হজরত মাওলানা ক্বারী ইসমাঈল বেলায়েত হুসাইন। নুরানী শিক্ষা পদ্ধতির প্রবর্তক হজরত মাওলানা ক্বারী বেলায়েত হুসাইন এর সুযোগ্য পুত্র। জামিয়া আরাবিয়া লালবাগ মাদরাসায় তিন বছর পড়াশোনা করেন। ১৯৯৯ সালে দারুস সালাম মাদরাসা থেকে দাওরায়ে হাদিস সমাপন করেন। সেই থেকে তিনি বাবার উম্মাহ দরদি চিন্তার মিশনে পিতার সাথে দেশের আনাচে কানাচে দীর্ঘ ১৮ বছর ঘোরাফেরা করেন। বাবার কাছে থেকে থেকে, সাথে ঘুরে ঘুরে নিজের ভেতরেও লালন করে ফেলেন উম্মাহর দরদি চিন্তা। তাই, ২০১২ সালে বাবা বিছানায় শুয়ে পড়লে তিনিই শক্ত হাতে হাল ধরেন ‘নুরানী তা’লীমুল কুরআন বোর্ড’। সারা বাংলাদেশের নুরানী মাদরসাগুলোর দেখভাল, পরামর্শ, নতুন মাদরাসা প্রতিষ্ঠা, সমাপনি কেন্দ্রীয় পরীক্ষা পরিচালনা, শিক্ষক প্রশিক্ষণ, বয়স্কদের কুরআন শিক্ষা প্রশিক্ষণ কোর্সসহ ইত্যাদি নুরানী তা’লীমুল কুরআন বোর্ড এর যাবতীয় কাজ তিনিই পরিচালনা করেন। নুরানী শিক্ষা ব্যবস্থাপনার নানা বিষয়ে আওয়ার ইসলাম টোয়েন্টিফোর ডটকমের হয়ে কথা বলেন- বিশেষ প্রতিবেদক হাসান আল মাহমুদ।
[উল্লেখ্য, সাক্ষাৎকারটি জুন মাসের শুরুর দিকে নেয়া। এরই মধ্যে গত ২৪ জুন মাওলানা কারী বেলায়েত হুসাইন আল্লাহর ডাকে সাড়া দিয়ে পরপারে চলে যান। আল্লাহ তায়ালা তার কবরকে জান্নাতের টুকরো বানিয়ে দিন।]
আওয়ার ইসলাম : নুরানী পদ্ধতি শিক্ষা কি?
ক্বারী ইসমাইল বেলায়েত হুসাইন : নুরানী পদ্ধতি শিক্ষা হচ্ছে বাংলা, ইংরেজি, অংকের সমন্নয়ে ইলমে ফারীযার সংক্ষিপ্ত একটি শিক্ষা ব্যবস্থা। ইলমে ফারীযাহ হচ্ছে, যতটুক ইলেম আল্লাহর নবী সা: প্রত্যেক মুসলমানের উপর অর্জন করতে ফরয করেছেন, তাই হচ্ছে ইলমে ফারীযাহ।
আওয়ার ইসলাম: এ পদ্ধতি বাস্তবায়নের উদ্দেশ্য কী?
ক্বারী ইসমাইল বেলায়েত হুসাইন : উদ্দেশ্য একটাই কমপক্ষে মুসলমানের সন্তানগুলো যেন জাহান্নাম থেকে বাঁচা পরিমাণ এলেম পেয়ে যায়। যেহেতু শুধু দ্বীনের এলেমের দাওয়াত দিলে মানুষ পাওয়া যাবে না, তাই বাংলা, অংক, ইংরেজি সাধারণ শিক্ষার সমন্নয়ে এই নুরানী পদ্ধতিকে সার্বজনীন করা হয়েছে। দ্বীন শেখার সাথে সাথে দুনিয়াবি শিক্ষাও যাতে বাচ্চাদের অর্জিত হয়। সাধারণ মানুষ তাই নিজ সন্তানকে আমাদের কাছে পড়তে দেয়। দুনিয়ার জীবনে চলার সাথে সাথে আখেরাতের জীবনেও যাতে সুন্দর চলতে পারে সে উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের জন্যই এ পদ্ধতি।
আওয়ার ইসলাম : নুরানী নামটা কিভাবে এলো?
