আওয়ার ইসলাম: ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলায় একই পরিবারের বিভিন্ন সদস্যের নামে প্রায় ৩৯টি মাদক মামলা থাকার খবর পাওয়া গেছে। এর মধ্যে পরিবারের চার পুরুষ সদস্যেরে নামেই রয়েছে ৩২টি মামলা।
জানা যায়, গতকাল রবিবার (২ জুলাই) ওই পরিবারের চার নারীসহ মোট সাতজন আসামী পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করেছে। এদের সবাই মাদক ব্যাবসার সঙ্গে জড়িত ছিল।
গতকাল দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপার কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে ‘ভবিষ্যতে আর কখনো মাদক বিক্রি না করার অঙ্গীকার করে’ আইনের হাতে আত্মসমর্পণ করে।
আত্মসমর্পণকারীরা আখাউড়ার ভারত-সীমান্তবর্তী মনিয়ন্দ ইউনিয়নের নোয়ামোড়া গ্রামের মো. ইদ্রিস মিয়ার ছেলে তিন ছেলে মো. বাছির মিয়া (৫০), মো. ইবন মিয়া (৩৭) ও মো. নাছির মিয়া, বাছির মিয়ার স্ত্রী হাসেনা বেগম (৪০), ইবন মিয়ার স্ত্রী নয়ন তারা (৩০) নাছির মিয়ার স্ত্রী কবিতা আক্তার (২০) ও জীবন মিয়ার স্ত্রী সাহেনা বেগম (২৮) । ইদ্রিস মিয়ার আরেক ছেলে মো. জীবন মিয়া মাদক মামলায় কারাভোগ করছে বলে নিশ্চিত করেছে পুলিশ।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান জানান, আত্মসমর্পণকারী ইদ্রিস মিয়ার তিন ছেলে ও তাদের স্ত্রীসহ সাতজন মাদক বেচাকেনার সঙ্গে জড়িত ছিল। বাছির মিয়ার নামে আখাউড়া, কসবা, ভৈরব ও মুরাদনগর থানায় ১৭টি মামলা ও তার ছোট ভাই ইবন মিয়ার নামে ৯ টি মামলা; অপর ভাই নাছির মিয়ার নামে ১০টি এবং কারাগারে থাকা অপর ভাই জীবন মিয়ার নামে ৩টি মাদক মামলাসহ পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে মোট ৩৯টি মামলা রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আত্মসমর্পণের পর অভিযুক্ত তিন সহোদরকে আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। চার সহোদরের স্ত্রীদের বিরুদ্ধে মাদক মামলা না থাকায় মুচলেকা নিয়ে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়।
আত্মসমর্পণের পর তিন সহোদর নিজেদের ভুল স্বীকার করে ভবিষ্যতে এ পেশার সঙ্গে যুক্ত না হওয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়।
পুলিশ সুপার জানান, চলমান মাদক বিরোধী অভিযানের অংশ হিসেবে জেলার ৪০ শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ীর তালিকা করা হয়েছে। মাদক কেনাবেচার সঙ্গে জড়িতরা যদি স্বেচ্ছায় আত্মসমর্পণ না করে তাহলে তাদেরকে কঠোর পরিণতি ভোগ করতে হবে।
এসএস/