শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪ ।। ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :

ঢাবি শিক্ষক কর্তৃক শিক্ষিকাকে লাঞ্ছনার অভিযোগ

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে একই ইনস্টিটিউটের এক শিক্ষিকাকে লাঞ্ছনার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

অভিযোগকারীনি সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের ওই অধ্যাপিকা একই ইনস্টিটিউটের এক অধ্যাপকের বিরুদ্ধে তাকে অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালজ এবং মারমুখি আচরণের অভিযোগ করেন।

ঘটনায় বিচার চেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্যের (শিক্ষা) কাছে লিখিত অভিযোগপত্র দিয়েছেন ওই অধ্যাপিকা।

অভিযোগপত্রে শিক্ষিকা উল্লেখ করেন, ‘ইনস্টিটিউটের সি অ্যান্ড ডি কমিটির সভা শেষে ওই অধ্যাপক নানান ভয়-ভীতি ও হুমকি দেখিয়েছেন। ব্যবহার করেন অশালীন ও অশ্রাব্য ভাষা। কোনও সংশ্লিষ্টতা ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সম্পর্কে অমার্জিত, অশালীন ও অশ্রাব্য শব্দচয়নসহ বিভিন্ন ধরনের মিথ্যা অপবাদমূলক বাক্য উচ্চারণ করেন তিনি।

তিনি বলেন, ওই অধ্যাপক যে অশালীন শব্দ ও বাক্য ব্যবহার করেছেন তা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষকের কাছ থেকে অনাকাঙ্ক্ষিত ও অগ্রহণযোগ্য। তার আচরণে আমি মানসিকভাবে বিপর্যস্ত, মর্মাহত ও ক্ষুব্ধ।’

জানা যায়, গত ১২ জুন সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের সি অ্যান্ড ডি কমিটির পূর্বনির্ধারিত সভা ছিল সকাল ১০টায়। অভিযুক্ত অধ্যাপক যথাসময়ে না পৌঁছায় তার জন্য ২০ মিনিট অপেক্ষা করে সভা শুরু হয়।

সভা শেষ হওয়ার কিছুক্ষণ পরে তিনি সভাস্থলে পৌঁছান। তাকে ছাড়া সভা শুরু করার কারণ ওই অধ্যাপিকার কাছে জানতে চান তিনি। এ সময় ওই শিক্ষক উত্তেজিত হয়ে অভিযোগকারী শিক্ষিকার প্রতি মারমুখী শারীরিক ভাষা প্রদর্শন করেন।

এ প্রসঙ্গে ওই অধ্যাপিকা বলেন, ‘আমার সঙ্গে যা হয়েছে, এ ধরনের ঘটনা অনাকাঙ্ক্ষিত। এ ঘটনার বিচার চেয়ে উপ-উপাচার্যের (শিক্ষা) কাছে অভিযোগ জানিয়েছি, শিক্ষক সমিতিকেও চিঠি দিয়েছি। আশা করি সুবিচার পাবো।

অভিযোগটি প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ওই অধ্যাপক বলেন, ‘এটা আমার বিরুদ্ধে সুপরিকল্পিত ষড়যন্ত্র। এক বছর ধরে আমার বিরুদ্ধে এই ষড়যন্ত্র চলছে। জামাত-শিবির চক্র সংঘবদ্ধভাবে আমার পেছনে লেগেছে।’

তার অভিযোগ, ‘ইনস্টিটিউটের স্নাতকোত্তর পর্যায়ের বিশেষায়িত কোর্সে আমাকে ক্লাস দেওয়া হয় না। লুটপাট চলছে পুরোদমে। গত বছরের মে মাসে আমাকে নারী কেলেংকারিতে ফাঁসানোর চেষ্টা চালায় ওই চক্রটি। নিরাপত্তার স্বার্থে আমার কক্ষে সিসি ক্যামেরা বসানো হয়েছে। এই চক্রান্তের আতঙ্কে ইনস্টিটিউটের কক্ষ ভেতর থেকে তালাবদ্ধ করে বসি।’

সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের ওই অধ্যাপিকার দেওয়া অভিযোগপত্রে উপাচার্য সম্পর্কে তার (অভিযুক্ত অধ্যাপক) করা অশালীন মন্তব্যের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘তারা পারলে প্রমাণ করুক অসত্য বা বাজে মন্তব্য করেছি। কয়েকদিনের মধ্যে উপাচার্যের কাছে আমার বিরুদ্ধে চলমান ষড়যন্ত্রের প্রতিকার চেয়ে লিখিত পত্র দেবো।’

এসএস/


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