যে মুসলমানরা বিনা কারণে একটি পিঁপিলিকাকেও হত্যা করতে পারে না, সে মুসলমান কখনো জঙ্গি-সন্ত্রাসি হতে পারে না বলে মন্তব্য করেছেন মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের মহা-পরিচালক (যুগ্ম সচিব) মোঃ বিল্লাল হোসেন
তিনি বলেন, যেই মুসলমান পিঁপিলিকার হক আদায়ে কুণ্ঠিত হয় না, সেই মুসলমান অহেতুক মানুষ খুন করতে পারে না।
এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ইমাম আবু হানিফা (র:) একটি গাছের নিচে বসে জিরুচ্ছিলেন। এসময় এই গাছ বেয়ে কতগুলো পিঁপিলিকা তাঁর পাগড়ির ভিতরে ঢুকে যায়। ইমাম আবু হানিফা দীর্ঘ ৯ মাইল পথ অতিক্রম করে এক জায়গায় গিয়ে পাগড়ি খুলে দেখতে পান পাগড়ির ভিতরে অনেকগুলো পিপিলিকা লুকিয়ে রয়েছে। তিনি বুঝতে পারেন এই পিপিলিকাগুলো ৯ মাইল দূরের গাছ থেকে তার পাগড়িতে ঢুকেছে। এই অবস্থায় পিঁপিলিকাগুলোকে হত্যা না করে পূর্বের জায়গায় ফেরত দেয়ার জন্য ৯ মাইল পথ হেটে গিয়ে তাদেরকে গাছটিতে ছেড়ে দিয়ে আসেন।
এই ঘটনা ইসলামের ইতিহাসে এক বিরল দৃষ্টান্ত হয়ে রয়েছে। একজন প্রকৃত মুসলমান কখনোই মানুষ খুন করে বেহেস্তের আশা করতে পারে না। তিনি গত শনিবার নরসিংদী জামেয়া কাসেমিয়া মাদ্রাসা ও মহিলা মাদ্রাসা পরিদর্শনকালে এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন।
সভায় সভাপতিত্ব করেন মাদ্রাসার গভর্নিং বডির সভাপতি আলহাজ্ব মন্জুর এলাহী। স্বাগতিক বক্তব্য পেশ করেন মাদ্রাসার ভাইস প্রিন্সিপাল মাওলানা মাহমুদুল হাসান আল মাদানী। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন বাংলাদেশ জমিয়াতুল মোদার্রেছীন, গাজীপুর জেলা শাখার সেক্রেটারী অধ্যক্ষ মাওলানা মোঃ জহিরুল হক, নরসিংদী জেলা শাখার সভাপতি অধ্যক্ষ মাওলানা আব্দুল জলিল মিয়া। সভায় উপস্থিত ছিলেন জামেয়া কাসেমিয়া কামিল মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা ও বাংলাদেশ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের চেয়ারম্যান মাওলানা সাইয়্যেদ কামালুদ্দিন জাফরী।
মহা পরিচালক বিল্লাল হোসেন বলেন, মাদ্রাসাগুলো হচ্ছে ভাল মানুষ তৈরীরর প্রতিষ্ঠান। মাদ্রাসায় কখনো জঙ্গি বানানো হয় না। মাদ্রাসা ছাত্ররাই সোনালী বাংলাদেশ গড়ার কারিগর। দেশ প্রেম ইমানের অঙ্গ। এই ধর্মীয় বাধ্যবাধকতার কারণেই মাদ্রাসা ছাত্ররা সর্বোচ্চ দেশ প্রেমিক হয়ে থাকে।
মহিলা শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ইসলামী শিক্ষায় শিক্ষিত মহিলারাই আদর্শ মা হবে। আর একজন আদর্শ মা-ই কেবল আদর্শ সন্তান জন্ম দিতে পারে।
এসএস/