ক্বারী ইসমাইল বেলায়েত হুসাইন : আব্বাজান যখন ইলমে ফারীযাহ শিক্ষার মেহনত করেছেন, এ শিক্ষার ত্বরান্নতি নিয়ে গবেষণা করেছেন এবং সারা দেশে ছড়িয়ে দেয়ার জন্য মাঠ পর্যায়ে কাজ করেছেন, তখন কুদরতিভাবেই মানুষের মুখ থেকে এ নামটা এসেছে। লোকজন আব্বাজানের এ শিক্ষার পাঠদান দেখে বলাবলি করত, এটা তো নুর! এ শিক্ষায় তো সমাজে আলো চমকায়! বাচ্চারা পড়ে যেন নুরে নুরান্নিত হচ্ছে। এভাবেই মানুষের মুখে মুখে উচ্চারিত হতে হতে আব্বাজানের আবিষ্কৃত শিক্ষা ব্যবস্থার নাম হয়ে যায় ‘নুরানী শিক্ষা পদ্ধতি বা আলো বিলানোর পদ্ধতি’।
প্রথমে আসলে নোয়াখালী, লক্ষীপুর, ফেনী , চাঁদপুর থেকেই নুরানী নামটার প্রচলন শুরু হয়েছে। আর প্রাতিষ্ঠানিকভাবে রূপটা হয় মূলত যখন হাফেজ্জী হুজুর রহ: ১৯৮১ সালে আব্বাজানকে এই মোহাম্মদপুরে এনে বসিয়ে দিলেন। হাফেজ্জী হুজুর আব্বাজানকে বললেন, তোমাকে মানুষ খোঁজে, অথচ তোমার ঠিকানা আমি দিতে পারি না। আজ থেকে তুমি এখানে বসো এবং এখান থেকেই কার্যক্রম শুরু করো। হাফেজ্জী হুজুর বললেন, সবাই যেহেতু তোমার শিক্ষাটাকে নুরানীই বলে, ঠিক আছে তাহলে ‘নুরানী তা’লীমুল কুরআন বোর্ড’ নাম দিলাম। তুমি এই বোর্ড থেকেই প্রাতিষ্ঠানিকভাবে কাজ শুরু করে দাও। আব্বার নেতৃত্বে আট-দশজনের অংশ গ্রহণে সেই তখনই শুরু হয় নুরানী তা’লীমুল কুরআন বোর্ড।
আওয়ার ইসলাম: শুরুর দিকের এ শিক্ষার কার্যক্রম কিরকম ছিল?
ক্বারী ইসমাইল বেলায়েত হুসাইন : শুরুর দিকে নোয়াখাী, লক্ষীপুর, চাঁদপুরে যেহতেু আব্বাজানের প্রদত্ত শিক্ষাধারার মাদরাসা প্রতিষ্ঠা ছিল, সেসব মাদরাসাগুলোকে দিয়েই বোর্ডের কাজ শুরু করে দিলেন। আব্বাজান তো মূলত আগে বিভিন্ন এলাকায় ট্রেনিং সিস্টেমে পড়িয়ে আসতেন। এখন যেহেতু বোর্ড তৈরি হয়েছে, তাই বিদ্যমান মাদরাসাগুলোর পড়া লেখার মানোন্নয়নসহ বিভিন্ন এলাকায় নতুন নতুন মাদরাসা প্রতিষ্ঠার কাজ শুরু করে দিলেন। পরে মানুষ যখন দেখল, এই নুরানী মাদরাসায় পড়ে একটা বাচ্চা স্কুলে গেলেও ভালো করে, মাদরাসায় গেলেও ভালো করে, হেফজ পড়তে গেলেও ভালো করে, তখন মানুষ নিজেরাই স্বউদ্যেগে এ বোর্ডের কাছে নিজ এলাকায় মাদরাসা প্রতিষ্ঠা করার আবেদন করে।
মোহাম্মদপুরের এখানে যখন বোর্ড করা হয়, তখন এখানে তেমন লোকালয় ছিল না। নদী ছিল। নদীর তীরে বাস করত বাস্তুহারা লোকজন। এই বাস্তুহারা লোকদের সন্তানরাই তখন এই বোর্ডের কার্যক্রমের অংশ মাদরাসায় পড়তো। এই সন্তানরাই নুরানী পড়ে এখন সবাই নিজের অবস্থানে প্রতিষ্ঠিত।
আওয়ার ইসলাম : কোন প্রয়োজনীয়তা থেকে তিনি এ শিক্ষা আবিষ্কারের উপলব্ধি করলেন?
