শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪ ।। ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
কাল যাত্রাবাড়ী মাদরাসায় মজলিসে দাওয়াতুল হকের ইজতেমা শেখ হাসিনা ভারতে বসে দেশের বিরুদ্ধে চক্রান্ত করছেন: মজলিস মহাসচিব ডেঙ্গুতে এক সপ্তাহে ৩১ জনের মৃত্যু, আক্রান্ত ৬২৩০ মসজিদে নববীর আদলে হবে আন্দরকিল্লা শাহী জামে মসজিদ: ধর্ম উপদেষ্টা খাগড়াছড়ি প্রেস ক্লাবের সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত নতুন নির্বাচন কমিশনকে বিগত কমিশন থেকে শিক্ষা নিতে হবে: মুফতী ফয়জুল করীম লালপুরে যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে জমি দখল ও বাড়ি ভাংচুরের অভিযোগ জনতার চেয়ারম্যান সৈয়দ তালহাকে সুনামগঞ্জ ৩ আসনে জমিয়তের প্রার্থী ঘোষণা কুরআন-হাদিসের ভিত্তিতেই হতে হবে সংস্কার: বায়তুল মোকাররমের খতিব ইসলামী সঙ্গীত সম্রাট আইনুদ্দীন আল আজাদ রহ.-এর বাবার ইন্তেকাল

সমকামিতা স্বাস্থ্যগত ক্ষতির কারণেও বর্জনীয়

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আবদুস সবুর খান সুমন : বিজ্ঞানীরা বিশ্বাস করেন যে, জিনগত, হরমোনগত এবং পরিবেশগতকারণসমূহের এক জটিল আন্তঃক্রিয়ার ফলে পায়ুকামিতা ঘটে থাকে।

বাংলাদেশের সংবিধানে সকল নাগরিকের ধর্মীয় ও সামাজিক অধিকার দেয়া হলেও নৈতিক অবক্ষয়ভিত্তিক বিধিনিষেধ রয়েছে। ৩৭৭ ধারা মোতাবেক পায়ুকামিতা ও পায়ুমৈথুন শাস্তিযোগ্য ফৌজদারি অপরাধ, যার শাস্তি দশ বছর থেকে শুরু করে আজীবন কারাদণ্ড এবং সাথে জরিমানাও হতে পারে।

ভারত এবং বাংলাদেশ (দশ বছরের থেকে শুরু করে আমরণ সশ্রম কারাদণ্ড) সহ দক্ষিণ এশিয়ার ৭টি দেশের সংবিধানে ৩৭৭ ধারা এবং ১৯টি দেশে সমপর্যায়ের ধারা এবং সম্পূরক ধারা মোতাবেক পায়ুকামিতা ও পশুকামিতা প্রকৃতিবিরোধী যৌনাচার হিসেবে শাস্তিযোগ্য ও দন্ডনীয় ফৌজদারি অপরাধ।

২০১৫ সালে জুলাইয়ের একটি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, পৃথিবীর মোট ৭২টি দেশে এবং পাঁচটি দেশের উপ-জাতীয় আইনি বিধিমালায় পায়ুকামিতা সরকারীভাবে অবৈধ, যার অধিকাংশই এশিয়া ও আফ্রিকাতে অবস্থিত এবং এদের মধ্যে বেশ কিছু দেশে সমকামী আচরণের অপরাধে মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার বিধান রাষ্ট্রীয়ভাবে চালু আছে।

