আওয়ার ইসলাম: গত ২৯ জুন নিখোঁজ হয় ওমান প্রবাসী কয়েছ মিয়ার শিশু পুত্র কামরান আহমদ তামিম।অপহরণের ৫ দিন পর শিশু কামরানের লাশ উদ্ধার করা হয় কয়েছ মিয়ার চাচাতো ভাই এর ঘরের মাটি খুঁড়ে।
এমন লোমহর্ষক ঘটনাটি ঘটেছে মৌলভীবাজারের সদর উপজেলার মনুমুখ ইউনিয়নের সাধুহাটি গ্রামে ।
নিহত শিশু কামরান স্থানীয় উদয়ন কেজি এন্ড হাইস্কুলের প্লে গ্রুপের ছাত্র ছিল। ২৯ জুন সকাল ৯টার দিকে কামরান বাড়ির ভিতর সাইকেল চালাচ্ছিল। বাড়ি থেকেই তাকে অপহরণ করা হয়।
অপহরণের পর বিকেলে একটি ফোন থেকে তার চাচা রাসেলের ফোনে কল করে এক ব্যক্তি ৫ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দাবী করে এবং ৭২ ঘন্টার সময় দেয়। কিন্তু এরপর আর কোনো যোগাযোগ করেনি।
পরে শিশুর এক আত্বীয় লিটন মিয়া বাদী হয়ে অজ্ঞাত আসামী করে অপহরণ মামলা দায়ের করেন। পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুই মহিলাসহ ১৫ জন কে আটক করেছে।
মৌলভীবাজার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো: সোহেল আহমদ বলেন, মূল হত্যাকারিরা হচ্ছেন, আল-আমিন (২৬), তার বন্ধু রবিউল মিয়া (২৫), ও জনি মিয়া (২২) বাকিদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে।
মৌলভীবাজার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো: সোহেল আহমদ জানান, অপহৃত শিশুর পরিবারের দেয়া একটি মোবাইল নম্বরের সূত্র ধরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে আল আমিনকে গ্রেফতার করে এবং তার দেয়া স্বীকারোক্তি মোতাবেক তারই ঘরের বিছানার নিচের মাটি খুড়ে মুখে কষ্টেপ মোড়ানো অবস্থায় কামরানের মৃত দেহ উদ্ধার করা হয়।
ভিডিওতে দেখুন আসামীর লোমহর্ষক স্বীকারোক্তি
এসএস/