ক্বারী ইসমাইল বেলায়েত হুসাইন : উপলব্ধির পিছনে প্রধান কারিগর হলেন হাফেজ্জী হুজুর রহ:। হাফেজ্জী হুজুর রহ: সবসময় উম্মতে মুহাম্মদিয়ার বাচ্চাদের কথা ভেবে ভেবে কাঁদতেন। তিনি বলতেন, আমাদের প্রচলিত প্রাইমারিগুলোতে বাচ্চারা পড়ে ইউনিভার্সিটিতে গিয়ে অধিকাংশ বাচ্চারা ধর্ম থেকে দূরে সরে যায়। ইসলামের প্রাথমিক শিক্ষা না থাকার কারণে এই বাচ্চারা পরবর্তী জীবনে অনইসলামিক কার্য কলাপে ঝুঁকে পড়ে। আব্বাজানকে তিনি বললেন, তুমি বিকল্প প্রাইমারির ব্যবস্থা করো। যেখানে বাচ্চারা সাধারণ শিক্ষার পাশাপাশি ইলমে ফারীযাহ শিখে ইউনিভার্সিটিতে গিয়েও নিজের মুসলমানিত্ব ঠিক রেখে যেন ইউনিভার্সিটি থেকে বের হতে পারে। এই মুসলমানের বাচ্চাগুলোকে জাহান্নাম থেকে বাঁচাতে হবে। তিনি ‘ইয়া আইয়ু হাল্লাযিনা আমানু কু ওয়ানফুছুকুম নারা’ এই আয়াতের ব্যথায় ব্যথিত হয়ে সকল মুসলমানকে জাহান্নাম থেকে বাঁচানোর তাগিদ নিয়েই কাজ শুরু করে দেন।
আওয়ার ইসলাম: নুরানী পড়ে তো কেউ ভার্সিটি যায় না, তারাতো মাদরাসায় পড়ে?
ক্বারী ইসমাইল বেলায়েত হুসাইন : না, এটা আমাদের সমাজের ভুল ধারণা। আমাদের নুরানী শিক্ষা সেশনটা স্কুলের সাথে মিলানো। আমাদের বছর শুরু হয় জানুয়ারিতে, বছর শেষ হয় ডিসেম্বরে। এখানে একটা বড় ব্যখ্যা আছে এর পিছনে। সেটা হচ্ছে যখন আমি সকল মুসলমানকে জাহান্নাম থেকে বাঁচানোর ফিকির করব, তখন আমাকে দেখতে হবে, সমাজের বড় ধারাটা কোন দিকে চলছে। সেখান থেকে পার্সেন্টিস আকারে হিসাব করলে দেখা যাবে, ৯৭/ ৯৮ পার্সেন লোক এই জানুয়ারি টু ডিসেম্বরের সাথে সংশ্লিষ্ট। আর দুই পার্সেন বা তিন পার্সেন হচ্ছে রমজান টু রমজানের সাথে সম্পৃক্ত। যার কারণে আব্বাজান ফিকির করছেন, আমাকে সবাইকে বাঁচাতে হবে। অতএব আমাকে স্রোতের মুখে ছাই পাততে হবে। এই ৯৭/৯৮ পার্সেন্ট হচ্ছে বড় স্রোত। যারা মাদরাসায় পড়লো , তাদের নিয়ে তো আমাদের টেনশন নাই। যারা মাদরাসায় আসতে পারল না, তাদের জন্যই মূলত আমাদের এই নুরানী ব্যবস্থা। এখান থেকে তিন বৎসর পড়ে সে স্কুলে চলে যাবে। আর এখান থেকে আমরা দুএক পার্সেন্ট যা ধরে নিতে পারি তা হল বোনাস।
আওয়ার ইসলাম: নুরানী শিক্ষা ব্যবস্থার কার্যক্রমের পরিধি কী?
