আওয়ার ইসলাম, টেকনাফ প্রতিনিধি: কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলায় সখিনা খাতুন (২২) নামে এক তরুণীকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার দুপুরে ওই তরুণী নিহত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চত হওয়া যায়।
বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টার দিকে উপজেলার বাহারছড়ার পুরানপাড়া গ্রামে সখিনাকে পেটানোর ঘটনা ঘটে। নিহত সখিনা একই গ্রামের আবুল কাশেমের মেয়ে।
নিহতের পরিবার সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার শবে বরাত উপলক্ষে বাড়িতে মাংস নিয়ে আসেন বাবা আবুল কাশেম। এ সময় সখিনার ছোট ভাই রবি উল্লাহ বাবাকে প্রশ্ন করেন মাংস কেনার টাকা কোথায় পেলে? বাবা আবুল কাশেম বলেন, সখিনার কাছ থেকে নিয়েছি। এ কথা শুনে ক্ষেপে গিয়ে রবি উল্লাহ বলেন, আমি এ মাংস খাবো না। তখন ভাই ও বোনের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়।
পরে রবি উল্লাহ বাড়ি থেকে বের হয়ে বাজারে চলে যান। এর কিছুক্ষণ পরে রবি উল্লাহ ও একই গ্রামের বাসিন্দা নুরুল করিব ওরফে ভুট্টো, তার স্ত্রী মনোয়ারা বেগম ও ছেলে ইমরুল কায়েস এসে সখিনাকে পিটিয়ে এবং কিল-ঘুষিতে আহত করে বাড়ি থেকে চলে যান।
খবর পেয়ে বাবা আবুল কাশেম বাজার থেকে বাড়িতে এসে মারাত্মক আহত অবস্থায় মেয়েকে উদ্ধার করে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে রাত ৮টার দিকে সখিনা মারা যান।
এ খবর পেয়ে কক্সবাজারের পুলিশ সুপার এ কে এম ইকবাল হোসেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আফরাজুল হক টুটুল, সহকারী পুলিশ সুপার চাইল মং মারমা এবং ওসি মো. মাইন উদ্দিন খান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
নিহতের বাবা আবুল কাশেমের বলেন, আমাদের পারিবারিক কাজে হস্তক্ষেপ করে একই গ্রামের বাসিন্দা নুরুল করিব ওরফে ভুট্টো, তার স্ত্রী মনোয়ারা বেগম ও ছেলে ইমরুল কায়েস আমার মেয়েকে পিটিয়ে হত্যা করেছে। আমি তাদের শাস্তি দাবি করছি।
টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাইন উদ্দিন খান বলেন, নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্ত শেষে দুপুর ২টার দিকে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। নিহতের শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে ৷
এসএস/