আওয়ার ইসলাম: পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগরে ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে ঘূর্ণিঝড় ‘মোরা’-এ পরিণত হয়েছে। এ জন্য চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অধিদফতর।
গতকাল থেকেই নিম্নচাপের কারণে সমুদ্র ছিলো কিছুটা উত্তাল। আবহাওয়া অফিস থেকে ২ নাম্বার দূরবর্তী হুশিয়ারী সংকেত দিয়ে ঘূর্ণিঝড় 'মোরা' এর আগমনী বার্তা দিয়েছিলো গতকাল।
আজ সোমবার আবহাওয়া অফিস নতুন আরেক বিবৃতি প্রকাশ করেছে। বলেছে, পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় 'মোরা' আরও সামন্য উত্তর দিকে অগ্রসর হয়ে একই এলাকায় অবস্থান করছিলো । এটি আজ সকাল ৬ টায় চট্রগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৫৭০ কি.মি. দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৪৯০ কি.মি. দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে, মংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৬২০ কি.মি. দক্ষিণে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৫৫৫ কি.মি দক্ষিণে অবস্থান করছিলো। এটি আরোও ঘণীভূত হয়ে পরবর্তী ১৮ ঘন্টার মধ্যে সামুদ্রিক প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিয়ে উত্তর দিকে আরোও অগ্রসর হয়ে ৩০ মে সকাল নাগাদ চট্রগ্রাম সমুদ্রবন্দর অতিক্রম করতে পারে।
ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৫৪ কি.মি. এর মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ৬২ কি.মি. যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ৮৮ কি.মি. পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। এজন্য চট্রগ্রাম, কক্সবাজার, মংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৭ নাম্বার স্থানীয় হুশিয়ারী সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার সকল নৌকা ও ট্রলারসমূহকে অতিসত্বর নিরাপদ আশ্রয়ে চলে আসতে বলা হয়েছে এবং পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়েই থাকতে বলা হয়েছে।
এদিকে আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছিলেন, এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের সাগর তীরের আট দেশের আবহাওয়া দফতর ও বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থার দায়িত্বপ্রাপ্ত প্যানেলের তালিকা থেকে ক্রম অনুসারে ঘূর্ণিঝড়ের নাম ঠিক করা হয়। নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিলে এর নাম হয়েছে ‘মোরা’ (MORA)। মোরা থ্যাইল্যান্ডের প্রস্তাবিত নাম।
এসএস/