ক্বারী ইসমাইল বেলায়েত হুসাইন : হাফেজ্জী হুজুরের দোয়া ছিল, বাংলাদেশের আটষট্রি হাজার গ্রামে আটষট্রি হাজার মকতব প্রতিষ্ঠা হোক, আল্লাহ সে পর্যন্ত তোমাকে (আব্বাজানকে) হায়াত দান করুক। আমরা এখন দেখতে পাই, আল্লাহর রহমতে আটষট্রি হাজার না হলেও প্রায় মোটামুটি ত্রিশ-চল্লিশ হাজারের কম না। আমাদের প্রণীত সিলেবাসে পড়াশোনা করা ছাত্ররাই এসকল মাদরাসা পরিচালনা করছে।
আওয়ার ইসলাম: বাংলাদেশের শিক্ষাধারার সাথে এ শিক্ষা ব্যবস্থার কোনো পার্থক্য আছে কী?
ক্বারী ইসমাইল বেলায়েত হুসাইন : বাংলাদেশের চলমান শিক্ষাধারার সাথে আমাদের প্রণীত সিলেবাসের শিক্ষা ব্যবস্থার সাথে পার্থক্যটা সূচিত হয় যোগ্যতার বিচারে। কারণ আমরা বাচ্চাদের হাতে কলমে, প্র্যাক্টিসে শিখাই। যার কারণে আমাদের সিলেবাসে পড়া ছাত্ররা বাংলা, অংক, ইংরেজি, আরবী যেভাবে পারে, অন্যরা তেমন পারে না। আর সামগ্রিকভাবে পার্থক্য হলো, আমরা যেসব রচনা, গল্প, কবিতা, ছড়া ইত্যাদি বিষয় শিখাই , তাতে ইসলামের ইতিহাস, মুসলমানের ঐতিহ্য, দেশপ্রেম, মানবতা বোধের চেতনা কাজ করে। একজন ছাত্র ভালো , সশ্চরিত্র, নৈতিকবান, মানবিক বোধ সম্পন্ন, ইসলাম, জাতি, দেশপ্রেমের সবকে উদ্বুদ্ধ হয়।
আওয়ার ইসলাম: এ সিলেবাসের গ্রহণযোগ্যতা কেমন দেখছেন?
ক্বারী ইসমাইল বেলায়েত হুসাইন : আপনি দেখবেন, অনেক প্রতিষ্ঠান আছে। বহু আলিয়া, বহু কওমি মাদরাসা আছে। তারা প্রাইমারি সেক্টরের উপর নুরানী মাদরাসাই লেখে। নুরানীকে আলাদা বিভাগ গণ্য করে। এখানে কেউ কেউ আছে, আমাদের প্রণীত সম্পূর্ণ সিলেবাস অনুসরণ করে। আবার কেউ কেউ বাংলা, অংক, ইংরেজি ফলো না করলেও আমাদের প্রণীত আরবী সিলেবাসটা অনুসরণ করে। মোটকথা, নুরানী নামটা তারা অবশ্যই রাখে।
আওয়ার ইসলাম: কওমির দাওরায়ে হাদিস মাস্টার্স সমমান হলে নিচের ক্লাসগুলোর স্তর বিন্যাস অনুযায়ি নুরানী পদ্ধতি কোন্ স্তরের হবে?
