গাজীপুর: ‘ধর্ষকদের বিরুদ্ধে মামলা করে আমার পুরো পরিবার আজ ঘর ছাড়া। আমার স্বাভাবিক জীবন ফিরে পেতে চাই। আমি বিচার চাই, অন্যথায় রাজপথে প্রকাশ্যে নিজ গায়ে কেরোসিন ঢেলে আত্মহননের মাধ্যমে এ ঘটনার ইতি টানবো।’
রাজধানীতে বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স এসোসিয়েশন (ক্রাব) হল রুমে সংবাদ সম্মেলনে গণধর্ষণের শিকার দুই বাচ্চার বিধবা মা এমন আকুতি জানান। সংবাদ সম্মেলনে তার মুক্তিযোদ্ধা বাবাও উপস্থিত ছিলেন। এ সময় তারা ধর্ষকদের গ্রেপ্তারের দাবিতে জানান।
ধর্ষিতা জানান, এর আগে এখানে সংবাদ সম্মেলন করার পর আট আসামির দুইজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। বাকিরা প্রকাশ্যে এলাকায় ঘুরে বেড়াচ্ছে ও মোবাইল ফোনে ধর্ষিতার পরিবারকে হুমকি দিচ্ছে। দুই বাচ্চাসহ তার মুক্তিযোদ্ধা বাবা-মা, ভাই সবাই হুমকির ভয়ে বাড়িঘর ছাড়া।
মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, গাজীপুর সদর থানার তেলিপাড়া এলাকার বাসিন্দা মৃদুলের মাধ্যমে জমি কেনার জন্য স্থানীয় এক ব্যক্তির কাছে ৫ লাখ টাকা দেন ধর্ষিতার পরিবার। ওই ব্যক্তি টালবাহানা করায় ছাত্রলীগের কেন্দীয় কমিটির সাবেক সদস্য রকিব সরকারের মাধ্যমে টাকা তোলার আশ্বাস দেন মৃদুল। পরে ধর্ষিতার কাছ থেকে কয়েক লাখ টাকা হাতিয়ে নেন মৃদুল। গত বছরের ২৫ নভেম্বর ফুসলিয়ে মৃতুল তার বাড়িতে নিয়ে তাকে ধর্ষণ করেন। এতে তিনি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন।
গত ১৯ ফেব্রুয়ারি রকিব সরকারকে ধর্ষিতা বিষয়টি জানান, এতে ক্ষুদ্ধ হয়ে মৃদুল, রনি ও নাজমুলসহ আরো পাচঁজন মিলে জয়দেবপুরের একটি নির্জন বাড়িতে তুলে নিয়ে পালাক্রমে তাকে গণধর্ষণ করেন। পরে জয়দেবপুর থানায় আটজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন ধর্ষিতা।
ধর্ষিতার মুক্তিযোদ্ধা বাবা বলেন, ‘আমি মুক্তিযোদ্ধা, দেশ স্বাধীন করে আজ আমি বিচারের জন্য ধারে ধারে ঘুরছি। আসামি না হয়েও বাড়িঘর ছেড়ে পুরো পরিবার নিয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছি। আমি এ ঘটনার বিচার চাই।’
হিন্দু থেকে গোপনে মুসলিম হওয়ার পর যেভাবে রোজা রাখতেন অপু