ঢাকার মিরপুরের মো. আবরাবুল হক সাআদকে অপহরণ করা হয়েছিল। তবে সে কৌশলে তাদের থেকে পালিয়ে এসেছে।
সাআদ মিরপুরের জামিয়া ইসলামিয়া দারুল উলুম মাদরাসার হেফজ বিভাগের ছাত্র। বর্তমানে এখন সে ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট থানা পুলিশের হেফাজতে রয়েছে।
তার বাবার নাম মাওলানা মোস্তফা হোসাইন এবং মায়ের নাম মোছা. হাজেরা খাতুন। সাআদের বাবা মিরপুর জামিয়া ইসলামিয়া মাজহারুল উলুম মাদরাসার শিক্ষক।
সাআদ জানায়, ৬ জুন মঙ্গলবার সকাল ৯টার দিকে তার মাদরাসা থেকে বাসায় যাওয়ার পথে মিরপুর স্টেডিয়াম দেখিয়ে দেয়ার কথা বলে তিনজন অপরিচিত লোক তাকে মাইক্রোতে তুলে মুখ বেঁধে ফেলে। ঘণ্টাখানেক পরে একটি গহীন জঙ্গলে ছোট্ট একটি ঘরে নিয়ে গিয়ে মুখের বাঁধন খুলে দেয। সেখানে আটকরত আরও কয়েকজন শিশু ছিল বলে জানায় সে। সাআদ আরও জানায়, অপহরণকারীদের মুখে নকল দাড়ি লাগানো ছিল। জঙ্গলে গিয়ে অপহরণকারীরা তাদের মুখের দাড়ি খুলে ফেলে বলে শিশুটি জানায়।
কাতার-সৌদি ইস্যু যেভাবে দেখছেন আন্তর্জাতিক বিশ্লেষক মাওলানা লিয়াকত আলী
এক পর্যায়ে শিশু সাআদ কৌশলে জঙ্গল থেকে পালিয়ে ঢাকা থেকে হালুয়াঘাটগামী শ্যামলী বাংলা পরিবহনে চড়ে হালুয়াঘাট চলে আসে। সন্ধ্যায় হালুয়াঘাট সীমান্তিকা মার্কেটের সাজ গার্মেন্টসের সামনে বিচলিত অবস্থায় শিশুটিকে দেখতে পেয়ে গার্মেন্টসের মালিক সুমন শেখ তার সঙ্গীয় লোকজন নিয়ে শিশুটির হাল অবস্থা শুনে হালুয়াঘাট প্রেসক্লাবে নিয়ে আসেন। পরে থানা হেফাজতে রাখার পরামর্শ দেয়ায় সাআদকে থানা পুলিশের হেফাজতে সোপর্দ করেন তারা।
এ বিষয়ে হালুয়াঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. কামরুল ইসলাম মিয়া ঢাকাটাইমসকে বলেন, শিশু সাআদ থানা পুলিশের হেফাজতে রয়েছে। বিষয়টি তিনি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছেন। শিশুটির পরিবারের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা চলছে বলেও জানান ওসি।
জাতীয়করণ হচ্ছে ছয় হাজার স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসা