নারায়ণগঞ্জ: আবারও ইমাম খুনের ঘটনা ঘটল। এবার নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে মসজিদের ভেতরে নামাজ পড়া অবস্থায় ইমাম আবদুল মজিদ মুন্সীকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেছে স্থানীয় এক ব্যক্তি। এ সময় হাবিবুর মিয়া নামে আরো এক মুসলিকে কুপিয়ে জখম করা হয়।
শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে এশার নামাজে দাউদপুর ইউনিয়নের গোবিন্দপুর মাঝিপাড়া এলাকার মাটির মসজিদে এ ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত জহিরুল ইসলাম পালিয়ে গেছে। এলাকাবাসী জানান, ১০ বছর আগে জহিরুল তার স্ত্রীকেও হত্যা করেছিল।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে রূপগঞ্জ থানার ওসি ইসমাইল হোসেন জানান, এশার নামাজ পড়ছিলেন ইমাম আবদুল মজিদ মুন্সী ও হাবিবুর মিয়া নামে এক মুসল্লি। নামাজ পড়া অবস্থায় একই এলাকার সাফর উদ্দিনের ছেলে জহিরুল ইসলাম কোনো কিছু বোঝার আগেই ধারালো দা দিয়ে আবদুল মজিদ মুন্সীকে কুপিয়ে হত্যা করে। প্রতিবাদ করায় হাবিবুর মিয়াকেও কুপিয়ে গুরুতর জখম করে পালিয়ে যায়। হত্যাকারীকে আটকের চেষ্টা চলছে।
নিহত আবদুল মজিদ মুন্সীর (৭২) বাড়ি টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলার সদর এলাকায়। তার বাবার নাম মোসলেম বেপারী। ২৫ বছর আগে তিনি গোবিন্দপুর মাঝিপাড়া এলাকায় এসে বসবাস শুরু করেন। আবদুল মজিদ মুন্সী মাটির মসজিদের ইমাম হিসেবে চাকরি করে আসছিলেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক সজিব জানান, হাসপাতালে আনার আগেই আবদুল মজিদ মুন্সী মারা যান। তার গলায়, পেটে ধারালো অস্ত্রের আঘাত রয়েছে। লাশ নারায়ণগঞ্জ মর্গে পাঠানো ও মামলার প্রস্তুতি চলছে।
কাঁদলেন আলেমগণ, একজন আলেমের নিখোঁজ হওয়া মানা যায় না