ইসলামে রাষ্ট্র ধারনার চেয়ে 'খেলাফত' ধারনার প্রয়োগ বেশী যথার্থ। মানুষ পৃথিবীতে আল্লাহর খলিফা। খলিফার অর্থ হলো, প্রতিনিধিত্ব করা। মানুষ আল্লাহর প্রতিনিধিত্ব করে। আল্লাহর যেসব গুনাবলী রয়েছে মানুষ তার প্রতিনিধিত্ব করে।
মহান আল্লাহর অন্যতম প্রধান পরিচয় হলো, তিনি রব বা প্রতিপালক। প্রতিপালনের অর্থ হলো, বস্তুর জন্য সর্বোত্তম কল্যান নিশ্চিত করে তাকে পর্যায়ক্রমে বৃদ্ধি করা।
মানুষ যখন আল্লাহর প্রতিনিধি হিসেবে দ্বায়িত্ব পালন করে তখন তাকে 'প্রতিপালক' এর প্রতিনিধি হিসেবে জগতের প্রতিপালন করতে হয়।
এর অর্থ হলো, ইসলামের খলিফা কেবল মুসলমানের খলিফা না, কেবল মানুষের জন্যও তার খেলাফত না বরং ইসলামের খলিফা ধর্ম-বর্ন নির্বিশেষে সকল মানুষের এবং সমগ্র বিশ্বজগতের।
সেজন্য ইসলামী খেলাফত যেমন মানুষের কল্যান নিশ্চিত করে তেমনি 'জলবায়ু' এর সুরক্ষাও নিশ্চিত করে।
পক্ষান্তরে পশ্চিমা বস্তুতান্ত্রিক পুঁজিবাদ অবাধ ব্যক্তি স্বাধীনতা ও ভোগের অশুভ স্বার্থ চরিতার্থ করতে গিয়ে বিশ্বের তাপমাত্রা বৃদ্ধি করে ফেলেছে, নির্বিচারে পরিবেশ ধ্বংশ করেছে।
মুসলমানদের পতনে বিশ্ব যা কিছু হারিয়েছে তার মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ হলো, মুসলমানদের পতনে বিশ্বে পরিবেশগত বিপর্যয় ঘটেছে। জলবায়ু সমস্যা তৈরী হয়েছে।
যার প্রায়শ্চিত্ত আমাদের করতে হচ্ছে। আজকে যখন তখন ঘূর্ণিঝড়ে লন্ডভন্ড হয়ে যাচ্ছে জনপদ। জীবন হারাচ্ছে মানুষ।
জলবায়ু সমস্যার মোকাবিলা করতে হলে, পরিবেশ বিপর্যয় রোধ করতে হলে ভোগবাদী সমাজ ব্যবস্থার পতন ঘটিয়ে 'হুকুমতে রব্বানিয়া' প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
লেখকের ফেসবুক টাইমলাইন থেকে।
এসএস/