শাফাত আহমেদ।বাংলাদেশের নামকরা স্বর্ণালংকার বিক্রয় প্রতিষ্ঠান আপন জুয়েলার্সের কর্ণধার দিলদার আহমেদের বড় ছেলে ।
গত ২৮ মার্চ জন্মদিনের দাওয়াত দিয়ে দুই তরুনীকে বনানীর ‘কে’ ব্লকের ২৭ নম্বর সড়কের রেইনট্রি নামের একটি হোটেলে নিয়ে এসে ভয় দেখিয়ে ধর্ষণ করে শাফাত আহমেদ ও তার বন্ধু নাঈম আশরাফ।
ধর্ষনের ঘটনা গাড়িচালক বিল্লালকে দিয়ে ভিডিও করায় শাফাত। পরবর্তীর্তে ওই দুই তরুনীকে এই ভিডিও সোস্যাল মাধ্যমে ছেড়ে দেয়ার ভয় দেখিয়ে বিষয়টি চেপে রাখার জন্যও বলা হয়।
গত ৬ মে ধর্ষনের শিকার তরুনীরা বনানী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় আসামিরা করা হয়, শাফাত আহমেদ, তার বন্ধু নাঈম আশরাফ, দুই ছাত্রীর বন্ধু সাদমান সাকিব, সাফাতের গাড়িচালক বিল্লাল হোসেন ও দেহরক্ষী সাকিফ। এরপরই এ ঘটনা নিয়ে সারা দেশে তোলপাড় শুরু হয়।
অভিযুক্তদের গ্রেফতারের দাবিতে কর্মসূচি দেয়া হয় সুশীল সমাজের পক্ষ থেকে। বিষয়টি নিয়ে প্রশাসনও চাপের মুখে পড়ে। এরপরই শুরু হয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযান। গত বৃহস্পতিবার সিলেটের জালালাবাদের মদিনা মার্কেটের রশিদ ভিলা থেকে আসামিদের গ্রেফতার করা হয়।
ছেলে শাফাতের এমন কর্মকাণ্ডে বাবা দিলদার আহমেদ সেলিম মোটেও অনুতপ্ত নন। তার ভাষ্য অনুযায়ী, জোয়ান ছেলেরা একটু-আধটু এমন কাজ করবেই। এদিকে এই বিষয় নিয়ে এতো চুপ থাকলেও অবশেষে মুখ খুললেন ধর্ষনের অভিযোগে অভিযুক্ত শাফাত আহমেদের মা নিলুফার জেসমিন। তিনি দাবী করেন, শাফাতের বাবা ছেলেকে অনেক অসৎ কাজ করতে উৎসাহ দিয়েছেন এবং তার আসকারা পেয়েই ছেলের আজকে এই দশা হয়েছে। তিনি নির্যাতিত দুই মেয়েদের সাথে যা হয়েছে তা সত্য হলে এটি অন্যায় বলেও অভিমত দেন।
[‘আমার পোলা আকাম করছে তো হইছে আমিও তো করি?’]
এসএস/