মুঠোফোনে প্রেমের সম্পর্কের পর তালাকপ্রাপ্ত এক গৃহবধূকে গণধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। পাবনার আটঘরিয়ায় শুক্রবার গভীররাতে এই ঘটনা ঘটে। গণধর্ষণের অভিযোগে পুলিশ চার যুবককে গ্রেফতার করেছে। শনিবার বিকেলে তাদের জেল হাজতে পাঠানো হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, আটঘরিয়ার হাপানিয়া গ্রামের মৃত তোরাব আলীর ছেলে জনাব আলী (৩৮), একই উপজেলার বেরুয়ান গ্রামের মোহাম্মদ আলীর ছেলে আমিরুল ইসলাম (২৬), বংশীপাড়ার শুকুর আলী শেখের ছেলে কাওসার শেখ (২৫) ও দিয়ারপাড়া গ্রামের মন্তাজ উদ্দিনের ছেলে আনোয়ারুল ইসলাম (২২)।
আটঘরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ারুল ইসলাম এজহারের বরাত দিয়ে বলেন, দিনাজপুরের নবাবগঞ্জের বিনোদনগর গ্রামের এক স্বামী পরিত্যক্তা নারীর সঙ্গে মুঠোফোনে পাবনার আটঘরিয়ার হাপানিয়া গ্রামের মৃত তোরাব আলীর ছেলে আলীর সম্পর্ক হয়।
দীর্ঘদিন মুঠোফোনে কথা বলার এক পর্যায়ে ওই নারীর টাকার প্রয়োজন হলে জনাব আলী টাকা দেওয়ার কথা বলে শুক্রবার পাবনা আসতে বলে। ওই নারী দাশুড়িয়া আসলে তাকে নানা টালবাহানায় মোটরসাইকেলে তুলে ঘুরতে থাকে। রাত হলে তারা ওই নারীকে আটঘরিয়ার খিদিরপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের পিছনে নিয়ে কয়েকজন যুবক পালাক্রমে ধর্ষণ করে।
এক পর্যায়ে ওই নারীর শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। এরপর গভীর রাতে তাকে অটোরিকশা করে চাটমোহর রেল স্টেশনে নেয়ার সময় কড়ইতলা পুলিশ তাদের আটক করে। পরে পুলিশকে ওই নারী বিষয়টি জানায়। এসময় পুলিশ অটোরিকশায় থাকা আনোয়রুল ইসলাম ও অমিরুলকে আটক করে থানায় নেয়া হয়।
শনিবার সকালে এ ঘটনায় অভিযান চালিয়ে অপর দুই আসামিকে গ্রেফতার করো হয়। ওই নারীর অভিযোগের ভিত্তিতে আটঘরিয়া থানায় একটি ধর্ষণ মামলায় তাদের গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে হাজির করা হয়। এরপর বিকেলে সিনিয়র চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আবু বাসেদ বুলু মিয়ার কাছে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয় তারা। ম্যাজিস্ট্রেট আবু বাসেদ বুলু মিয়া তাদের জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন। অন্যদিকে, ওই নারীকে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে।
এসএস/