ক্বারী ইসমাইল বেলায়েত হুসাইন : আমাদের টার্গেট অনুযায়ি ৫০ বছরেরও অধিক সময় ধরে বাংলার আনাচে কানাচে এ নুরানী কাজ করে আসছে প্রাইমারি লেভেলে। সুতরাং যদি সরকারিভাবে কওমি মাদরাসার প্রাইমারি শিক্ষার কোনো অপশন আসে, তাহলে নুরানী অবশ্যই সবার আগে প্রাইমারি শিক্ষা বিভাগের দাবিদার। এ নুরানী পদ্ধতিকে কওমি প্রাইমারি সেক্টরের জন্যে সরকারি স্বীকৃতির অবশ্যই দাবি রাখে।
আওয়ার ইসলাম: প্রাইমারি তো সাধারণত পাঁচ বছরের। আপনাদের নুরানী তো তিন বছরের। প্রাইমারি হয় কিভাবে?
ক্বারী ইসমাইল বেলায়েত হুসাইন : যদি স্কুলের সাথে ধরা হয়, তাহলে আমাদের নুরানী হচ্ছে ফ্রি প্রাইমারি। আর কওমির সাথে ধরা হলে প্রাইমারি। যদিও আমাদের নুরানী তিন বৎসরের। দুই বৎসর খালি রেখেছি। প্রয়োজনে আমরা কওমির প্রাইমারির জন্য তাইসিরও পড়িয়ে দেব। সিলেবাস বিন্যস্ত করে আমরা পঞ্চম শ্রেণী পর্যংন্ত সুন্দরভাবে পড়িয়ে দিতে পারব। এতে করে এই নুরানী থেকে একটা বাচ্চা প্রাইমারি শেষ করে স্কুলেও যেতে পারবে আবার কওমিতে গিয়ে মিজান পড়তে পারবে।
আরেকটা কথা না বললেই নয়, কোনো ইউনিভার্সিটি, জামিয়ার আন্ডারে প্রাইমারি চলতে পারে না। তাই প্রাইমারিটা নুরানীর আন্ডারে থাকলে কওমির প্রাইমারি শিক্ষাটা একটা সুন্দর মানসম্মত অবস্থানে এস দাঁড়াতে পারবে।
আওয়ার ইসলাম: কওমি মাদরাসার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নেতৃত্ব দিতে নুরানী শিক্ষা পদ্ধতি কতটা শক্তিশালী?
ক্বারী ইসমাইল বেলায়েত হুসাইন : আমি মনে করি আমাদের হজরতের পঞ্চাশ বছরের মেহনতে নুরানী শিক্ষাপ্রাপ্ত যেসকল শিক্ষার্থী বা শিক্ষক রয়েছে তাদের দ্বারা হান্ডেট পার্সেন অনেক ভালো লেখা পড়া উপহার দেয়ার মতো যোগ্যতা আছে। সারা বাংলাদেশে আমাদের যেসব মাদরাসা এবং দক্ষ শিক্ষক রেেয়ছে, আমাদের বিশ্বাস কওমি মাদরাসার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নেতৃত্ব দিতে অবশ্যই সক্ষম। আমাদের নুরানী পদ্ধতিতে তৃতীয় শ্রেণী পর্যন্ত পড়ানো হয়। তৃতীয় শ্রেণীতে আমরা সারা দেশে একযোগে অভিন্ন প্রশ্নে কেন্দ্রীয় পরীক্ষা নিই। ফল প্রকাশ করি। মেধা তালিকা বিন্যাস করি। বর্তমানে আমাদের বোর্ডের ওয়েবসাইটে ফল প্রকাশ করি। আর যেহেতু নুরানী বিভাগটা স্কুলের সাথে মিলিয়ে চালানো হয়, তাই মেধা বিন্যাসও করা হয় গ্রেডিং সিস্টেমে। আর যখন কওমির প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আমাদের নুরানী চলে যাবে, তখন আমরা চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণীও খুলে ফেলব। এতে করে কিতাব বিভাগে গিয়ে আর তাইসির (পঞ্চম শ্রেণীর) পরীক্ষা দেয়া লাগবে না।
নূরানী পদ্ধতি: কুরআন শিক্ষায় বিপ্লবের ইতিহাস
নুরানী পদ্ধতির আলো হাতে ঘুরে বেড়ানো কারী বেলায়েত হুসাইন?