আলী আজম
সম্প্রতি টিভি টকশোগুলো দেখলে দেখে থাকবেন মূর্তি, হেফাজত, রাজনীতি ইত্যাদি ইস্যু নিয়ে অনুষ্ঠিত টকশোগুলোতে তিনজন থেকে ক্ষেত্র বিশেষ চারজন বাম তথা আলেম, হেফাজত, প্রত্যক্ষ-পরোক্ষ ইসলাম বিদ্বেষী অতিথির সাথে স্রেফ একজন আলেম প্রতিনিধিকে আমন্ত্রণ জানানো হয়। লক্ষলক্ষ টিভি দর্শকের সামনে সুযোগ পেলেই বামরা মিলে আলেম অতিথিকে অপদস্থ করার হীন চেষ্টা চালিয়ে যায়। আলেম প্রতিনিধিকে কথা বলার সুযোগ কম দেয়া হয়। কোনোরকম একটু থামাতে পারলে বামরা অট্টহাসিতে ফেটে পড়ে। সে কী পৈশাচিক হাসি! যেন রাজ্য জয় করেছে!
বামদের মুখে যদিও সব ধর্মবর্ণের মানুষের অধিকারের কথা ফুটে উঠে বেশি বাস্তবে তারা সবার অধিকার নিশ্চিত করতে নারাজ। বিশেষ করে তারা অধিকারের কথা বলে ইসলাম-মুসলমান সর্বোপরি আলেমসমাজের কণ্ঠরোধ করতে মরিয়া। তাদের দরদ আর অধিকার চাওয়াটা অন্যান্য ধর্মাবলম্বীদের ক্ষেত্রে উতলে পড়ে বেশি। মুসলিমদের ক্ষেত্রে নয়। তবে তারা সরাসরি নিজেদের ইসলাম বিদ্বেষী দাবী করে না। কথা-কাজে কিন্তু চরম ইসলাম বিদ্বষীর পরিচয় দেয়। আবার তাদের ইসলাম বিদ্বেষী বললে চটে বসে! অথচ তারা সুযোগ পেলেই ইসলামের বিধিবিধানকে আঘাত করে বসে।
মাঝেমধ্যে দু'য়েকটা ইসলামী ইতিহাস আর কোরআন-হাদীসের ভুল ব্যাখ্যা করে তারা নিজেদের মহা পণ্ডিত হিসেবে জাহির করতে চায়। কমবেশ তারা সবকটি ধর্মবিষয়ক টকশোতে স্রেফ ইসলামকে টার্গেট করে কথা বলে থাকে। তারা নামে মুসলিম হলেও কথাবার্তা শুনে ভুলেও কেউ তাদের মুসলিম মনে করবে না। যেন ইসলামের সাথে তাদের চরম শত্রুতা! মিডিয়াগুলো আলেমদের মূলত খোলামেলা আলোচনা করার জন্য স্টুডিওতে আমন্ত্রণ জানায় না। আমন্ত্রণ জানায় বামদের মাধ্যমে আলেমদের অপদস্থ করার লক্ষ্যে। কিন্তু দেখা যায় অনেক সময় তা হিতে বিপরীত হয়ে দাঁড়ায়।
সম্প্রতি টকশোগুলো দেখলে বুঝবেন একজন আলেম প্রতিনিধিকে তিন-চারজন বাম প্রতিনিধি মিলে সাধ্যের সবটুকু উজাড় করে দিয়েও আলেমের সাথে কোনোরকম কুলিয়ে উঠতে পারছে না। তারা আলেম প্রতিনিধিকে অহেতুক অপ্রাসঙ্গিক অযাচিত প্রশ্নবাণে ভাসিয়ে দিয়েও নিজেরা রেহাই পাচ্ছে না। আলেম অতিথি একাই সাক্ষাৎ তিন-চারজনের সাথে লড়ে যাচ্ছেন অত্যন্ত বিচক্ষণতা আর সাহসিকতার সাথে। শেষফল বামরা লজ্জিত হচ্ছে।
তাই বুঝি তারা একজন আলেমের সাথে চারজন লড়ছে! অথচ বামরা বলে বেড়ায় জ্ঞান-বিজ্ঞানে আলেমরা পিছিয়ে।
ইমরান এইচ সরকারকে ধুয়ে দিলেন মুফতি সাখাওয়াত (টকশো ভিডিও)