মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল ২০২৫ ।। ৮ বৈশাখ ১৪৩২ ।। ২৪ শাওয়াল ১৪৪৬


ঘূর্ণিঝড় মোরা মোকাবেলায় প্রাথমিক প্রস্তুতি শুরু

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

ঘূর্ণিঝড় মোরা মোকাবেলায় কক্সবাজার সহ উপকুলীয় এলাকায় প্রাথমিক প্রস্তুতি শুরু হয়েছ। ঘূর্ণিঝড় ‘মোরা’ কক্সবাজার উপকূল থেকে ৪৪৫ কিলোমিটার দক্ষিণ- দক্ষিণ পশ্চিমে অবস্থান করছে। এর প্রভাবে কক্সবাজার ও চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দরকে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অধিদফতর।

কক্সবাজারের উপকূলীয় এলাকায় সতর্কতামূলক মাইকিংসহ নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য প্রচারণার কাজ শুরু হয়েছে।

ঘূর্ণিঝড়ের সার্বিক প্রস্তুতির জন্য সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে কক্সবাজার জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে দূর্যোগ বিষয়ক কমিটির বিশেষ সভা অনুষ্ঠিত হয়। কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মো. আলী হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় বিভিন্ন নিদের্শনা দেওয়া হয়। সভার সিদ্ধান্তের প্রেক্ষিতে কক্সবাজারের উপকূলীয় এলাকায় সতর্কতামূলক মাইকিংসহ নিরাপত্তা আশ্রয়ের জন্য প্রচারণার কাজ শুরু হয়েছে। তবে এখনও পর্যন্ত কেউ আশ্রয় কেন্দ্রে আশ্রয় নেয়নি।

কক্সবাজার আবহাওয়া অফিস জানায়, ঘূর্ণিঝড় মোরা আরও উত্তর দিকে অগ্রসর হয়ে মঙ্গলবার ভোরে কক্সবাজার-চট্টগ্রাম উপকূল অতিক্রম করতে পারে। ঘূর্ণিঝড় অতিক্রমের সময় ঘণ্টায় ৭০-৯০ কিলোমিটার বেগে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। ঘূর্ণিঝড়টি সমুদ্রবন্দরের খুব কাছ দিয়ে অথবা উপর দিয়ে উপকূল অতিক্রম করতে পারে৷

৭ নম্বর বিপদ সংকেত দেখাতে বলা হলেও কক্সবাজারের পরিস্থিতি এখনও স্বাভাবিক রয়েছে। রাতে মাঝারি আকারে বৃষ্টিপাত হলেও সোমবার সকাল থেকে থেমে থেমে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। আকাশ মেঘলা রয়েছে। সমুদ্র স্বাভাবিক অবস্থার চেয়ে একটু উত্তাল রয়েছে। ঢেউয়ের সংখ্যাও বেশি। সাগরে মাছ ধরতে যাওয়া ট্রলারগুলো ফিরে আসছে।

আবহাওয়া অফিস বলছে, সন্ধ্যা নাগদ সমুদ্র আরও বেশি উত্তাল হয়ে উঠবে। এতে জোয়ারের পানি স্বাভাবিকের চেয়ে ৪-৫ ফুট বৃদ্ধি পাবে। যার কারণে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হতে পারে।

এসএস/


সম্পর্কিত খবর



সর্বশেষ সংবাদ