পায়ুকামিতা প্রায় ৯০% সম্পর্ক অ্যানাল সেক্সের সাথে সম্পর্কিত । মলাশয়কে যৌনসঙ্গমের জন্য ব্যবহার করা হলে বিভিন্ন ভাইরাসের জন্য তা পোয়া বারো, কেননা লিঙ্গ সহজেই মলাশয়গাত্র ( রেকটাল ওয়াল) ভেদ করে সেটিতে ক্ষত সৃষ্টি করে এবং সেই ক্ষত দিয়ে বীর্য সহজেই ব্লাডস্ট্রিমে ঢুকে পড়ে ।
সমকামিতার প্রকৃতি
শারীরিক ক্ষতিসাধনে সমকামী পুরুষদের যৌনসঙ্গমের প্রকৃতি চরমভাবে দায়ী । কেননা এই যৌনাচারণ শুধু সক্রিয়/পরোক্ষ নয়, পেনাইল –অ্যানাল, মাউথ-পেনাইল, হ্যান্ড–অ্যানাল এমনকি মাউথ-অ্যানাল সম্পর্ক খুবই স্বাভাবিক। মাউথ-অ্যানাল সম্পর্ক আন্ত্রিক জীবাণুর মাধ্যমে রোগ সৃষ্টি করতে খুবই সহায়ক । মলাশয়ে ক্ষত থেকে শরীরের ভেতরে জীবাণু প্রবেশ করে, এবং অ্যানো–জেনিটাল সিফিলিটিক আলসারের সৃষ্টি হয় । ব্রিটিশ গবেষক উইলকক্স বলেন –
Male homosexual behaviour is not simply either ‘active’ or ‘passive,’ since penile-anal, mouth-penile, and hand-anal sexual contact is usual for both partners, and mouth-anal contact is not infrequent. . . . Mouth-anal contact is the reason for the relatively high incidence of diseases caused by bowel pathogens in male homosexuals. Trauma may encourage the entry of micro-organisms and thus lead to primary syphilitic lesions occurring in the anogenital area. . . .In addition to sodomy, trauma may be caused by foreign bodies, including stimulators of various kinds, penile adornments, and prostheses.
সূত্রঃ R. R. Wilcox, “Sexual Behaviour and Sexually Transmitted Disease Patterns in Male Homosexuals,” British Journal of Venereal Diseases, 57(3): 167-169, 167 (1981).
ক্ষত যে শুধু লিঙ্গের প্রবেশের মাধ্যমেই হবে তা নয়, সেটি ডিলডো/পেনাইল এডোর্নমেন্ট/প্রোস্থেসেসের মাধ্যমে হতে পারে এবং বিষমকামী ব্যক্তিরা এসব ব্যবহার করলেও সমকামী ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে এসব ব্যবহারের পরিমাণ তুলনামূলকভাবে অনেক বেশি ।
সূত্রঃ Robert T. Michael, et al., Sex in America: a Definitive Survey, pp. 140-141, Table 11, Boston: Little, Brown, and Co., 1994; Rotello, pp. 75-76.
সমকামী ব্যক্তিরা যেসকল রুটের মাধ্যমে সমকামী যৌনসম্পর্কে লিপ্ত হয়, সেগুলোর মাধ্যমে কিভাবে শারীরিক ও মানসিক ক্ষতি হয় তা নিচে ব্যাখ্যা করা হলোঃ
অ্যানো-জেনিটাল সম্পর্ক
সমকামী ব্যক্তিদের সমকামী সম্পর্কের প্রধান রুট অ্যানো-জেনিটাল রুট, একে বলা হয় sine qua non of sex for many gay men অর্থাৎ এটি সমকামী সম্পর্কে অপরিহার্য । হিউম্যান ফিজিওলজী থেকে এটি স্পষ্ট যে, মানবদেহ এই সম্পর্কের জন্য তৈরি বা পরিকল্পিত নয় । লিঙ্গের জন্যই যোনী, লিঙ্গের জন্য মলাশয় নয় । যোনী যৌনসঙ্গমের জন্য স্পেশালি তৈরি, যোনীর অভ্যন্তরে ন্যাচারাল লুব্রিকেন্ট ও তিন লেয়ার বিশিষ্ট পুরু এবং স্থিতিস্থাপক মাসল থাকার কারণে একটি লিঙ্গ ঘর্ষণ এড়িয়ে ও রক্তপাত না ঘটিয়ে সহজেই যোনীতে ঢুকে যেতে পারে।
