসামীরা জামিনে বেরিয়ে আবারো খুন করলো

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

হত্যা মামলার আসমীরা আদালত থেকে জামিনে বেরিয়ে প্রতিপক্ষের উপর হামলা করে খুন করলো আরেক ব্যক্তিকে। নরসিংদী জেলার শিবপুরে এই চাঞ্চল্যকর হত্যাকাণ্ড ঘটে।

নিহতের পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত ২৭ মে রাতে শিবপুর উপজেলার ছুটাবন্দ গ্রামের সৈয়দ জুয়েল মিয়া নিখোঁজ হয়। ৩০ মে পাশ্ববর্তী গ্রামের একটি মুরগির ফার্মের ময়লার গর্ত থেকে জুয়েলের বস্তাবন্দী লাশ উদ্ধার করে শিবপুর থানা পুলিশ।

এই ঘটনায় নিহত জুয়েলের স্ত্রী ফেরদৌসি বেগম বাদী হয়ে উক্ত এলাকার আব্দুল কাদির মেম্বার, তার ছেলে ফটিক, জামাতা লিটনসহ অজ্ঞাত কয়েকজনকে আসামী করে শিবপুর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।

পুলিশ এজাহারভুক্ত আসামি আব্দুল কাদির মেম্বার ও জামাতা লিটন এবং সন্দেহভাজন অপর জামাতা আনোয়ারকে গ্রেফতার করে। আসামিরা জামিনে মুক্তি পেয়ে বাদী পক্ষকে মামলা তুলে নেওয়ার জন্য হুমকি দিতে থাকে।

গত ৪ জুলাই মঙ্গলবার দুপুরে হত্যার শিকার জুয়েলের চাচা সৈয়দ সাইফুল ইসলাম হেকিম, ভাই চপল ও চাচাতো ভাই রিফাতসহ বাদীর বাড়ির লোকজন কোদালকাটা নামক স্থানে তাদের লটকন বাগান থেকে লটকন পারতে যান।

এ সময় জুয়েল হত্যা মামলার আসামি আব্দুল কাদির মেম্বার, সাইদ, বাতেন, লিটন ও আনোয়ারের নেতৃত্বে তাদের ওপর সশস্ত্র হামলা চালানো হয়। হামলায় আহতদের উদ্ধার করে প্রথমে নরসিংদী জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়।

তাদের মধ্যে সৈয়দ সাইফুল ইসলাম হেকিম ও রিফাত নামের আরেকজনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় প্রথমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ও পরে ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ছয়দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর সৈয়দ সামসুল ইসলাম হেকিম মারা যান।

নিহত সৈয়দ সাইফুল ইসলাম হেকিম নরসিংদী জেলা কৃষক লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক ছিলেন। তিনি ঢাকার বেসরকারি কেয়ার হাসপাতালে ছয়দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর সোমবার (১০ জুলাই) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় মারা যান। শিবপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দুজ্জামান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এ হামলার ঘটনায় ১৯ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়।এদিকে, সোমবার (১০ জুলাই) এ হামলার মামলায়ও ১১ আসামি জামিনে মুক্তি পান।

শিবপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দুজ্জামান বলেন, ময়নাতদন্তের পর মরদেহ পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হবে এবং আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

এসএস/


সম্পর্কিত খবর