বনানীতে হোটেলে আটকে রেখে ধর্ষণের সুরাহা হতে না হতেই ঘটনা আরেক কাণ্ড। রাজধানীর কামরাঙ্গীরচর থেকে এক স্কুলছাত্রীকে তুলে নিয়ে বিমানবন্দর এলাকায় দুদিন আটকে রেখে ধর্ষণ করা হয়েছে।
বিমানবন্দর এলাকার এক মুদি দোকানদার ও ওই ছাত্রীর ফুফাতো ভাই তাকে ধর্ষণ করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
এ ঘটনায় সোমবার কামরাঙ্গীরচর থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
মঙ্গলবার দুপুরে ওই ছাত্রীকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে যান ছাত্রীর চাচা ও কামরাঙ্গীরচর থানার কনস্টেবল লতিফা।
মামলার বিবরণীতে উল্লেখ করা হয়েছে, কামরাঙ্গীরচরের স্থানীয় একটি স্কুলের ওই ছাত্রী বাবা-ময়ের সঙ্গে স্থানীয় পোড়াঘাট এলাকায় থাকে।
গত ৪ মে সন্ধ্যা ৭টার দিকে স্কুল থেকে কোচিং শেষে বাসায় ফিরছিল সে। এ সময় পথে তার ফুফাতো ভাই আরিফ (২১) জোর করে তাকে একটি সিএনজিতে তুলে নেয়।
[এ বছর মদীনা বিশ্ববিদ্যালয়ে সুযোগ পেলো যেসব বাংলাদেশি]
পরে বিমানবন্দর এলাকার একটি বাসায় নিয়ে তাকে দুদিন ধর্ষণ করে দুর্বৃত্তরা। পরে ৬ মে দুপুরে তাকে ওই বাসা থেকে বের করে দেয়া হয়।
বিষয়টি স্কুলছাত্রী তার বাবাকে জানালে তিনি তাকে উদ্ধার করে বাসায় নিয়ে যান।
কামরাঙ্গীরচর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) বাবু কুমার সাহা জানান, ওই স্কুলছাত্রীর বাবা কামরাঙ্গীরচরে ভাঙারির ব্যবসা করেন। অভিযুক্ত আরিফের বাবার নাম আবদুল আজিজ। বিমানবন্দর এলাকায় তার একটি মুদি দোকান আছে।
পরিদর্শক বলেন, ঘটনার পর থেকেই আরিফ পলাতক। তাকে ধরতে অভিযান অব্যাহত আছে।
যাদের এখন স্কুলের বয়স, তারাই ধর্ষণ ও খুনের আসামি