কিন্তু মলাশয় একটি অত্যন্ত নাজুক অঙ্গ, মলাশয়গাত্র একেবারেই পাতলা ও কমনীয় যেটির শুধুমাত্র ‘এক্সিট-অনলি’ বৈশিষ্ট্য রয়েছে , একটি লিঙ্গ মলাশয়ে সহজেই ঢুকে যেতে পারে না,সরু ছিদ্রের কারণে তাকে প্রেশার দিয়ে ঢোকাতে হয় এবং মলাশয়গাত্রে মাত্র একস্তরবিশিষ্ট লেয়ার থাকার ফলে ঢোকাতে যেয়ে প্রায়শই রক্তপাত হয় যেখান থেকে বিভিন্ন রোগের জীবাণু সরাসরি রক্তপ্রবাহে চলে আসে ।
মলাশয়ে বারবার ঘর্ষণের ফলে সৃষ্ট ক্ষত ও লিঙ্গ প্রবেশের কারণে সৃষ্ট মলাশয়ছিদ্রের প্রসারণের কারণে স্ফিংকটার তার স্বাভাবিক টোন এবং টাইট সিল বৈশিষ্ট্যটি হারায় । উপরন্তু, অ্যানো-জেনিটাল যৌনসঙ্গমের কারণে ফিকাল ম্যাটেরিয়ালের নিঃসরণও ক্রমাগত বা ক্রনিক আকার ধারণ করে ।
অরডিনারী রিপ্রোডাক্টিভ ফিজিওলজি থেকে জানা যায়, সিমেন বা বীর্যরস ইমিউনোসাপ্রেসিভ বা দেহের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে নিরুদ্ধ বা নিগৃহীত করে, অ্যানাল রুট একেই অত্যন্ত নাজুক এবং জীবাণুর ডিপো, সেখানে ইমিউন সিস্টেম যোনীর সিস্টেমের তুলনায় এমনিতেই অনেক দুর্বল থাকে, সেই দুর্বল সিস্টেমে যদি বীর্যরসের মাধ্যমে তাকে আরো দুর্বল করে দেওয়া হয়, তাহলে জীবাণু বিনা প্রতিরোধে শরীরে প্রবেশ করে অতি সহজেই বিভিন্ন রোগ সৃষ্টি করবে ।
সূত্রঃ S. S. Witkin and J. Sonnabend, “Immune Responses to Spermatozoa in Homosexual Men,” Fertility and Sterility, 39(3): 337-342, pp. 340-341 (1983).
অ্যানাল সেক্সের কারণে নিম্নলিখিত রোগের প্রাদুর্ভাব সমকামীদের মধ্যে অত্যন্ত বেশি,
১. এইচআইভি এইডস, ২. সিফিলিস ৩. গনোরিয়া, ৪. হার্পিস সিমপ্লেক্স ৫. ভাইরাল হেপাটাইটিস টাইপ বি ও সি ৬.  ক্ল্যামিডিয়া ইনফেকশন ৭. অ্যানাল ক্যান্সার ৮. ক্রিপ্টোস্পোরিডিওসিস ৯. আইসোস্পোরিয়াসিস ১০. মাইক্রোস্পোরিডিওসিস ১১. জিয়ার্ডিয়া ল্যাম্বলিয়া ডিজিজ ১২. স্কিন ও অ্যানো-জেনিটাল ওয়ার্ট ১৩. হেপাটাইটিস এ ১৪. এন্টামিবা হিস্টোলাইটিকাজাত এমিবিয়াসিস ১৫. শিগেলোসিস ১৬. সালমোনেলোসিস ১৭. পেডিকুলোসিস ১৮. স্ক্যাবিস ১৯. ইনফেকশাস মনোনিউক্লিওসিস ২০. ক্যাম্পাইলোব্যাক্টেরিওসিস ২১. মেনিনজাইটিস ও মেনিঞ্জোকক্কেমিয়া ২২. হুক ওর্ম ।
উল্লেখ্য, ৭-২২ নং রোগগুলি বিষমকামী ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে খুবই বিরল । ১-৬ নং রোগগুলো সমকামী ও বিষমকামী উভয় ব্যক্তিদের হলেও সমকামী ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে এই সকল রোগের হার অনেক বেশি ।
উদাহরণস্বরূপঃ
In 1999, King County, Washington (Seattle), reported that 85 percent of syphilis cases were among self-identified homosexual practitioners
আমেরিকার সিয়াটল প্রদেশের কিং কান্ট্রিতে ৮৫% সিফিলিস আক্রান্ত ব্যক্তি সমকামী যৌনসম্পর্কে লিপ্ত ।
Syphilis among homosexual men is now at epidemic levels in San Francisco
