শ্রীমঙ্গল : শ্রীমঙ্গল শহরতলীর দক্ষিণ মুসলিমবাগ ইসলামিয়া হাফিজিয়া মাদরাসার আয়োজনে রবিবার (৮ রমজান) দক্ষিণ মুসলিমবাগ ইহামা মিলনায়তনে 'কুরআন শিক্ষার তাৎপর্য শীর্ষক' আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিল ২০১৭ অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে আলোচনা পেশ করেন খেলাফত মজলিস শ্রীমঙ্গল উপজেলা সভাপতি মাওলানা আয়েত আলী, খেলাফত মজলিস শ্রীমঙ্গল পৌর সভাপতি মাওলানা এমএ রহিম নোমানী, জামেয়া ইসলামিয়া শ্রীমঙ্গলের শিক্ষাসচিব মুফতি মনির উদ্দীন, দক্ষিণ মুসলিমবাগ আল মদীনা জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা শাফায়েত উল্লাহ, দারুল আজহার ইনস্টিটিউট শ্রীমঙ্গলের ভাইস প্রিন্সিপাল, সাংবাদিক-কলামিস্ট এহসান বিন মুজাহির প্রমুখ।
মাদরাসার প্রিন্সিপাল হাফেজ শুয়াইবুর রহমান চৌধুরীর পরিচালনায় সভায় ইফতার পূর্ব আলোচনায় মাওলানা আয়েত আলী বলেন, রমজানে কুরআন নাযিল হয়েছে। সুতরাং কুরআনের আলোকে ব্যক্তি পরিবার ও সমাজ গঠন করা সকলের ঈমানী দায়িত্ব। এ রমযান মাসের মর্যাদা কুরআনের কারণেই। তাই সকলকে কুরআনের আলোয় আলোকিত হতে হবে।
মাওলানা এমএ রহিম নোমানী বলেন, কুরআনের সংস্পর্শ ছাড়া কোন মুমিন নিজে ও সমাজকে পরিশুদ্ধ করতে পারবে না।
মুফতি মনির উদ্দিন বলেন-রোজা পালনের মাধ্যমে সৃষ্টিকুলের প্রতি সমবেদনা, সদাচরণ, ত্যাগ ও সবরের শিক্ষা অর্জন করা যায়।
সাংবাদিক এহসান বিন মুজাহির বলেন, মহান আল্লাহ তায়ালা রমজান মাসে পবিত্র কুরআন শরীফ নাজিল করেছেন। এর রক্ষণাবেক্ষণ তিনিই করবেন। জ্ঞান বিজ্ঞানের প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে হলে এবং আখেরাতে মুক্তি পেতে কুরআন শিক্ষা অর্জনের বিকল্প নাই। জ্ঞানের মূল উৎস হচ্ছে মহাগ্রন্থ আল কোরআন। তাই কোরআন নাজিলের মাস হিসেবে মাহে রমজানের গুরুত্ব অপরিসীম।
অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কাজী মাওলানা শিহাব উদ্দিন, মাওলানা আছগর হোসাইন, কারী মাওলানা শামছুল ইসলাম, কারী মাওলানা মাহমুদুল হাসান, মাওলানা আবুল কালাম আজাদ, মাওলানা আনোয়ার হোসাইন, কাজী জয়নাল আবেদিন প্রমুখ।
মাদরাসার কার্যকরী কমিটির দায়িত্বশীলের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কমিটির উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর হোসেন হিমু, সহসভাপতি আব্দুর রউফ, সহ সভাপতি চান মিয়া, কমিটির সদস্য শেখ শাহিন আলম প্রমুখ।
প্রসঙ্গত মাদরাসাটি ২০০৪ সালে প্রতিষ্ঠা করেন আমেরিকা প্রবাসী আলহাজ শাহনূর চৌধুরী।
হেফাজত ও কওমি মাদরাসা বিষয়ে যা বললেন প্রধানমন্ত্রী