আওয়ার ইসলাম: কওমি স্বীকৃতির ইস্যুটি সংসদে আইন করে পাস করার জন্য গতকাল রবিবার প্রধানমন্ত্রীর কাছে অনুরোধ নিয়ে গিয়েছিলেন আলেমদের এক প্রতিনিধি টিম। বৈঠকে গহরডাঙ্গা বোর্ডের সভাপতি মুফতি রুহুল আমিনের প্রতিনিধি হয়ে তার ছেলে ওসামা আমিন অংশ নিয়েছিলেন। সেখান থেকে ফেরার পর তিনি ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস শেয়ার করেন। যেখানে তিনি লিখেন, দোয়ার পরে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কিছুটা আবেগী হয়ে বলেন আজ আমার কি ভাগ্য পবিত্র রমজান মাসে আপনাদের দোয়া পেলাম।
স্ট্যাটাসে তিনি লিখেছেন, হযরত আল্লামা আহমাদ শফী সাহেব দা: বা: এর পক্ষ থেকে একটি চিঠি নিয়ে গতকাল সকালে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাত করেন কওমি মাদ্রাসার ছয় বোর্ডের মোট ১২ জন আলেম।
বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কওমি মাদরাসার সনদের স্বীকৃতি প্রদান করে এক ঐতিহাসিক ও যুগান্তকারী কাজ করেছেন যা অন্য কোন সরকারের পক্ষে সম্ভব হয়নি।
তাই চিঠিতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ দিয়ে বলা হয়েছে এই কৃতিত্ব ও যুগান্তকারী কাজটি অক্ষুণ্ণ রাখতে খুব শীঘ্রই সংসদে আইন পাস করতে হবে।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রীও খুব শীঘ্রই কজটি সম্পন্ন করবেন বলে আশ্বস্ত করেন।
আজকের বৈঠকে সবার মধ্যে আমি ছিলাম সবচেয়ে ছোট তাই আলোচনা সম্পর্কে এরচেয়ে বেশি কিছু বলা আমার জন্য বেমানান।
তবে দাপ্তরিক বিষয়গুলো ছাড়া অপ্রাসঙ্গিক ভালো লাগার কিছু কথা প্রকাশ করতে কোনো বাধা নেই।
হযরতের চিঠি প্রধানমন্ত্রীর হাতে দেওয়ার জন্য যখন সবচেয়ে মুরব্বী জন উঠে দিতেগেলেন সঙ্গে সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী দাঁড়িয়ে বললেন আপনি বসেন আমি আমি আসছি আপনার বয়স সাতাত্তর (৭৭) আর আমার সত্তর (৭০) আপনি বড়!
আলেমদের মধ্য থেকে একজন বললেন প্রধানমন্ত্রী আপনি নিয়মিত কুরআন পড়েন তাহলে আপনিওতো মনে হয় মাদরাসায় গিয়েছেন??
প্রধানমন্ত্রী বললেন, না না আমি আমার দাদর কাছ থেকে শিখেছি। তখন বয়স কম ছিল নিয়মিত কুরআন পড়তাম না তাই অনেক বেশী কথা শুনতে হতো দাদা বলতেন, মরলে তো একটু কুরআন শরীফ পড়েও দোয়া করবি না।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ওই কথাগুলো আমার মনে দাগ কেটেছে তাই সবাইকে হারানোর পর থেকে আমি নিয়মিত কুরআন শরীফ পড়ি কখনো মিস হয় না যদিও বলা ঠিক না।
প্রধানমন্ত্রীর বলেন, আমি ওদের (বামপন্থী) বলে দিয়েছি এতো বড় জনগোষ্ঠী বাদ দিয়ে শত ভাগ শিক্ষিত দেশ গড়া সম্ভব নয়। ওরা চুপ হয়ে গেছে।
আসলে আমি আমার বিবেকের কাছে পরিস্কার থাকি সঠিকটা করতে কোনো দ্বিধা করি না।
সব শেষে দোয়ার মাধ্যমে বৈঠক শেষ হয়। দোয়ার পরে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কিছুটা আবেগী হয়ে বলেন, আজ আমার কি ভাগ্য পবিত্র রমজান মাসে আপনাদের দোয়া পেলাম।
কর্তৃত্ববাদীদের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে এগিয়ে যাক আওয়ার ইসলাম