রশীদ জামীল
একশ চারটি দেশের প্রতিযোগিদের পেছনে ফেলে বাংলাদেশের ছেলে তরিকুল ইসলাম বিশ্ব মুকুট ছিনিয়ে এনেছে। এর আগে এই কৃতিত্ব দেখিয়েছে নাজমুস সাকিব নামের কিশোর ছেলেটি। এরা বিশ্ব দরবারে, বিশেষত মুসলিম বিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করেছে। এরা বাংলাদেশের শ্রেষ্ট সন্তান।
চমৎকার এই উপলক্ষকে স্মরণীয় করে রাখবার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একটি বিশেষ রাষ্ট্রীয় খেতাব ইনভেন্ট করতে যাচ্ছেন, যার নাম হবে 'চাইল্ড অব দ্য ইয়ার' বা বছরের শ্রেষ্ট সন্তান।
২০১৭ তে বিশ্বজয়ী হাফিজ ছেলে তরিকুলকে দিয়েই শুরু হচ্ছে এর যাত্রা। পাশাপাশি গণভবনে তরিকুল-সাকিবদের জন্য আয়োজন করা হয়েছে রাষ্ট্রীয় সংবর্ধনার। সেখানে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে উপহার স্বরূপ তাঁদের হাতে তুলে দেয়া হবে নতুন দুটি ফ্লাটের চাবি...
... উপরের কথাগুলো আমার একটি নির্মোহ কল্পনা। এমন কিছুই হয়নি। তবে হতে পারতো। এমন একটি উদ্যোগ নিতে পারতো পৃথিবীর দ্বিতীয় বৃহত্তম রাষ্ট্র বাংলাদেশ। অবশ্য সময় শেষ হয়ে যায়নি। ভাল কিছুর সূচনায় ডেডলাইন থাকে না। থাকতে নেই।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী!
ক্রিকেটাররা দেশের হয়ে ভালো করলে আপনি বাড়ি-গাড়ি-ফ্লাট গিফট করে তাদের খুশি করে দেন। গণভবনে দাওয়াত করে নিয়ে গিয়ে আপ্যায়ন করেন। একবার কি মনে হয় না বিশ্বজয়ী হাফিজ ছেলে তরিকুল, সাকিবদের রাষ্টীয়ভাবে সম্মানিত করতে? মনে হয় না এদেরকে গণভবনে ডেকে নিয়ে মাথায় হাত বুলিয়ে আদর করে দুই লুকমা খাবার মুখে তুলে দিতে! আপনি কি জানেন এই দুই লুকমা খাবারের ওজন আপনার ওপারের হিসাবে কতটা ভারি হতে পারতো।
ও প্রধামন্ত্রী!
আমরা জানি আপনি শুধু নিজের কথাই শুনেন। রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ডিসিশন আপনি নিজেই নেন। ভাড়াটে বুদ্ধিজীবিদের ধার ধারেন না। সমালোচকদের পাত্তাই দেন না।,আপনি কি পারেন না কুরআনের এই কলিগুলোকে রাষ্টীয়ভাবে সম্মানিত করতে? কাজটি করলে কিন্তু আপনিই বরং একটি বিরল সম্মানের মালিক হতে পারতেন। একশ' চারটি মুসলিম কান্ট্রির প্রতিযোগিদের পেছনে ফেলে বাংলাদেশের প্রকৃত সোনার ছেলেরা দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করেছে। আপনি এদের সম্মানিত করে মুসলিম বিশ্বের কাছে অন্যরকম একটি ম্যাসেজ পাঠাতে পারতেন। স্থান করে নিতে পারতেন মিলিয়ন্স অব মুসলমানের হৃদয়ে।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী!
সুযোগ বার বার আসে না। আপনার সামনে আসছে। বাংলাদেশের ছেলেরা একাধিকবার বিশ্ব জয় করে সুযোগটি এনে দিচ্ছে আপনার সামনে। সুযোগ কাজে লাগান। এই জগত আর ওই জগতে, দুই জগতের সম্মাননায় এই সুযোগটি হাত ছাড়া করা ঠিক হবে না আপনার।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী!
কিয়ামতের দিন, বিশ্ব ধরা খাওয়া দিবসে কিন্তু আল্লাহর সামনে চমৎকার একটি কাজ নিয়ে দাঁড়াতে পারতেন। বলতে পারতেন, আল্লাহ! তোমার কুরআনের খাতিরে বাচ্চাগুলোকে সম্মান দিয়েছিলাম। সেদিন কার কোন কাজ আল্লাহর পছন্দ হয়ে যায় আর সেটি হয়ে যায় তাঁর পার পেয়ে যাবার উপায়, বলা তো যায় না।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী!
এই ম্যাসেজটি আপনার কাছে পৌঁছাক।
সদিচ্ছার পাপড়িগুলো জেগে ওঠুক আপনার।
চিরন্তন সুন্দরের সূচনা হোক আপনার হাত ধরে।
বিমানবন্দরে গণ সংবর্ধনা পেলেন হাফেজ তরিকুল