সূত্রঃ
Anal Health for Men and Women,” LGBTHealthChannel, www.gayhealthchannel.com/analhealth/
J. E. Barone, et al., “Management of Foreign Bodies and Trauma of the Rectum,” Surgery, Gynecology and Obstetrics, 156(4): 453-457 (April 1983).
ওরাল-অ্যানাল যৌনসম্পর্ক
সমকামীদের এই ধরনের যৌনসম্পর্কের সাথে অজস্র প্যারাসাইটিক এবং আন্ত্রিক রোগ বিজড়িত। গে-বাওয়েল সিনড্রোম এমন একটি রোগ যা অবাধ অ্যানাল যৌনসংসর্গ/ এনিলিংগাস বা পায়ুপথ ও নিতম্ব চোষণ ও লেহন (রিমিং/রিম-জব) / ফেলাশিও বা লিঙ্গচোষণের (ব্লোজব) মাধ্যমে সংক্রমিত হয় এবং সমকামীদের মধ্যে এই সিনড্রোম অত্যাধিক বেশি বলেই এর নাম বিশেষভাবে গে-বাওয়েল সিনড্রোম রাখা হয়েছে ।
সূত্রঃ
Henry Kazal, et al., “The gay bowel syndrome: Clinicopathologic correlation in 260 cases,” Annals of Clinical and Laboratory Science, 6(2): 184-192 (1976).
Glen E. Hastings and Richard Weber, “Use of the term ‘Gay Bowel Syndrome,’” reply to a letter to the editor, American Family Physician, 49(3): 582 (1994).
Ibid.; E. K. Markell, et al., “Intestinal Parasitic Infections in Homosexual Men at a San Francisco Health Fair,” Western Journal of Medicine, 139(2): 177-178 (August, 1983).
নিউইয়র্কে ১৯৯১ সালের হেপাটাইটিস এ প্রাদুর্ভাবের সময় সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল এন্ড প্রিভেনশনের% জরীপে দেখা যায়, ৭৮% হেপাটাইটিস এ আক্রান্ত ব্যক্তি হয় সমকামী নয়তো উভকামী ।
সূত্রঃ
“Hepatitis A among Homosexual Men—United States, Canada, and Australia,” Morbidity and Mortality Weekly Report, CDC, 41(09): 155, 161-164 (March 06, 1992).
সালমোনেলা মূলত যৌনবাহিত রোগ নয়, তবে যৌনসংশ্লিষ্ট সালমোনেলার প্রধান কারন ওরাল-অ্যানাল এবং
ওরাল –জেনিটাল সমকামী যৌনসম্পর্ক ।
সূত্রঃ
C. M. Thorpe and G. T. Keutsch, “Enteric bacterial pathogens: Shigella, Salmonella, Campylobacter,” in K. K. Holmes, P. A. Mardh, et al., (Eds.), Sexually Transmitted Diseases (3rd edition), p. 549, New York: McGraw-Hill Health Professionals Division, 1999.
টাইফয়েড মূলত পানিবাহিত রোগ হলেও এর যৌনসংশ্লিষ্ট প্রকারটির অন্যতম মূল কারণ সমকামিতা ।
সূত্রঃ
Tim Bonfield, “Typhoid traced to sex encounters,” Cincinnati Enquirer, April 26, 2001; Erin McClam, “Health Officials
Document First Sexual Transmission of Typhoid in U.S.,” Associated Press, April 25, 2001
A representative of the Foodborne and Diarrheal Diseases Branch, Division of Bacterial and Mycotic Diseases at the CDC in Atlanta, Georgia, confirmed this report and provided a link to the AP story on October 4, 2002.
চলবে...


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