আমরা আমাদের সন্তানদের সুশিক্ষায় সর্বোচ্চ ত্যাগ করছি। নামি-দামী স্কুলে ভর্তি যুদ্ধ থেকে শুরু করে মোটা অংকের এডমিশন ফি, বেতন, টিউশন , কোচিং, গাড়ি-ড্রাইভার, টিফিন, সন্তানকে স্কুলে/কোচিংয়ে দিয়ে মা-বাবার তীর্থের কাকের মত গেটের বাইরে অপেক্ষা করা- আরও কত কি! সংসারের বড় বাজেটটা আর সবটুকু মনোযোগটাও যেন সন্তানের শিক্ষার পেছনেই।
অন্যদিকে বিশ্বজয়ী কোরআনে হাফেজ মাদরাসার এই শিশুরাও কারো সন্তান। এদের জন্য রাষ্ট্র কিংবা সরকার কানাকড়িও খরচ করেনি। বোর্ডিংয়ে পিজ্জা-বার্গারের টিফিনের স্বাদ হয়তো এদের কাছে একেবারেই অচেনা! সাধারণ মানুষের সহযোগিতায় পরিচালিত মাদরাসায় (সিংহভাগ প্রতিষ্ঠানে) বেড়ে ওঠা এই শিশুগুলোই কিন্তু বিশ্ব জয় করে দেখিয়ে দিলো রাষ্ট্রের আনুকল্য, সরকারী অনুদান, শিক্ষা বৃত্তি, প্রধানমন্ত্রীর ফোনকল, গাড়ি-বাড়ি-ফ্লাটের ঘোষনা কিংবা কোন রাষ্ট্রীয় সম্মাননার প্রনোদনায় তারা বেড়ে ওঠেনি। বরং নিত্যদিন জঙ্গি চর্চা আর অনাধুনিক শিক্ষার তকমা মাথায় নিয়েও তারা প্রমান করে ছাড়লো, দেশের মর্যাদা ও সম্মান তাদের হাত ধরেই এলো।
তাদের জন্য প্রধানমন্ত্রীর ফোনকল, গাড়ি-বাড়ি-ফ্লাট কিংবা কোন রাষ্ট্রীয় সম্মাননার প্রয়োজন নেই; এর চেয়ে অনেক বড় অকল্পনীয় সম্মাননা তো তাদের জন্য প্রস্তুত রয়েছেই। কিন্তু প্রয়োজনটা যে আমাদের! নিজেদের জন্য, নিজেদের সন্তানদের জন্য! প্রয়োজনটা জীবন সংগ্রামরত বিশ্বজয়ী এইসব কোরআনের পাখিদের কৃতিত্ব নিজেদের সন্তানদের সামনে তুলে ধরার।
-ড. তুহিন মালিকের ফেসবুক ওয়াল থেকে নেয়া (সামান্য সংশোধিত)