শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪ ।। ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬


যেভাবে সংরক্ষণ করা হয় হাজরে আসওয়াদ

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম : মসজিদুল হারামের চত্ত্বরে স্থাপিত হাজরে আসওয়াদ মুসলিম বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন। মসজিদুল হারামের ইতিহাসের সঙ্গেও রয়েছে তার গভীর সম্পর্ক। তাই হাজরে আসওয়াদের নিরাপত্তা ও সংরক্ষণে সৌদি সরকারের সম্ভাব্য সব ব্যবস্থাই গ্রহণ করেছে। যেনো দর্শণার্থী কর্তৃক তা ক্ষতিগ্রস্ত না হয়।

হাজরে আসওয়াদের সার্বক্ষণিক পাহারায় একাধিক নিরাপত্তাকর্মী। তাছাড়া প্রতি মুহূর্তে একাধিক সিসি ক্যামেরাতে তা পর্যবেক্ষণ করা হয়।

প্রতি দুই বছরে একবার হাজরে আসওয়াদ পরিষ্কার ও পরিচ্ছন্ন করার জন্য সড়ানো হয়।

হাজরে আসওয়াদ মূলত আটটি পাথরখণ্ডের সংযুক্ত রূপ। আট টুকরো সবচেয়ে বড়টি ২ সেন্টিমিটার এবং সবচেয়ে ছোটটি ১ সেন্টিমিটার। এ আটটি টুকরো সংযুক্ত করা হয়েছে একটা প্রকার বিশেষ সুগন্ধি আঠা দিয়ে। আটাগুলো প্রাকৃতিক উপায়ে গাছ থেকে সংগ্রহ করা হয়।

কাবা ঘরের চাবির সংরক্ষকের বংশধর ফয়সাল বিন মুহাম্মদ বিন মাহমুদ বদরকে হাজরে আসওয়াদ পরিষ্কার ও সংরক্ষণের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।  এ কাজ তার পূর্বপুরুষদের থেকে শিখেছেন এবং বংশ পরম্পরায় তারা এ কাজ করে আসছেন।

আইসিইউতে ভর্তি আল্লামা মোস্তফা আল-হুসাইনী; দেশবাসীর কাছে দোয়া প্রার্থনা

মানুষের সার্বক্ষণিক স্পর্ষ ও অন্যান্য কারণে হাজরে আসওয়াদে ময়লা জমে তাই তা পরিষ্কার করতে হয়। যেনো তাতে কোনো ক্ষতিকর পদার্থ সৃষ্টি না হয়।

উল্লেখ্য,  মুসলিম ধর্ম বিশ্বাস অনুযায়ী হাজরে আসওয়া হলো জান্নাতি পাথর। যা মক্কার জাবালে আবু কায়সে স্থাপন করা হয়। কাবাঘর তৈরির সময় হজরত ইবরাহিম আ. এ পাথরের উপর দাঁড়াতেন এবং পাথর প্রয়োজনে উপর-নিচ হতো। আধুনিক যুগের লিফটের মতো।

কওমি মাদরাসায় একই ভর্তি পদ্ধতি প্রবর্তনের পরিকল্পনা রয়েছে: যোবায়ের আহমদ চৌধুরী


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