বজ্রপাতে নওগাঁ ও খাগড়াছড়িতে মা-ছেলেসহ আটজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও চারজন।
নওগাঁয় বজ্রপাতে পৃথক ঘটনায় দুই শিক্ষার্থীসহ পাঁচজন নিহত হয়েছেন। শনিবার বিকালে জেলা সদর, মহাদেবপুর ও আত্রাই উপজেলায় এঘটনা ঘটেছে।
বজ্রপাতের ঘটনায় আরও চারজন আহত হয়েছেন। তাদেরকে উদ্ধার করে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্র জানায়, সদর উপজেলার ফতেপুর গ্রামের কৃষক আফজাল হোসেন (৪০) বাড়ির পাশে মাঠে ১০/১২ জন শ্রমিকের সঙ্গে ক্ষেতে ধান কাটছিলেন। এ সময় বজ্রপাতে তার মৃত্যু হয়।
বজ্রপাতে নিহত আফজালের মুখবধির স্ত্রী ও মেয়েও আহত হন। তাদেরকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে নওগাঁ সদর হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বাড়িতে নিয়ে যান।
এদিকে বজ্রপাতে সদর উপজেলার শরিসপুর গ্রামে হাসেম উদ্দিনের ছেলে কলেজছাত্র রফিকুল ইসলাম (১৬) মারা গেছেন।
এছাড়াও মহাদেবপুর উপজেলার বিরম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্র আরাফাত হোসেন (৮) বিদ্যালয়েই বজ্রপাতে মারা যান। আরাফাত বিরম গ্রামের কবির উদ্দিনের ছেলে।
অন্যদিকে উপজেলায় দর্শণগ্রামে একটি মাঠে ধান কাটার সময় বজ্রপাতে ধানকাটা শ্রমিক রতন হোসেন (২২) এবং মিলন হোসেন (২০) নামে দুজন মারা গেছেন। নিহত রতন ও মিলন রাজশাহী জেলার বাগমারা উপজেলার স্থীর গ্রামের বাসিন্দা।
পুলিশ সুপার মোজাম্মেল হক দুই শিক্ষার্থী ও তিন শ্রমিক বজ্রপাতে নিহত হওয়ার ঘটনা নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে খাগড়াছড়িতে পৃথক স্থানে বজ্রপাতে মা ও ছেলেসহ তিনজনের মৃত্যু হয়েছে।
শনিবার দুপুরে জেলা সদরের বটতলী ও ভাইবোনছড়া এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- জেলা সদরের বটতলা এলাকার বাসিন্দা সানু মারমা (২২) এবং ভাইবোনছড়া এলাকার বাসিন্দা নেওম্রাসং মারমা (৪৫) ও তার ছেলে থোয়াইপ্রু মারমা(২০)।
ভাইবোনছড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পরিমল ত্রিপুরা জানান, মারমা সংসদ এলাকায় বাড়িতে দুপুরের খাবার খাওয়ার সময় মা ও ছেলে বজ্রপাতে প্রাণ হারান।
খাগড়াছড়ি সদর থানার ওসি তারেক মুহাম্মদ আবদুল হান্নান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আমেরিকাবাসী! বাবার বদলা নিতে আমি আসছি: লাদেনপুত্রের চিঠি