ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলায় তাবলীগ জামাতের ৮ বিদেশি সদস্যসহ ১১ সদ্যেকে মসজিদের ভেতরে অজ্ঞান করে সর্বস্ব লুটে নিয়েছেন হাসান নামে এক প্রতারক।
জানা যায়, হাসান (৩০) কাকরাইল কেন্দ্রীয় মসজিদ থেকে দোভাষী হিসেবে ওই জামাতের সাথে এসেছিল।
মঙ্গলবার রাতে এ ঘটনা ঘটিয়ে হাসান পালিয়ে যায়। পরে উপজেলার সীমান্তবর্তী সেনারবাদী জামে মসজিদ থেকে অচেতন তাবলীগ জামাতের ১১ সদস্যকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
অসুস্থ তাবলীগ সদস্যদের মধ্যে তিনজন থাইল্যান্ড ও পাঁচজন ইন্দোনেশিয়ান নাগরিক। বাকি তিনজন বাংলাদেশি।
দোভাষী হাসানসহ ১৫ সদস্যের এই জামাতে থাকা নেত্রকোনা জেলার কেন্দুয়া উপজেলার ইলিয়াছ মিয়া জানান, ঢাকার কাকরাইল মসজিদ থেকে এক সপ্তাহ আগে বিদেশিদের সঙ্গে তারা তাবলীগের দ্বীনি দাওয়াতে বের হন।
বিদেশিদের সহায়তার জন্য কাকরাইল মসজিদ থেকে দোভাষী হিসেবে আসেন ফরিদপুরের বাসিন্দা হাসান।
প্রথমে তাবলীগ জামাতের এই দলটি আখাউড়া পৌর শহরের দেবগ্রাম কেন্দ্রীয় মসজিদে তিন দিন অবস্থান করেন। সেখান থেকে রোববার সকালে সেনারবাদী জামে মসজিদে আসেন।
ইলিয়াছ মিয়া আরও জানান, মঙ্গলবার এশার নামাজ বাদ তালিম শেষে দোভাষী হাসান দুটি ফ্রুটো জুসের বোতল নিয়ে আসেন। এ সময় তিনি ওই জুস নিজ হাতে সবাইকে খেতে দেন।
এরপরই তারা সবাই একে একে অচেতন হয়ে পড়েন। এ সুযোগে প্রতারক হাসান বিদেশিদের কাছে থাকা ডলার, দামী মোবাইল ফোন, ক্যামেরা ও নগদ বাংলাদেশি অর্থসহ মূল্যবান সামগ্রী লুটে নিয়ে পালিয়ে যান।
তবে কত পরিমাণ টাকা ও কী পরিমাণ মালামাল লুট হয়েছে, তা জানাতে পারেননি ইলিয়াছ।
সেনারবাদি জামে মসজিদের খতিব হাফেজ মাওলানা মুফতি মাহবুবুর রহমান জানান, ফজরে মসজিদে প্রবেশ করতেই দেখি প্রধান দরজা খোলা। অন্য মুসল্লিরা মসজিদে আসছেন অথচ তাবলীগের ভাইরা কেউ জাগছেন না।
তিনি জানান, সন্দেহ হলে তাদের ডাকাডাকি করা হয়। তাতেও কাজ না হলে কাছে গিয়ে সবাইকে অচেতন অবস্থায় পাওয়া যায়।
খবর পেয়ে আখাউড়া উপজেলা তাবলীগের আমীরসহ অন্যরা এসে তাদের উদ্ধার করে আখাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি করেন।
আখাউড়া থানার ওসি (তদন্ত) মো. আরিফুর রহমান জানান, বিষয়টি তাদের জানা নেই। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এসএস/